বিভৎস ট্রেন দুর্ঘটনা, ছিটকে গেল চলন্ত তিনটি মালগাড়ির কামরা!!
২৪ চোখের বিরল ‘বক্স’ জেলিফিশ দেখে অবাক বিজ্ঞানীরা।

হংকংয়ের ব্যাপটিস্ট ইউনিভার্সিটির (এইচকেবিইউ) বিজ্ঞানীরা মাই পো নেচার রিজার্ভে ক্ষুদ্র, কিউব-আকৃতির, ২৪টি চোখযুক্ত বক্স জেলিফিশ আবিষ্কার করেছেন। সমুদ্রবিজ্ঞান মহলে এই ঘটনা সাড়া ফেলে দিয়েছে। হংকংয়ের বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এমন ২৪টি চোখের জেলিফিশ এই প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছে।

তারা জানিয়েছেন, চিনের জলে এই ধরনের বক্স জেলিফিশের হদিস এই প্রথম।
একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, হংকংয়ের ব্যাপটিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা অধ্যাপক কিউ জিয়ানওয়েনের নেতৃত্বে ২০২০, ২০২১, ২০২২ সালে একটি পুকুরে এই বক্স জেলিফিশের হদিস পান।ওই পুকুরে চিংড়ির চাষ হয়। কী ভাবে ২৪ চোখের বক্স জেলিফিশ পাওয়া গেছিল? মাই পো নেচার রিজার্ভের একটি লোনা চিংড়ির পুকুর থেকে যে বিজ্ঞানীরা জেলিফিশের নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন।স্থানীয়ভাবে ওই প্রজাতির জেলিফিশ ‘গেই ওয়াই’ নামে পরিচিত। গবেষকরা দেখতে পান, একাধিক জেলিফিশের নমুনার মধ্যে একটি নতুন প্রজাতি।গবেষকরা মাই পো নেচার- রিজার্ভের নামানুসারে নতুন পাওয়া প্রজাতির নাম দিয়েছেন ট্রিপেডালিয়া মাইপোয়েনসিস। অধ্যাপক কিউ বলেন, ‘আমরা নতুন প্রজাতির জেলিফিশের নাম দিয়েছি ট্রিপেডালিয়া মাইপোয়েনসিস, যাতে এর প্রকারের স্থান প্রতিফলিত হয়- যেখানে নতুন প্রজাতি প্রথম পাওয়া গিয়েছিল।

যদিও এটি বর্তমানে শুধুমাত্র মাই পোতে পরিচিত। আমরা বিশ্বাস করি, এই প্রজাতিটি পার্ল নদীর মোহনার সংলগ্ন জলেও বিতরণ করা হয়েছে।গেই ওয়াইস একটি জোয়ারের চ্যানেলের মাধ্যমে, মোহনার সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে।’ তিনি জানান, ওই জেলিফিশের ২৪টি চোখ চারটি ভাগে ভাগ করা রয়েছে। এক একটি ভাগে রয়েছে ছয়টি চোখ। একটি ভাগের ছয়টি চোখের মধ্যে দু’টিতে রয়েছে লেন্স। তা দিয়ে ছবি দেখতে পায় জেলিফিশ। বাকি চারটি দিয়ে তারা শুধু আলো অনুভব করতে পারে। বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, অন্য জেলিফিশের তুলনায় এই বক্স জেলিফিশ অনেক দ্রুত সাঁতার কাটে। ট্রিপেডালিয়া মাইপোয়েনসিসের দৈর্ঘ্য ১.৫ সেন্টিমিটার। এর থেকে মানুষের কতটা ক্ষতি হতে পারে, এখন তা নিয়ে গবেষণা চলছে। তবে বিজ্ঞানীরা জানান, ছোট ছোট চিংড়ির শরীরে বিদ্যুতের শক দিতে পারে এই জেলিফিশ।
চিনের মূল ভূখণ্ডেও এই প্রজাতির জেলিফিশের খোঁজ চলছে। গোটা দুনিয়া জুড়ে মাত্র ৪৯ প্রজাতির বক্স জেলিফিশের (বৈজ্ঞানিক নাম কিউবোজোয়া) খোঁজ এখনও পর্যন্ত পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।