২৩-এ পরীক্ষা এগিয়ে আনার চিন্তা পর্ষদের
ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে ২০২৩ সালের পরীক্ষা এগিয়ে আনার ভাবনা করা হয়েছে। স্থির হয়েছে ২০২৩ সালের মধ্যে ফেব্রুয়ারীতে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে বলে। এই মর্মে রাজ্য সরকারের অনুমোদনক্রমে পর্ষদের তরফে ইতোমধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেই হিসাবে সামনের বছর পর্ষদের পরীক্ষা অন্তত পক্ষকাল এগিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কারণ গত কয়েক বছর ধরে মার্চ মাসের প্রথম কাজের দিন পর্ষদের তরফে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা গ্রহণ করে আসা হচ্ছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়ে আসছে মার্চ মাসের দ্বিতীয় কাজের দিন থেকে। তার পরিবর্তে সামনের বছর ফেব্রুয়ারী মাসের মাঝামাঝি সময়ে রাজ্য পর্ষদের তরফে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে তৎপরতা শুরু হয়েছে। এর জন্য আনুষঙ্গিক কাজ চলছে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই।
তবে এক্ষেত্রে আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। ২০২৩ সাল রাজ্যের জন্য ভোটের বছর। ফেব্রুয়ারী অথবা মার্চ মাসে রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ফলে সামনের বছর রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে পরীক্ষাসূচি ঘোষণা করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট না জানা পর্যন্ত পর্ষদের তরফে পরীক্ষার চূড়ান্ত দিনক্ষণ নির্ধারণ করা কার্যত অসম্ভব। অসম্ভব পরীক্ষাসূচি স্থির করা। এ বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে পর্ষদের কর্মকর্তাদেরও। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হয় পর্ষদের সচিব ড. দুলাল দের সঙ্গে। তিনি খবরের সত্যতা মেনে নিয়ে জানান, পুরো বিষয়ের উপর পর্যদের নজর রয়েছে।
এদিকে ২০২৩ সালে পর্ষদের অনিয়মিত তথা কন্টিনিউ, বহিরাগত তথা এক্সটারন্যাল সহ কম্পার্টমেন্টাল এবং নিয়মিত পরীক্ষার্থী ছাড়া অন্যদের জন্য পর্যদের তরফে আবেদনপত্র এবং অনুমোদনপত্র বিলি করা হবে ১ নভেম্বর থেকে। রাজ্যের বিভিন্ন মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের তরফে এসব সংগ্রহ করতে হবে পর্ষদের কার্যালয় থেকে। তারপর এসব আগ্রহ পরীক্ষার্থীদের দিয়ে পূরণ করানো আবেদনপত্র আট নভেম্বরের মধ্যে বিদ্যালয়গুলিকে সংগ্রহ করতে হবে। বিদ্যালয়গুলির আনুষঙ্গিক কাজশেষে এগুলি পর্ষদে জমা দিতে হবে ১৪ নভেম্বরের মধ্যে। এরপর পর্ষদের তরফে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আবেদনপত্র এবং অনুমোদনপত্র বিলির সময় এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা অবশ্য পর্যদের তরফে বিদ্যালয়গুলিকে দিয়ে দেওয়া হবে।