৮ মাসেও ত্রিপাক্ষিক চুক্তির শর্ত পূরণ কেন হলো না, প্রশ্ন জিতেনের!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপাক্ষিক চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা জিতেন চৌধুরী। তিনি বলেন, ত্রিপাক্ষিক চুক্তি কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে হয়েছে। আট মাস হতে চলছে চুক্তির। তবে ত্রিপাক্ষিক চুক্তির একটি শর্তও পূরণ হয়নি। উল্টো দেখা যাচ্ছে, এখন আবার ত্রিপাক্ষিক চুক্তির শর্তগুলি পূরণের দাবিতে আগামী ১৪ নভেম্বর রাজ্যপালের উদ্দেশে ডেপুটেশন প্রদান করা হবে। যার থেকে প্রমাণিত ত্রিপাক্ষিক চুক্তি আদতে মোডালিটি কমিটির মতোই হাস্যকর একটি দলিল।সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরী তার ব্যক্তিগত সামাজিক মাধ্যমে বলেন, আমরা চুক্তি করলাম কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে। এরপর পাহাড় জুড়ে উৎসব হলো। ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে ছিল ছয় মাসের মধ্যেই সব শর্ত পূরণ করা হবে। তবে দেখা গেল ছয় মাস শেষ হবার পর সাত মাসের মাথায় এসে গত ২১ সেপ্টেম্বর ত্রিপাক্ষিক চুক্তির প্রথম বৈঠক হলো নয়াদিল্লীতে। তবে এরপরও কোনও শর্ত পূরণ হলো না। উল্টো এখন আট মাসের মাথায় এসে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি শর্ত পূরণের জন্য রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন প্রদান হচ্ছে। তবে সহজেই অনুমেয় ত্রিপাক্ষিক চুক্তির নামেও রাজ্যবাসীর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হচ্ছে। জিতেন চৌধুরীর দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যপালকে নিয়োগ করেছে। আমাদের চুক্তিও হলো কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে। তাই এই ত্রিপাক্ষিক চুক্তির শর্তপূরণ রাজ্যপাল কীভাবে করবেন? এক্ষেত্রেও রাজ্যপালের কোনও ক্ষমতা নেই। এখন আবার শোনা যাচ্ছে চলতি নভেম্বর মাসেই নাকি আবার নয়াদিল্লীতে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি নিয়ে বৈঠক হচ্ছে। তার থেকেই প্রমাণিত ত্রিপাক্ষিক চুক্তিও এক ধরনের নাটক! তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রথমে দাবি ছিল গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ড এরপর আসল সাংবিধানিক সমাধান। আর এখন ত্রিপাক্ষিক চুক্তি। তবে এসব করে আর রাজ্যের মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। রাজ্যবাসী ২০২৩ সালের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের
ফলাফল দেখে সব ধরে ফেলেছেন। তাই রাজ্যের মানুষ এখন উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষা করছেন। তারা মানুষের জবাবও পাবেন।
জিতেন চৌধুরী বলেন, ত্রিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে প্রচার হচ্ছে, আমাদের ভূমির অধিকার, ভাষার অধিকার, আর্থ-সামাজিক অধিকার প্রদান করতে হবে। তবে রাজ্যে কি এখন এই অধিকারগুলি রাজ্যবাসীর নেই। মানুষ সব ধরে ফেলেছেন। তাই রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন প্রদানের মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা হচ্ছে। তবে এতে কোনও কাজ হবে না।
তিনি বলেন, ১২৫তম সংবিধান সংশোধনী বিল, ককবরক ভাষাকে অষ্টম তপশিলে অন্তর্ভুক্ত করা এবং ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্ব-শাসিত জেলা পরিষদে সরাসরি অর্থ প্রদান করা। এই দাবি তো প্রত্যেক রাজ্যবাসীর দাবি। যা গত ত্রিশ বছর ধরে করা হচ্ছে। তবে এখন অন্যের দাবিকে নিজের বলে প্রচার করে এরা এরা পড়ে গিয়েছে। তিনি তাই শান্তি- সম্প্রীতি রক্ষায় সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।