২২ সন্তানের মায়ের লক্ষ্য সেঞ্চুরি।।
দেশ যুদ্ধ লড়ছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইউক্রেনের সঙ্গে।অথচ রুশ দেশের এই মা নির্বিকার। যুদ্ধবিগ্রহ নিয়ে তার কোনও আগ্রহ বা উৎকণ্ঠা কোনওটাই
নেই।তিনি আছেন মাতৃত্বের নেশায়।ছাব্বিশ বছর বয়সে ইতিমধ্যে বাইশ সন্তানের জন্ম দিয়ে ফেলেছেন।কিন্তু এখানেই থামতে চান না মা। তার লক্ষ্য সন্তান জন্মে সেঞ্চুরি করা।থুড়ি, ১০৫টি সন্তানের জন্ম দেওয়া!কিন্তু স্ত্রীর এমন ইচ্ছাপূরণে বাধ
সেধেছেন তার স্বামী। কোটিপতিওই ভদ্রলোক চান, তার স্ত্রী এখানেই ক্ষান্ত দিক, বাইশ সন্তান নিয়েই বাকি জীবনটা সুখে থাকুক।ছাব্বিশের এই তরুণীর বড় মেয়ের বয়স ৯ বছর।নাম ভিক্টোরিয়া।এই ভিক্টোরিয়াকেই একমাত্র স্বাভাবিকভাবে গর্ভে ধারণ করেছেন ওই মহিলা।বাকি ২১ সন্তান সন্তানের জন্ম হয়েছে সারোগেসির মাধ্যমে।এই মহিলা একজন রাশিয়ান নাগরিক।তার নাম ক্রিস্টিনা ওজতুর্ক।রুশ নাগরিক হলেও তিনি জর্জিয়ায় থাকেন। সাধক রামপ্রসাদ গান বেঁধেছিলেন,মা হওয়া কি মুখের কথা! আসলে একজন মা হওয়া প্রতিটি মহিলার জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা, যা একই সঙ্গে চ্যালেঞ্জিং। গর্ভাবস্থা বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যা নিয়ে আসতে পারে। সন্তানের জন্মের পর, একজন মায়ের দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়, যে কারণে বর্তমান সমাজে বহু নারী একটি সন্তানের পর আর গর্ভধারণের ঝুঁকি নিতে চান না।কিন্তু ক্রিস্টিনা ওজতুর্ক মূর্তিমান ব্যতিক্রমী মহিলা। ইতিমধ্যে বিস্ময়কর ভাবে তিনি ২২ সন্তানের জননী। বড় কন্যা ভিক্টোরিয়ার পর ক্রিস্টিনার ২০টি সন্তান ২০২০ সালে,গোটা বিশ্ব যখন কোভিডের গ্রাসে এস্ত।২০২১
সালে তার কনিষ্ঠ কন্যা অলিভিয়া ভূমিষ্ঠ হয়। ক্রিস্টিনার স্বামী পেশায় নামকরা একজন হোটেল ব্যবসায়ী। তবে দুজনের বয়সের বিস্তর ফারাক।স্বামী গালিপ ওজতুর্ক ক্রিস্টিনার চেয়ে ৩২ বছরের বড়। গালিপের এখন বয়স ৫৮ বছর। চলতি বছরের গোড়ার দিকে অবৈধ ওষুধ কেনা ও রাখার অভিযোগে ক্রিস্টিনার স্বামীকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।সেই থেকে গালিপ এখনও গরাদের ভিতরে। স্বামী জেলবন্দি হলে কী হবে, তারা সারোগেসির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে আড়ে-বহরে বাড়িয়েই চলেছেন।মাত্র ছাব্বিশ বছর বয়সেই বাইশ সন্তানের মা হওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি একটি বইও লিখেছেন। গতফেব্রুয়ারীতে সেটি প্রকাশিত হয়েছে।ততদিনে গ্রেপ্তার হয়েছেন তার স্বামী।
সেই থেকে নিজের একার কাঁধে তুলে নিয়েছেন বাইশ সন্তানের দেখভালের দায়িত্ব।