দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রের তৈরি উপগ্রহ মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার প্রতীক্ষায়

 দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রের তৈরি উপগ্রহ মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার প্রতীক্ষায়
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

সম্প্রতি মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন ইনস্পেস-এর কর্ণধার পবন গোয়েঙ্কা। এবার দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের হাতে তৈরি কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানোর কথা ঘোষণা করল ইসরো। কেন্দ্রীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সাহায্যে চলতিমাসেই উৎক্ষেপণ করা হবে ‘ইনকিউব’ নামের স্যাটেলাইটটি। জম্মুর বিএসএফ সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের ছাত্র ওঙ্কার বাত্রা। সে-দেশের প্রথম ওপেন-সোর্স স্যাটেলাইট তৈরি করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছে। সে ইতিমধ্যেই ‘বাত্রা
টেকনোলজি’ নামে নিজের এক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছেন ওঙ্কার। এমনকী ২০২০ সালে করোনাকালে একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত থেকে ‘জাতীয় বাল পুরস্কার’এও সম্মানিত হন তিনি। কৃতী ছাত্র ওঙ্কার জম্মুর ম্মু সরকারি মেডিক্যাল কলেজের জন্য টেলিমেডিসিন ওয়েবসাইট তৈরি করে দিয়েছিলেন। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডরেকর্ডস-এও নাম তুলেছেন তিনি।
২০১৯ সালে ইসরোর তরফে জানানো হয়েছিল, বেসরকারি সংস্থার ছাত্রদের তৈরি উপগ্রহ নির্ধারিত উচ্চতায় প্রতিস্থাপন করতে প্রথমবার পিএসএলভি-র চতুর্থ স্টেজ ‘পিএস ৪’ ব্যবহার করা হবে। সেই বছর মাত্র দেড় কিলোগ্রাম ওজনের ‘কালামস্যাট’ উপগ্রহটি প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল
কালামের নামে নামকরণ করা হয়েছিল । সেই সময় ‘কালামস্যাট’ তৈরিতে মোট
খরচ হয়েছে ১২ লক্ষ টাকা। গোটা অর্থের জোগান দিয়েছে কলেজ পডুয়়রা
এবং চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি সংগঠন ‘স্পেস-কিডজ ইন্ডিয়া’।
প্রসঙ্গত, গোটা প্রকল্পটি ‘প্যারাডক্স সোনিক স্পেস রিসার্চ এজেন্সি’র
তত্ত্বাবধানে শেষ করা হয়েছে। ১ কিলোগ্রাম ওজনের এই কৃত্রিম উপগ্রহটি
ন্যানোটেকনোলজি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। ইসরোর লঞ্চপ্যাড থেকে
এই ধরনের উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য খরচ পড়ে ২০ থেকে ৮০ লক্ষ টাকা।
বিদেশি মহাকাশ কেন্দ্রের ক্ষেত্রে এই খরচ বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় কয়েক কোটি টাকা
। ‘প্যারাডক্স সোনিক স্পেস রিসার্চ এজেন্সি’র সিইও কেসন জানিয়েছেন, গত ৬
বছর ধরে পডুয়় ারা এই উপগ্রহ তৈরি করে চলেছে। সবচেয়ে কম বয়স্ক পডুয়় া
পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়ছে।
উৎক্ষেপণের পর ‘ইনকিউব’ মূলত দুটি লক্ষ্যে কাজ করবে। প্রথমত,
মহাকাশে এত কম ভারের কৃত্রিম উপগ্রহ কতটা সফল ভাবে কাজ করবে সেটাই
এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন । দ্বিতীয়ত, কোন উচ্চতায় এবং কী ধরনের আবহাওয়া
এই ধরনের উপগ্রহ গবেষণার জন্য অনুকূল তার দিকেও তাকিয়ে রয়েছে ইসরো

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.