২৩-এ বিজেপি আসছে নাঃ মানিক
২০২৩ বিজেপি সরকার আর আসছে না। এটা একপ্রকার নিশ্চিত। কারণ, ২০১৮ সালে তারা যে ৫০ শতাংশ ভোট পেয়েছিলো, সেটার একটা বড় অংশ ছিলো জনজাতিদের। সেই ভোট এখন অন্যদলে চলে গেছে। তাছাড়া, সেই সময় বামফ্রন্টের বিরোধিতা করে কংগ্রেসের যে অংশ বিজেপি দলে সামিল হয়েছিলো তারাও এখন পুরনো দলে ফিরে গেছে। ফলে বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত। রবিবার সিট্যুর ডাকে আস্তাবলে আয়োজিত সমাবেশে এই ভাবেই বাম কর্মীদের টনিক দিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। তিনি আরও বলেন বদলি এখন বিজেপি সরকারের ব্যবসা।
বিশেষ করে শিক্ষা, বিদ্যুৎ, গ্রামোন্নয়ন; এই তিনটি দপ্তরে বদলির নামে ব্যবসা চলছে। এই সরকারকে বিশ্বাস করলে ঠকবেন, প্রতারিত হবেন। ২০১৮ এর পূর্বে মানুষ জানতো না বিজেপি কেমন তাই ভোট দিয়েছে। কিন্তু এই পাঁচ বছরে মানুষের অভিজ্ঞতা হয়েছে, মানুষ চিনে গেছে এই সরকারকে। আলাদা উপজাতি রাজ্য তৈরির শ্লোগান দিয়ে এই সরকার তৈরি করেছে। আসাম রাইফেলের ব্রিগেডিয়ারের সঙ্গে গোপন ষড়যন্ত্র করে উপজাতি এলাকার মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করে এডিসি দখল করেছিলেন তারা। রাজ্যে কাজ নেই,খাদ্য নেই, স্কুলে শিক্ষক নেই, বিশেষ করে উপজাতি এলাকাগুলোতে।
তাই এইসব সমস্যা থেকে নিস্তার পেতে বামফ্রন্ট ছাড়া বিকল্প নেই। ১০৩২৩-এর মুখের গ্রাস কেরে নিয়েছে এই সরকার। এদের জন্য কিছুই করবে না বিজেপি। তাদের জন্য বামফ্রন্ট ছাড়া কেউই নজর দেবে না। এদিনের সমাবেশে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সিপিআই এম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী সহ অন্যান্য বাম নেতৃত্বরা। জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার অন্ধ,বোবা,কালা। এই সরকার দ্বারা সবথেকে বেশি অবহেলিত, লান্ছিত, বঞ্চিত হয়েছে এই রাজ্যের যুবসমাজ। শূন্য পদ থাকা সত্বেও রাজ্যের যুবক-যুবতীদের চাকুরি দেওয়া হচ্ছেনা।
শুধু তাই নয়, রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার মানুষকেও বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেই প্রতিশ্রুতির খেলাপ করেছে এই সরকার। গত পাঁচ বছর মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে এখন জনবিশ্বাস যাত্রা সংগঠিত করছে শাসকদল বিজেপি। পাশাপাশি নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে বর্তমান শাসকদলের তীব্র সমালোচনা করেন জিতেন্দ্র চৌধুরী সহ অন্যান্য সকলেই।