৭ দিনের সময় বেঁধে চাকরিতে ফেরার আর্জি জানাল চাকুরিচ্যুতরা

 ৭ দিনের সময় বেঁধে চাকরিতে ফেরার আর্জি জানাল চাকুরিচ্যুতরা
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

তথ্য জানার আইনে সর্বোচ্চ আদালতের বক্তব্য অনুযায়ী বেশ কিছুদিন ধরে রাজ্যের চাকরিচ্যুত ১০৩২৩ শিক্ষক শিক্ষিকারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন । তাদের বিদ্যালয় চলো কর্মসূচির আগাম ঘোষণা অনুযায়ী গত ১২ আগষ্ট সারা রাজ্যের সাথে উত্তর জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদান করতে গেলে তাদের যোগদানের লিখিত আবেদন গ্রহণ করেননি বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষকরা । আর এতেই তীব্র আন্দোলনমুখী হয়ে উঠে ১০৩২৩ শিক্ষক শিক্ষিকারা । সারা রাজ্যে তাদের ধারাবাহিক কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে শুক্রবার সকাল ১১ টায় উত্তর জেলার জেলা শিক্ষা আধিকারিকের কার্যালয়ে বিদ্যালয়ে পুনরায় যোগদান করার দাবি নিয়ে এক ডেপুটেশনে মিলিত হয় বিশাল সংখ্যক চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকা । এই ডেপুটেশনের নেতৃত্বে ছিলেন চাকরিচ্যুত শিক্ষক বিজয় কৃষ্ণ সাহা । জেলা শিক্ষা আধিকারিক সুদীপ কুমার নাথকে চাকরিচ্যুতরা সর্বোচ্চ আদালতের বক্তব্যের প্রতিলিপি দেখিয়ে বলেন , এখানে কোনও জায়গায় তাদের চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এমন কথা লেখা নেই । তবে কেন তাদের বিভিন্ন স্কুলে যোগ দিতে দেওয়া হচ্ছে না ? বিভিন্ন স্কুলে চাকরিচ্যুতরা তাদের আবেদনপত্র জমা দিতে গেলে তা গ্রহণ করা হচ্ছে না। কোনও কোনও স্কুলে আবেদন জমা রাখা হলেও তার রিসিভ কপিতে স্বাক্ষর দেওয়া হয়নি । তাই তারা আজ সকলে মিলে এর কারণ জানতে আসেন । জানা গেছে , দীর্ঘ তিন ঘন্টা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনায় তাদের মূল বক্তব্য ছিল তাদের পুনরায় চাকরিতে যোগদান করতে দেওয়া হোক আর তা না হলে তাদের প্রত্যেককে পৃথকভাবে টারমিনেশন লেটার দিতে হবে । এই ডেপুটেশন প্রদানকালে দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে জেলা শিক্ষা আধিকারিক সুদীপ কুমার নাথ তাদের জানিয়ে দেন তারা সকলে বিদ্যালয়ে গিয়ে তাদের যোগদানের আবেদন জমা দিতে পারবেন , ততসঙ্গে তাদের আবেদন জমা রেখে রিসিভ কপিতে স্বাক্ষর দেওয়ার কথা তিনি বলে দেবেন । সেই আবেদনপত্রগুলি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জেলা শিক্ষা আধিকারিক রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের ডিরেক্টরের নিকট পাঠাবেন । আর এই আশ্বাসে আশ্বস্ত হয়ে এদিন বেলা দুটোয় চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা তাদের ডেপুটেশন কর্মসূচি সমাপ্ত করেন । ডেপুটেশন শেষে চাকরিচ্যুত শিক্ষক বিজয় কৃষ্ণ সাহা জানান , সর্বোচ্চ আদালতে আরটিআই থেকে পাওয়া বক্তব্যের কপি সহ বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে তারা জেলা শিক্ষা আধিকারিকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন উনার কার্যালয়ে তাদের চাকরি থেকে টার্মিনেশন হয়েছে এমন কোনও কাগজপত্র এসেছে কিনা । এর উত্তরে চাকরিচ্যুতরা জেলা শিক্ষা কোনও আধিকারিকের কাছ থেকে জানতে পারেন চাকরিচ্যুতদের টার্মিনেশন লেটার তিনি পাননি । চাকরিচ্যুতদের বিদ্যালয়ে পুনরায় যোগদান করতে দেওয়া অথবা টার্মিনেশন লেটার দেওয়ার দাবিতে সাতদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয় জেলা শিক্ষা আধিকারিকের কাছে । তিনি বলেন , এই সাতদিন উত্তর জেলায় বিদ্যালয়গুলিতে যোগদান করার জন্য আবেদনপত্র নিয়ে যাবেন তারা ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.