২০ কিমি সাইকেল চালিয়ে পাহাড়ে উঠলেন বিরাশির বৃদ্ধা!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-জন্মের সময় হিসাব করলে অ্যানে জোনস ৮২ বছরের একজন বৃদ্ধা।কিন্তু,কাজের নিরিখে দেখলে তাকে বিরাশির ‘তরুণী’ বললে খুব ভুল বোধহয় হবে না।
সাউথ লন্ডনের লিউসামের বাসিন্দা অ্যানে জোনস। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা ভূখণ্ডে অগণিত আর্ত মানুষের জন্য আর্থিক সাহায্য জোগাড় করতে বিরাশি বছর বয়সে ২০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে মন্ট ভেনটক্স পাহাড়ে উঠেছেন তিনি।ভূমি থেকে যে পাহাড়ের উচ্চতা ১৯১০ মিটার।সাইকেল চালিয়ে ওই উচ্চতায় পৌঁছতে অ্যানে জোনসের সময় লেগেছে ছয় ঘণ্টা।
ফ্রান্সের অন্যতম বিখ্যাত পাহাড় মন্ট ভেনটক্স।ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত মাটি থেকে ওই পাহাড় চূড়ার বিস্তার কুড়ি কিলোমিটার। অ্যানে জোনস মূলত এমোস ট্রাস্টের হয়ে গাজাবাসীর সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে প্রকাশ,সাইকেল চালিয়ে মন্ট ভেনটক্সে পৌঁছনোর পর্বে অশীতিপর এই মহিলাকে শিলাবৃষ্টি ও কুয়াশার মতো প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়।শেষ পর্যন্ত তিনি নিজের কাঙ্খিত গন্তব্যে পৌঁছে ১৩ হাজার (ভারতীয় মুদ্রায় ১৩ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা) পাউন্ড সংগ্রহ করেন।
ছয় নাতি-নাতনির ঠাকুমা জোনস এখনও একজন উদ্যমী মহিলা।গাজার আর্তদের জন্য অর্থ সংগ্রহ অভিযানে নেমে সাফল্য পেয়ে তিনি রীতিমতো আনন্দিত। জোনস পেশায় একজন অবসরপ্রাপ্ত সাইকোথেরাপিস্ট ও সমাজকর্মী।নিজের এই সাফল্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি প্রত্যেককে ভেনটক্স পাহাড়ে যেতে উৎসাহিত করতে চাই।অনেকে ৬৫ বছরে পা দিয়েই মনে করেন, এই বয়সে এসে আর কিছু করা যাবে না।তবে আমি বলি, সম্পূর্ণ ভুল। মনের ইচ্ছাই শরীরকে বাড়তি অক্সিজেন জোগায়।’ জোনস গত গ্রীষ্মে এমোস ট্রাস্টের পরিচালক ক্রিস রোজের সঙ্গে সাইকেল ভ্রমণের সময় ভেনটক্স পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার পরিকল্পনা করেন।তিনি মনে করেন, অসহায় ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানো যে কোনও মানুষের ‘কর্তব্য’। ‘জাস্টগিভিং চ্যারিটি’ পেইজে জোনস বলেন, ‘হতাশা ও যন্ত্রণার মধ্যে নিজেকে বন্দি রাখার চেয়ে বরং আমি আমার সময়কে এভাবে কাটাতে ভালবাসি।প্রায় ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করা হয়েছে।’
মন্ট ভেনটক্সে সাইকেল যাত্রায় জোনস অবশ্য একা ছিলেন না।তার সঙ্গে একটি দল।সেই দলের সদস্যদের মধ্যে এমোসের রোজ ও মেগান উইলিয়ামস অন্যতম। জোনস জানান, এই কাজের পরে তিনি নিজের পরিবার থেকে শুরু করে বন্ধুবান্ধব এবং গাজার লোকজনের কাছ থেকে প্রচুর সমর্থন পেয়েছেন।তিনি বলেন, ‘অনেক বেশি সাহায্য উঠেছে। এটা সত্যিই বেশ আনন্দের ব্যাপার অনুপ্রেরণারও।