বিভৎস ট্রেন দুর্ঘটনা, ছিটকে গেল চলন্ত তিনটি মালগাড়ির কামরা!!
৫৫০ মিটার দৃশ্যমানতায় বিমান অবতরণের সুবিধা চালুর উদ্যোগ।।

অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রাকৃতিক
দুর্যোগ ও ঘন কুয়াশায় এমবিবি-আগরতলা বিমানবন্দরে বিমান অবতরণে আরও সুবিধা চালু করার জন্য একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে উদ্যোগ বাস্তবায়নে কিছুটা সময় লাগবে। রানওয়েতে বিমান অবতরণে এই সুবিধা চালু হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ঘন কুয়াশায় দৃশ্যমানতা আরও অনেকটা কমে যাবে। ফলে রানওয়েতে বিমান অবতরণে ইন্সট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেমে (আইএলএস) বর্তমানে চালু দৃশ্যমানতা আটশ মিটার থেকে কমে ৫৫০ মিটারে গিয়ে দাঁড়াবে। ইন্সট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেমে ৮০০ মিটারের পরিবর্তে ৫৫০ মিটার দৃশ্যমানতা পেয়ে গেলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ঘন কুয়াশায় রানওয়েতে বিমান অবতরণে বিমান চালকের ভালো সুবিধা হবে। তাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ঘন কুয়াশার জন্য দৃশ্যমানতার সমস্যায় এইভাবে এতো বিমান উড়ান বিলম্ব ও বাতিল হবে না বলে বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। এমবিবি আগরতলা বিমানবন্দরে এই ব্যবস্থা চালু করার জন্য এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (এআইআই) দিল্লীর প্রধান কার্যালয়ে ইতিমধ্যেই চূড়ান্তভাবে বিস্তারিত সব কিছু জানিয়ে ফাইল পাঠানো হয়েছে। সোমবার এমবিবি আগরতলা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৈলাশ চন্দ্র মিনা জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ঘন কুয়াশার সময় ৫৫০ মিটার দৃশ্যমানতার সুবিধা পেতে নতুন করে বিমানবন্দরে কী কী পদ্ধতি ও ব্যবস্থা চালু করতে হবে সেইসব বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দিল্লীতে তাদের প্রধান কার্যালয়ে ফাইল পাঠানো হয়েছে বেশ কিছুদিন আগেই। এখন এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার তরফে এস্টিমেট বানিয়ে দরপত্র আহ্বান করা হবে। বিমানবন্দর অধিকর্তা আরও জানান, ৫৫০ মিটার দৃশ্যমানতার সুবিধার জন্য রানওয়ের উত্তর দিকে (নারায়ণপুরের দিকে) রানওয়ে বরাবর দুই পাশে বড় বড় অ্যাপ্রোজ লাইট বসানো হবে। অত্যাধুনিক বড় বড় অ্যাপ্রোজ লাইট ও তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আরও কিছু আধুনিক ব্যবস্থা চালু করা হবে। বিমানবন্দরে এইসব ব্যবস্থা চালু হলে বিমান চালক নরসিংগড়ের দিক থেকে রানওয়ের উত্তর প্রান্ত দিয়ে ইন্সট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেমের মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ঘন কুয়াশায় ৫৫০ মিটার দৃশ্যমানতায় বিমান অবতরণ করাতে পারবেন।বিমানবন্দরের ইন্সট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম যন্ত্রটি রানওয়ের উত্তর প্রান্ত ধরে বিমান অবতরণের সুবিধার জন্য সেই দিকে বসানো আছে। বিমানবন্দরের রানওয়ের দুই প্রান্ত ধরে বিমান অবতরণ ও আকাশে উঠে। দক্ষিণে ও উত্তর প্রান্তের মধ্যে রানওয়ের একমাত্র উত্তর দিক ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ঘন কুয়াশায় ইন্সট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেমের সুবিধা নিয়ে এখন আটশ মিটার দৃশ্যমানতায় বিমান চালক বিমান অবতরণ করান। বিমান অবতরণে কবে ৫৫০ মিটার দৃশ্যমানতার সুবিধা চালু হবে সেই প্রশ্নের উত্তরে বিমানবন্দর অধিকর্তা কৈলাস চন্দ্র মিনা জানান, এস্টিমেট হয়ে গেলেই দরপত্র আহ্বান করবে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার দিল্লী কার্যালয়। এই প্রক্রিয়া শেষ হলে উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ শুরু হবে। কিছুটা – সময়তো লাগবেই বলে জানান তিনি। প্রসঙ্গত, দেশের বড় বড় বিমানবন্দরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ঘন কুয়াশায় বিমান অবতরণে উন্নত ব্যবস্থা চালু থাকায় দিল্লী, মুম্বাই, কলকাতা সহ কোন বিমানবন্দরে পঞ্চাশ মিটার আবার কোন কোন বিমান বন্দরে একশ মিটার দৃশ্যমানতার ব্যবস্থা চালু রয়েছে।