২৩ বছরে ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুল

 ২৩ বছরে ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুল
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

দীর্ঘদিনের নানাহ জীবন্ত সমস্যা এবং সাফল্য ও ব্যর্থতাকে সঙ্গী করেই বাধারঘাটের ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুল ২৩ তম বর্ষে পদার্পণ করলো । আজ ১ আগষ্ট ছিল ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুলের প্রতিষ্ঠা দিবস । ২০০০ সালে ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুলের প্রতিষ্ঠা অর্থাৎ এর যাত্রা শুরু হয়েছিল । রাজ্যের প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের কথা মাথায় নিজেদের রেখে এবং খেলাধুলা ও পড়শোনা দুটো এক সাথে চালিয়ে নিজেদের যাতে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে সেই লক্ষ্যে তৎকালীন বাম সরকারের আমলে স্থাপন করা হয়েছিল এই স্পোর্টস স্কুল । দেখতে দেখতে আজ ২৩ তম বর্ষে পাঁ রাখলো শহর দক্ষিণের বাধারঘাটের ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুল । আজ অনেকটা সাদা মাটাভাবে স্কুলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করলো ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুল কর্তৃপক্ষ । কোভিড পরিস্থিতির কারণে গত দুবছর ধরে স্কুলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা সম্ভব হয়নি । এবারও রাজ্যে বর্তমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই স্কুলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হলো । তবে বিগত দিনে স্পোর্টস স্কুলের প্রতিষ্ঠা দিবসে স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে এটা উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা যেতো তা এবার কিন্তু লক্ষ্য করা যায়নি । শিক্ষার্থী ও অভিভাবক থেকে শুরু করে স্কুলের একাডেমি বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষিকা এবং ক্রীড়া বিভাগের শারীর শিক্ষক ও শিক্ষিকা কারোর মধ্যে ছিল না বাড়তি কোনও উৎসাহ । এমন এক পরিবেশের মধ্য দিয়েই আজ বিকেলে স্পোর্টস স্কুলের প্রতিষ্ঠা দিবস অনুষ্ঠিত হয় । আমন্ত্রণ জানানো হলেও অনুষ্ঠানে আসেননি ক্রীড়া মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী । এমনকী স্থানীয় বিধায়িকা মিমি মজুমদারকে ও দেখা যায়নি এ দিনের অনুষ্ঠানে । এর মধ্যে অনুষ্ঠানের মাঝ সময়ে এসে যোগ দিলেন ম্যানেজিং কমিটির চেয়ারম্যান মণিকা দাস । ছিলেন ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা সুবিকাশ দেববর্মা সহ অন্যরা । অনুষ্ঠানের শুরুতে ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুলের বিগত বছরের পারফরম্যান্স রিপোর্ট কার্ড তুলে ধরেন স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ তথা ক্রীড়া দপ্তরের সহ অধিকর্তা শান্তনু সূত্রধর । স্পোর্টস স্কুলের পারফরম্যান্স যে খুব একটা প্রত্যাশিত ও ভালো নয় তা উঠে এলো ওনার আলোচনায় । একাডেমি ও ক্রীড়া বিভাগে স্কুলের পারফরম্যান্স যে রীতিমতো তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে তাই উঠে এলো । যদিও এই ব্যর্থতার জন্য কোভিড পরিস্থিতির দোহাই দিতেই শোনা গেল । এ দিনের অনুষ্ঠানে স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার হিসাবে যে ছয়জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে তারা হলেন অ্যাটলেটিক্সে জিতেন্দ্ৰ দেববর্মা ও সুমিতা দেববর্মা । ফুটবলের অপজিৎ ত্রিপুরা ও ধনিতা রিয়াং এবং জিমনাস্টিক্সে মিতালী ত্রিপুরা ও সাগর ঘোষ । এ বছর স্কুলের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় সফল কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়েছে । এছাড়া একাডেমি বিভাগের বিভিন্ন ক্লাসের প্রথম , দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদের সম্মান জানানো হয়েছে অনুষ্ঠানে । নবাগতদের বরণ করে নেওয়া হয়েছে এবং তাদের হাতে স্কুল ইউনিফর্ম তুলে দেওয়ার হয়েছে।অনুষ্ঠানে উপস্থিত আগরতলা পুর নিগমের ডেপুটি মেয়র তথা ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুলের মানেজিং কমিটির চেয়ারম্যান মণিকা দাস দও ও ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা সুবিকাশ দেববর্মা সহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন। উল্লেখ্য , গত প্রায় এক বছর হতে চললো স্কুলে প্রধান শিক্ষক নেই । একজন সহকারী প্রধান শিক্ষিকা রয়েছেন । এই অবস্থায় একজন সহ অধিকর্তাকে স্কুলের নিজস্ব কাজ সামলানোর পাশাপাশি স্কুল ইনচার্জ তথা প্রধান শিক্ষকের যাবতীয় কাজ সামলাতে গিয়ে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে । তাছাড়া , ক্রীড়া দপ্তরের নজরদারি ও অবহেলার কারণে গত কয়েক বছরে স্কুলে এক বিশৃঙ্খলার পরিবেশ কায়েম হয়েছে । স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে ভীষণ ক্ষুব্ধ । স্কুলে নানাহ সমস্যা থাকা সত্ত্বেও তা সমাধানের কোনও উদ্যোগ নেই ক্রীড়া দপ্তরের ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.