৩০ দিনে ৬৬৪ কোটি টাকা অর্জন করে চমকে দিলেন ২০ বছরের ছাত্র
উদয়াস্ত পরিশ্রম করেও মানুষ সারাজীবনে ১০০ কোটি টাকাও হয়তো উপার্জন করতে পারেন না । অনেকে আবার মনে করেন , সহজে টাকা রোজগারের সেরা পন্থা শেয়ার ট্রেডিং ফাটকা বাজারের ব্যবসা । কিন্তু তাতেও ক’জন মানুষ আর সুখের মুখ দেখে ! অথচ ২০ বছরের এই যুবক ( ছবি ) মাত্র ১ মাসে ভারতীয় মুদ্রায় ৬৬৪ কোটি টাকা উপার্জন করে ফেললেন । শুনতে রূপকথার মতো মনে হলেও ঘটনা সত্যি । কী ভাবে এমন রূপকথা সম্ভব হল ? ওই যুবক জানিয়েছেন , তিনি আমেরিকার শেয়ার বাজারে ২১৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন । এক মাস পরে নিজের কেনা স্টক ওই যুবক বিক্রি করেন প্রায় ৮৭৯ কোটি টাকায় । অর্থাৎ ১ মাসে ওই ছাত্রের নিট লাভ হয়েছে ৬৬৪ কোটি টাকা । তবে এত টাকা কামিয়েও তার শান্তি নেই । উল্টে আতঙ্কে ভুগছে তার পরিবার । তারা মনে করছেন , তাদের ঘরের রোজগেরে ছেলেকে টাকার লোভে অপহরণ করা হতে পারে । ঘটনাস্থল আমেরিকা । ২০ বছর বয়সি এই ছাত্রের নাম জেক ফ্রিম্যান । ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার ছাত্র তিনি । ফ্রিম্যান সেখানে ফলিত গণিত এবং অর্থনীতি নিয়ে পড়াশুনা করেছেন। ফলে একাধারে তিনি অর্থনীতি এবং গণিতে দক্ষ । সেই দক্ষতাকে পুঁজি করেই ফ্রিম্যান বেড বাথ অ্যান্ড বিয়ন্ড কোম্পানির একটি শেয়ারে বিনিয়োগ করেছিলেন । গত জুলাই মাসে ভারতীয় মুদ্রায় স্টক – পিছু ৪৪০ টাকা দরে ওই কোম্পানির প্রায় ৫০ লক্ষ শেয়ার কেনেন তিনি । তিনি শেয়ারে মোট লগ্নি করেন ২২০ কোটি টাকা । এক মাস পরে , ৪৪০ টাকার শেয়ারের দাম বেড়ে হয় ২১৬০ টাকা । কালক্ষেপ না করে জেক ফ্রিম্যান এক লপ্তে সব শেয়ার বিক্রি করে দেন । শেয়ার বিক্রির দরুন তিনি পান ৮৯৭ কোটি টাকা , অর্থাৎ মাত্র ৩০ দিনে নিট লাভ ৬৬৪ কোটি টাকা ।
বেড বাথ অ্যান্ড বিয়ন্ড
কোম্পানির সিএফও , ৫২ বছরের গুস্তাভো আর্নাল গত সপ্তাহে তার ম্যানহাটনের অ্যাপার্টমেন্টের ১৮ তলা থেকে নীচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন । তার বিরুদ্ধে ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছিল । গুস্তাভোর বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করেন , ঘুরপথে টাকা কামিয়ে তিনি শেয়ার ধারকদের ৯৬০ কোটি টাকা লোকসান করেছেন । গোটা ঘটনার জেরে এতে শেয়ারের দামে ব্যাপক পতন ঘটে । এখন বেড বাথ অ্যান্ড বিয়ন্ডের শেয়ারের দাম ৭ ডলারের নীচে নেমে যায় । এর পরে , সংস্থা অনেকগুলি স্টোর বন্ধ এবং কর্মীদের ছাঁটাই করার ঘোষণাও করে । ডেইলিমেইল ডটকম – কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফ্রিম্যান বলেন , “ আমি বুদ্ধি করে বেড কোম্পানির শেয়ারে অর্থ লগ্নি করেছিলাম । আমি ঠিক সেই সময়ে সেখানে বিনিয়োগ করি , যখন ওদের স্টকের দাম এক ধাক্কায় নীচে নেমে গেছিল । আমি জানতাম , ওদের স্টকের দাম বাড়বেই । তবে তা যে মাত্র তিরিশ দিনের মধ্যে পাঁচ গুণ বেড়ে যাবে আমার কল্পনারও অতীত ছিল । ’ রাতারাতি প্রচুর টাকা উপার্জন করে এখন অন্য আশঙ্কায় ভুগছেন তিনি ।