২৬ জুন থেকে শুরু হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী খার্চি পুজো ও মিলন মেলা।
দৈনিক সংবাদ অনলাইন: ছোট্ট পার্বত্য রাজ্য ত্রিপুরায় ১২ মাসে তেরো পার্বণ লেগেই থাকে। এর মধ্যে ত্রিপুরার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী প্রধান উৎসব হলো খার্চি পূজা। আর খার্চি পুজো মানেই পুরাতন আগরতলার খয়েরপুরে অবস্থিত চতুর্দশ দেবতার মন্দিরে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে লাখো মানুষের মিলন মেলা। ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে মহারাজা কৃষ্ণ কিশোর মানিক্যের হাত ধরে পুরনো হাভেলিতে সূচনা হয়েছিল চতুর্দশ দেবতার পুজো। বিশেষ রীতি মেনে আষাঢ় মাসের শুক্লা অষ্টমী তিথিতে শিব, দুর্গা, হরি, লক্ষ্মী, বাগদেবী, কার্তিক, গণেশ, ব্রহ্মা, পৃথিবী, সমুদ্র, গঙ্গা, অগ্নি, কামদেব এবং হিমাদ্রি, এই ১৪ জন দেবদেবী একসাথে পূজিত হন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল অংশের মানুষ এই খার্চি পূজায় অংশগ্রহণ করে থাকেন। রাজ্য ও বহিঃরাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ ছুটে আসেন এই পুজোয় সামিল হতে।
উল্লেখ্য, আগামী ২৬ জুন থেকে শুরু হতে চলেছে ৭ দিন ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী খার্চি পূজা ও মেলা। এই পুজো এবং মেলাকে সামনে রেখে রীতি অনুযায়ী ২২ জুন বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে নানা আচার আচরণ। সেই উপলক্ষে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে চতুর্দশ দেবতার মন্দির। জোর কদমে চলছে প্রস্তুতির কাজ। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ বছরের পুজোর সূচী তুলে ধরেন মন্দিরের পুরোহিত তথা চন্ডীপাঠক স্বরদেন্দু চক্রবর্তী।
এদিকে, রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবকে সর্বাঙ্গীণ সুন্দর ও সফল করে তুলতে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন রাজ্যের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এলাকার বিধায়ক রতন চক্রবর্তী। তিনিও বিস্তারিত তুলে ধরেন।