ত্রিপুরার সাহিত্য চর্চায় নয়া ইতিহাস রচনা করেছে উড়ান: জয় গোস্বামী।।
আখাউড়া মুক্ত দিবসে মুক্তি ও মিত্রবাহিনীকে স্মরণ!!

দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি।। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, পাক হানাদার মুক্ত হয়েছিলো। সেই থেকে দিনটি আখাউড়া মুক্ত দিবস হিসাবে পালিত হয়ে আসছে। মঙ্গলবারও শ্রদ্ধা আর স্মরণের মাধ্যমে এই দিবসটি পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আখাউড়া রেলষ্টেশন এলাকায় সিরাজুল হক মুক্ত মঞ্চে প্রদীপ প্রঞ্জলন করে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। একাত্তর সালের ছয় ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা উত্তোলন করা হয় পোষ্ট অফিসের সামনে। একইস্থানে সাকালে পতাকা উত্তোলন করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ড।

মুক্ত দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দীপংকর ঘোষ এর সভাপতিত্বে পোষ্ট অফিসের সামনে হয় আলোচনা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহ অফিসার অংগজ্যাই মামরা। বক্তৃতা করেন মুক্তিযোদ্ধা জমসেদ শাহ ও বাহার মিয়া মালদার, আখাউড়া আওয়ামীলীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী প্রমুখ। আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগজ্যাই মারমা দৈনিক সংবাদকে বলেছেন, মুক্তিবাহিনী এবং ভারতীয় মিত্র বাহিনীর যৌথ আক্রমণে মুক্ত হয়েছিলো আখাউড়া।

এই বীরদের অনেকে সেদিন জীবন দিয়েছিলেন। আমরা তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছি। মুক্তিযোদ্ধারা বলেছেন, আখাউড়ায় ভারতীয় মিত্র ও মুক্তিবাহিনীর যৌথ অভিযান শুরু হয় ডিসেম্বর থেকে। পাঁচ ডিসেম্বর রাতে তুমুল যুদ্ধে পাক বাহিনীর ব্যপক ক্ষতির পর তারা পিছু হটে। আখাউড়া পোষ্ট অফিসের সামনে উত্তোলন করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা। আগের রাতের গুলি আর গোলার শব্দে আতংকগ্রস্থ আখাউড়ার সাধারণ মানুষ সেদিন উল্লাস করেন। বলা হয় আখাউড়া পতনের পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আখাউড়া থেকে ঢাকার পথে আর কোথাও দাঁড়াতে পারেনি।
প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের একজন বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল এখানে জীবন উৎসর্গ করেন। ভারতীয় মিত্র বাহিনীর ল্যান্স নায়েক অ্যালবার্ট এক্কা। একাত্তরের তিন ডিসেম্বর বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধরত অবস্থায় আখাউড়া গঙ্গাসাগরে প্রাণ বিসর্জন দেন। তিনি মরণোত্তর ভারতের সর্বোচ্চ বীরত্বের পুরস্কার পরমবীর চক্রে ভূষিত হয়েছিলেন।
