প্রশ্নের মুখে বৈধ সীমান্ত বাণিজ্য, আমদানির তুলনায় রপ্তানি নামমাত্র, পরিস্থিতি চিন্তাজনক!!
৩৩০০০ ফুট গর্ত খুঁড়ে ভূপৃষ্ঠের শেষ স্তরে পৌঁছতে চাইছে চিন।

FILE PHOTO: A drilling rig on a lease owned by Oasis Petroleum operates in the Permian Basin oil and natural gas production area near Wink, Texas U.S. August 22, 2018. REUTERS/Nick Oxford
১০ হাজার মিটার। ফুটে ধরলে প্রায় ৩৩ হাজার, ৩২,৮০৮ ফুট। পৃথিবীর মাটিতে গভীরতম গর্ত খুঁড়তে শুরু করেছে চিন।শুরু হয়ে গিয়েছে তার তোড়জোড় (ছবি)।পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা ৮ হাজার ৮৪৮ মিটার (২৯০৩০ ফুট)।চিনের গর্ত খোঁড়ার কাজ সম্পন্ন হলে তা হবে এভারেস্টের উচ্চতার চেয়েও গভীর।কেন এমন দুঃসহ প্রয়াস?চিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে,মানবসৃষ্ট গভীর এই খাদ দিয়ে ভূপৃষ্ঠের উপরে এবং নিচে নতুন সীমানা অনুসন্ধান করতে চলেছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশ।তবে চিনের এই গর্ত খোঁড়া নিয়ে ইতিমধ্যে বিস্তর কৌতূহল তৈরি হয়েছে।পৃথিবীর ‘স্তর’ ফুঁড়ে (ভূত্বক) এই গর্ত অন্তত ১০টি মহাদেশীয় স্তর ভেদ করবে। মহাদেশীয় স্তর আসলে পাথরেরই নানাবিধ আস্তরণ।মহাদেশীয় স্তর ভেদ করতে করতে পৌঁছে যাবে ভূত্বকের একেবারে শেষ স্তর ভূপৃষ্ঠের ক্রিটেশিয়াস সিস্টেমে। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন,সেখানে প্রায় ১ কোটি ৪৫ লক্ষ বছরের পুরোনো পাথর রয়েছে।চিনের উত্তর-পশ্চিমে বিশাল অংশ জুড়ে শিনজিয়াং প্রদেশ।এই এলাকা খনিজ তেল সমৃদ্ধ।সেখানেই এই গভীর গর্ত খুঁড়তে শুরু করেছে
বেজিং।মঙ্গলবার শিনজিয়াঙে গর্ত খোঁড়ার কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহাকাশের পাশাপাশি পৃথিবীর গভীরেও প্রযুক্তির ছাপ ফেলতে চলেছে শি জিনপিংয়ের সরকার।চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং একে পৃথিবীর গভীরে অন্বেষণ অভিযান বলে জানিয়েছেন। তবে পৃথিবীর গভীরে গিয়ে কী লাভ হবে সে দেশের, তা নিয়ে জল্পনার স্তর ভেদ করেননি জিনপিং। এ প্রসঙ্গে চাইনিজ অ্যাকাডেমি অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিজ্ঞানী সান জিনশেং সিনহুয়াকে বলেন, “এ খনন প্রকল্পের নির্মাণ জটিলতাকে দুটি পাতলা ইস্পাতের তারের উপর চালিত একটি বড় ট্রাকের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে।’এর আগে ২০২১ সালে এ দেশের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে পৃথিবীর গভীরতম এই অনুসন্ধানে আরও অগ্রগতির আহ্বান জানান চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।