দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান হল আজ। ১ জুন, বুধবার থেকে কাঙ্খিত শিলিগুড়ির নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ‘মিতালি এক্সপ্রেস’ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিল সকাল সাড়ে নটা নাগাদ। আন্তর্জাতিক পথে এই ঐতিহাসিক রেলযাত্রী পরিষেবার সূচনায় বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম দিল্লি এসে পৌঁছেছিলেন মঙ্গলবার রাতেই। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন ভারতের রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। যৌথভাবে দুই দেশের রেলমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এই মিতালি এক্সপ্রেসের সূচনা করলেন। এই উপলক্ষে বুধবার এনজেপিতে উপস্থিত ছিলেন উত্তর-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অনশুল গুপ্তা, মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে, জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়, শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ সহ অন্যরা।
নয়া ট্রেনের সূচনা উপলক্ষে এদিন প্রচুর মানুষ স্টেশন চত্বরে ভিড় জমায়। প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশের তৃতীয় ট্রেন হল মিতালি এক্সপ্রেস। বাকি দুটি ট্রেন হল কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস ও কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস। মিতালি এক্সপ্রেস চালু হওয়ায় উত্তরবঙ্গে পর্যটন শিল্পের আরও বিকাশ হবে বলে আশা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
সপ্তাহে দু’দিন ট্রেনটি হলদিবাড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। এরপর চিলাহাটি হয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে যাবে। শিলিগুড়ি-ঢাকা রেল যোগাযোগের ঘটনায় পর্যটন ব্যবসায়ী, দু’দেশের বাসিন্দাদের পাশাপাশি বণিকমহলও খুশি।
এই পথে ৫৮ বছর পর যাত্রী নিয়ে রেলের চাকা ঘুরল। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও এই পথে যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন চলেছিল। বাংলাদেশ তখন ছিল পাকিস্তানের অধীনে। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাক যুদ্ধের পর বন্ধ হয়ে যায় দু’দেশের মধ্যে রেল চলাচল। এরপর দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল রেলপথটি।
হলদিবাড়ি-চিলাহাটি পরিত্যক্ত রেলপথটি শেষে চালুর উদ্যোগ নেয় দুই দেশের সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত রেলপথ অংশ ও সীমান্ত জুড়ে দেওয়ার পর গত বছর থেকে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। পাশাপাশি যাত্রিবাহী ট্রেনও চালুর প্রয়াস ছিল। গত বছর ২৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেছিলেন ট্রেনটির। তবে করোনার জন্য সেটি চালু হতে পারেনি।
বুধবার দিল্লির রেল ভবন থেকে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ও বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন যৌথভাবে ভার্চুয়াল মিতালির উদ্বোধন করলেন। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের দূরত্ব ৫৯৫ কিলোমিটার। যার মধ্যে ৬৯ কিলোমিটার ভারত ভূখন্ডে পড়েছে। এই পথে যেতে ট্রেনটির সময় লাগবে ৯ ঘন্টা। ১০ বগির ট্রেনটি ডিজেল ইঞ্জিনে চলবে। এর মধ্যে ৪ টি বাতানুকূল কেবিন কোচ এবং ৪ টি বাতানুকূল চেয়ার কার থাকবে।
ট্রেনটির এসি কেবিন বার্থের ভাড়া ৪,৯০৫ টাকা, এসি কেবিন চেয়ার কারের ভাড়া ৩,৮০৫ টাকা, এসি চেয়ার কারের ভাড়া ২,৭০৭ টাকা। শিশুদের ৫ বছর পর্যন্ত ৫০ শতাংশ ছাড় রয়েছে। সর্বোচ্চ ২০ কেজি ওজনের জিনিসপত্র বিনামূল্যে বহন করা যাবে। এর বেশি হলে অতিরিক্ত ফি দিতে হবে।
ট্রেনটি নিউ জলপাইগুড়ি থেকে বুধ ও রবিবার করে সকাল ১১ টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে যাবে। লোকো পাইলট বদলানোর জন্য সীমান্ত স্টেশন হলদিবাড়ি ও বাংলাদেশের দিকে চিলাহাটিতে ১০ মিনিট করে দাঁড়াবে ট্রেনটি। এছাড়া এই ট্রেনের পথে কোনও স্টপেজ নেই। ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছবে রাত সাড়ে ১০ টায়। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে সোম ও বৃহস্পতিবার রাত ৯ টা ৫০ মিনিটে এনজেপি’র উদ্দেশ্যে ট্রেন ছাড়বে। নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছাবে পরের দিন সকাল ৭ টা ৫ মিনিটে।
অনলাইন প্রতিনিধি :-মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উচ্চ সতর্কতা জারি করা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-গেজেট নোটিফিকেশন দিয়ে আওয়ামী লীগের সবরকম কার্যকলাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী প্রশাসন…
অনলাইন প্রতিনিধি :-সুপ্রিম কোর্টের ব্যাটন তুলে দিয়ে গেলেন বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের হাতে। বুধবার ১৪…
অনলাইন প্রতিনিধি :-‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে প্রচারে নামতে চলেছে বিজেপি।পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ায় ভারতীয় সেনা বাহিনীকে ধন্যবাদ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে শ্রীনগর। শ্রীনগর বিমানবন্দরও মঙ্গলবার খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। রাস্তা ঘাটে স্বাভাবিক…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে সামরিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, তা প্রশমনের পর মঙ্গলবার…