৩৫ দিনে ৬ বার সাপের ছোবল খেয়েও সুস্থ যুবক!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-হরি যদি কাউকে বাঁচিয়ে রাখেন, তবে তাকে মারে সাধ্য কার? ফতেপুরের বিনোদ দুবের জীবনে যা ঘটেছে এবং তার পরেও তিনি মোটামুটি সুস্থ রয়েছেন, তাতে এ ছাড়া আর কী-ই বা বলা যায়!
২৪ বছরের যুবক বিকাশ। বাড়ি উত্তরপ্রদেশের ফতেপুর জেলার সৌরা গ্রামে।গত ২ জুন থেকে শুরু হয়েছিল তার উপর বিষাক্ত সাপের হামলা। এর পর গত ৩৫ দিনের মধ্যে বিকাশকে সাপ কামড়েছে ৬ বার!তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের কল্যাণে আপাতত সুস্থই আছেন এই তরুণ।বিকাশকে যতবার বিষাক্ত সাপ ছোবল দিয়েছে, ততবারই তাকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। প্রতিবারই সুস্থ হয়েছে বাড়ি ফিরেছেন তিনি।
বাড়িতে নিজের ঘরে বিষাক্ত সাপের কামড় খাওয়ার পর জানা যায়, বিকাশের বাড়িতে সাপের উপদ্রব বেড়েছে। তখন আত্মীয়- স্বজনদের পরামর্শে তিনি বাড়ি ছেড়ে রাধানগরে তাঁর পিসির বাড়িতে চলে যান।সেখানেই থাকছিলেন বিকাশ।
কিন্তু নিজের বাড়ি ছেড়েও রেহাই সাপের ছোবল থেকে রেহাই পাননি বিকাশ।পিসির বাড়িতে ফের তাকে সাপে কামড়ায়।হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে এলে বিকাশ সাপের ভয়ে আবার দুর্ভাগ্য,তাতেও কোনো লাভ হয়নি।একের পর এক তিনি সাপের কামড়ের শিকার হতে থাকেন।সর্বশেষ ৬ জুলাই সৌরাপুর গ্রামে পৈতৃক বাড়িতে ফেরার পর বিকাশকে ষষ্ঠবার ছোবল মারে বিষাক্ত সাপ।
এমন অ-স্বাভাবিক ঘটনা তার সঙ্গেই কেন ঘটছে? আদিদৈবিকতায় বিশ্বাসী বিকাশ দুবে জানান, প্রতিবারই তাকে শনি বা রবিবার সাপে কামড়েছে। প্রতিবারই সাপের কামড়ের আগে তার মধ্যে একধরনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। আমাদের দেশে সাপের কামড়ের ঘটনা বহু চর্চিত বিষয়।তথ্য বলছে, প্রতি বছর ভারতে ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ সাপের কামড়ের ঘটনা ঘটে।
প্রতি বছর সাপের কামড়ে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ মারা যান। চার প্রজাতির সাপের কামড়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে এ দেশেএর মধ্যে রয়েছে কাল কেউটে, গোখরো, রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) ও স-স্কেলড ভাইপার (ফুরসা বোড়া সাপ)।
গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ায় ৩০ বছর বয়সি এক তরুণীকে অজগর খেয়ে ফেলে।অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার স্বামী দেখতে পান, সাপের মুখ দিয়ে তার স্ত্রীর দুটি পা বেরিয়ে আছে।তখন তিনি অজগরকে মেরে স্ত্রীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন।তবে ততক্ষণে আর লাভ হয়নি।