৫ বছরে ভোটার বৃদ্ধি ২.৪ লক্ষ্য, প্রথম ভোটার ৬৫ হাজার
২০১৮-এর তুলনায় ২০২৩-এর ভোটে ভোটার বেড়েছে পাঁচ বছরে ২ লক্ষ ৪০ হাজার। পাঁচ বছরে ভোটার বৃদ্ধি নয় শতাংশ। শেষ বছরে অর্থাৎ ২০২২ থেকে ২০২৩-এ বৃদ্ধি পেয়েছে ২.৯১ শতাংশ। দেশের অন্যান্য রাজ্যে এক বছরে গড় বৃদ্ধি দুই শতাংশ। এই তুলনায় ত্রিপুরায় বেশি। এই দাবি করেছেন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক কিরণ গিত্তে। শুক্রবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছেন শরণার্থীদের মোট ৬,৩০২ টি পরিবারের মধ্যে ৫,৫০৫টি পরিবার রাজ্যের ১২টি জায়গায় পুনর্বাসন নিয়েছে। এই পরিবারগুলির সাড়ে তের হাজারের কিছু বেশি ভোটারের সবার নাম চূড়ান্ত তালিকায় রয়েছে। নাম নেওয়া হয়েছে ২৬ ডিসেম্বর অবধি। যে সব পরিবার পুনর্বাসন নেয়নি, এখনও শিবিরে রয়েছে তাদের নাম আসেনি।
চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় এ বছর নতুন ভোটার যাদের বয়স ১৮ থেকে ১৯ এর মধ্যে, তাদের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৪৪ জন। এদের মধ্যে ছেলে ভোটার ৩৪ হাজার ৭০৪, মেয়ে ৩০,৩২৮। ১২ জন রয়েছে তৃতীয় লিঙ্গের। অশীতিপর ভোটার রয়েছেন ৩৮ হাজার ৩৯ জন। শতায়ু ভোটার ৬৭৯। সাংবাদিক সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের হিংসামুক্ত ভোটের মিশন সম্পর্কে গিত্তে এদিন বলেন, আলোচনাটা যাতে ঘর থেকে শুরু করা যায় সেজন্য চেষ্টা চলছে। বিধানসভা ভিত্তিক সর্বদলীয় বৈঠকের পর থানাভিত্তিক বৈঠকের কর্মসূচি রয়েছে। সংবাদমাধ্যমগুলিতেও হিংসামুক্ত ভোটের আলোচনা বা প্রচারের উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানিয়ে সিইও বলেন, ২০১৮ সালের ভোটে রাজ্যে বিভিন্ন হিংসার ঘটনায় ৩৭০ টি এফআইআর হয়েছিল থানায়। রাজ্যের সার্বিক স্বার্থে, অন্য রাজ্যের মানুষের কাছে যাতে ত্রিপুরার ভাবমূর্তি নষ্ট না হয় সেজন্য ঘর থেকেই শুরু হওয়া উচিৎ আলোচনা – এমন ভাবনা থেকে এ বছর পৌষ পরবে হিংসামুক্ত ভোটের মিশনে ষাটটি বিধানসভা কেন্দ্রেই আলপনা প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাবে নির্বাচন দপ্তর। সিইও গিত্যে বলেন, প্রতি বিধানসভা নির্বাচনি ক্ষেত্রে ছয়টি করে সারা রাজ্যে ৬০০ টি আলপনা পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইও জানান, ১০ তারিখে আসছেন নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা। ১১ জানুয়ারী আসবেন নির্বাচন কমিশনার। মোট ষোল দলের প্রতিনিধি দল রাজ্য সফর সেরে ১২ জানুয়ারী শিলং যাবেন। ১৩ এবং ১৪ জানুয়ারী তাদের সফরসূচি রয়েছে নাগাল্যাণ্ডে। সিইও বলেন, ভোট ঘোষণা করে তা স্থির করবেন নির্বাচন কমিশন। তবে তিনি মনে করিয়ে দেন ২০১৮ সালের ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছিল ১৮ জানুয়ারীতে। অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক জানান, গত ২২ নভেম্বর থেকে ভোট সামনে রেখে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় যে নাকাবন্দি করা হয়েছে সেখানে এই পর্যন্ত ১২ কোটি টাকার সামগ্রী ও নগদ অর্থ আটক হয়েছে। এনফোর্সমেন্টের এই অভিযানে মাদক, বেআইনি সামগ্রী, কিছু নগদ অর্থ আটক হয়। তিনি জানান, ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে ৫০ কোম্পানি সিআরপিএফ এসেছে। ৮ জানুয়ারীর মধ্যে আরও কোম্পানি চলে আসছে।