দৈনিক সংবাদ অনলাইনঃ অবশেষে দীর্ঘ বাহান্ন মাস পর খোলস ছেড়ে রাজপথে প্রতিবাদে মুখর হলো অমরপুরের কংগ্রেস নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থকরা। রাজ্যে খুন সন্ত্রাস বন্ধ করা সহ উপ-নির্বাচনের পর রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে কংগ্রেস নেতা কর্মীসমর্থকদের উপরে ও বাড়ি ঘরে হামলা হুজ্জুতির প্রতিবাদে এবং গত বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে বিজেপি দলের দেওয়া প্রতিশ্রুতি খেলাপের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার অমরপুর শহরে বিক্ষোভ মিছিল সংঘটিত করে ব্লক যুব কংগ্রেস কর্মীরা। এদিন বীরগঞ্জ থানা সংলগ্ন কংগ্রেস ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে পুনরায় কংগ্রেস ভবনের সামনে সমবেত হয়।
মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন গোমতী জেলা কংগ্রেস সভাপতি সৌমিত্র বিশ্বাস, স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব মরন দাস,হারাধন দাস, পিন্টু সাহা, ব্লক যুব কংগ্রেস সভাপতি রাকেশ দাস প্রমুখ। ২০১৮’র বিধানসভা নির্বাচনের পর অমরপুরে কংগ্রেস দলের অস্তিত্বই বিলুপ্ত হয়ে গেছিল। হাতে গোনা কয়েকজন বাদ দিয়ে বাকি কংগ্রেস নেতা ও কর্মীদের বেশিরভাগই বিজেপি দলে মিশে গিয়েছিল। আর বাকিরা পরবর্তী সময়ে তৃনমুলে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া উপ-নির্বাচনে ৬ নং আগরতলা কেন্দ্রের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর সারা রাজ্যের সাথে অমরপুরেও কংগ্রেস দলের কর্মীসমর্থকরা উজ্জীবিত হতে থাকে। বিজেপি দলে নাম লিখিয়েও যথাযথ মুল্যায়ন না পাওয়া নেতা ও কর্মী সমর্থকরা পুনরায় কংগ্রেস দলে সামিল হতে শুরু করে।
অনেকে আবার বিজেপি ছত্রছায়ায় থেকেই তলে তলে কংগ্রেস দলকে উজ্জীবিত করার কাজে সহায়তাও করে যাচ্ছে। রাজ্যে বিজেপি আইপিএফটি জোট সরকার প্রতিষ্ঠার সাড়ে চার বছর পর এই প্রথম সংগঠিত কংগ্রেস নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থকদের অমরপুরের রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল সংঘটিত করতে প্রত্যক্ষ করলেন অমরপুরের সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভ মিছিলে শতাধিক যুবক অংশের কর্মী সমর্থকদের অংশ গ্রহণ করতে দেখা গেছে।
দীর্ঘবছর বাদে কংগ্রেসের উদ্যোগে আয়োজিত মিছিল দেখতে বাজারের রাস্তার দুইপাশে কৌতুহলী জনতার ভীড়ও লক্ষ করা গেছে। প্রসঙ্গত, অমরপুর উত্তর বাজারের বীরগঞ্জ থানা সংলগ্ন স্থানে বর্তমান রাজ্য মন্ত্রিসভার জনৈক সদস্যের পিতৃ পুরুষের দান করা ভূমিতে অমরপুর ব্লক কংগ্রেস কার্যালয় ছিল দীর্ঘ বছরের পর বছর ধরে। কিন্তু বিজেপি আইপিএফটি জোট সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর রাজ্যের অন্যান্য স্থানের রাজনৈতিক দলের অফিস গুলির সাথে অমরপুর কংগ্রেস ভবনটিও স্থানীয় প্রশাসন গুড়িয়ে দেয়। প্রশাসনের বক্তব্য ছিল, কংগ্রেস ভবনটি সরকারি খাস ভূমিতে ছিল। কিন্তু নথিপত্র অন্যকথা বলে। যার সাক্ষী সয়ং রাজ্য মন্ত্রিসভার একজন সদস্য খোদ। কংগ্রেস ভবন গুড়িয়ে দিলেও অমরপুরের মরন দাসের মতো হাতে গোনা কংগ্রেস কর্মীরা অদ্যাবধি ওই স্থানেই দলীয় পতাকা উত্তোলন করে জায়গাটি আগলে রেখেছেন।
প্রতিবেশী বাংলাদেশে গত ছয়মাস ধরে চলতে থাকা অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে একেবারে নিঃশব্দে এগিয়ে…
অনলাইন প্রতিনিধি:-প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা করছে না সরকার। জেআরবিটির মাধ্যমে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যেররাজধানী শহর আগরতলার যোগাযোগ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে উড়াল সেতু। শহরের পশ্চিম…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যেরসরকারী স্কুলে পরীক্ষার সূচি প্রকাশ হতেই রাজ্যের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের উপর জুলুমের অভিযোগ উঠেছে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট একটি প্রতীককে ত্রিপুরা সরকারের রাজ্য প্রতীক/লোগো হিসেবে ব্যবহারের…
অনলাইন প্রতিনিধি :-সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকালই বিজেপির দশটি সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের নামে চূড়ান্ত সীলমোহর পড়বে।…