২৫ বছরের বাম জমনার ইতিহাস মানুষ ভুলে নি!!
দৈনিক সংবাদ অনলাইন।। বিগত ২৫ বছর এই রাজ্যে কর্মসংস্থানের দরজা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। বেকারদের পরনির্ভর করে রাখা হয়েছিলো। ১০৩২৩, চাকরির পেছনে ভারতীয় জনতা পার্টি যেমন কৃতিত্ব নিতে চায় না। তেমনি তাদের চাকরি যাওয়ার পেছনে তার দায়িত্বও আমরা নিতে চাই না। সেই দায়িত্ব আমাদের না। সেই চাকরি আপনারা দিয়েছিলেন। ভারতবর্ষের সর্বোচ্চ আদালত চাকরি যখন বাতিল করে দিয়েছিল তখন আপনারাই ক্ষমতাসীন ছিলেন। ১০৩২৩ এর জীবনে যদি যন্ত্রনা, দুঃখ, বেদনা নেমে আসে তার দায় নিশ্চিত ভাবে মেলার মাঠের। মানিক সরকারের দম্ভ। কিন্তু আমরা মানবিক। আমরা সংবেদনশীল।
দায়ভার আপনাদের ছিল। দায়িত্ব আপনাদের নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি সেই দায়িত্ব নিয়েছে। রাজ্যে শিক্ষা এবং আরক্ষা দপ্তরে ১০ হাজারের উপরে চাকরির যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, তার মধ্যে ১০৩২৩ যাদের যোগ্যতা রয়েছে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
কথাগুলি বলেন বিজেপি ত্রিপুরা প্রদেশের সাধারণ সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত। রবিবার বিলোনিয়াতে দক্ষিণ জেলা যুব মোর্চার উদ্যোগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীসহ রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে মিছিল বের হয়। পুলিশ এবং শিক্ষা দপ্তরে ১০,১৭৫ টি চাকরির ঘোষণা করার জন্য রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে এ দিন এই মিছিল সংগঠিত করা হয়। মিছিল শেষে বিলোনিয়া শহরের এক নং টিলা পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাপিয়া দত্ত আরো বলেন, বিগত ২৫ বছর বাম জমানার ইতিহাস মানুষ ভুলে যায় নি। বিগত বামফ্রন্ট সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, রাজ্যে বর্তমান জোট সরকারের সাড়ে চার বছর সময়ে যেসব উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে, বিগত ২৫ বছরের এসব কাজ হয়নি। বিজেপি জোট সরকার ২ লাখ ৭৮ হাজার মহিলাদের ঘরে উজ্জ্বলা যোজনায় গ্যাস সংযোগ দিয়েছে। ১০ লাখ আয়ুষ্মান ভারত কার্ড রাজ্যের জনগণের মধ্যে বিলি করা হয়েছে। রাজ্যের সাড়ে তিন লাখ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর বন্টন করা হয়েছে। কি স্বাস্থ্য, কি শিক্ষা সব ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। স্বাস্থ্য পরিষেবায় দুর্ঘটনা থেকে শুরু করে হার্টের অপারেশন, নিউরো সার্জারি অপারেশনের জন্য এখন রাজ্যের মানুষকে বাইরে যেতে হয় না ।এটাই হচ্ছে পরিবর্তন। যেটা আমরা ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগে শ্লোগান দিয়েছিলাম, চলো পাল্টাই। কমিউনিস্ট স্টেট কেরল রাজ্যে কর্মচারীদের ঠিকভাবে বেতন দেওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এ অনুসারে ত্রিপুরা রাজ্যের অবস্থা অনেক ভালো। ১০ হাজার ৩২৩ চাকরি নিয়ে পাপিয়া আরো অভিযোগ করে বলেন, এটা হচ্ছে ক্যাডারদের পুনর্বাসন। এমন অনেক রয়েছেন যাদের যোগ্যতা নেই। ঠিকভাবে অ্যাপ্লিকেশন পর্যন্ত লিখতে পারে না। সরকার মানবিক বলেই ক্ষমতা আসার পর দশ হাজার ৩২৩ চাকরির প্রাপকদের চাকরি চলে যাওয়ার পরও দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। করুনা পরিস্থিতিতে এককালীন আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। তিনি রাজ্যে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করায় রাজ্য সরকারকে অভিনন্দন জানান। যুব মোর্চার এই ধরনের ধন্যবাদ র্যালির প্রশংসা করেন।
এদিন, পথসভায় স্থানীয় বিধায়ক অরুণচন্দ্র ভৌমিক, বিলোনিয়া মন্ডল সভাপতি গৌতম সরকার, ঋষ্যমুখ মন্ডল সভাপতি সুশংকর ভৌমিক এবং যুব মোর্চার দক্ষিণ জেলা ও বিভিন্ন মণ্ডল সভাপতিরা অংশ নেন।