কেন্দ্রীয় অর্থানুকূল্যের পর্যটন অষ্টলক্ষ্মীতে অপমানিত মন্ত্রী

 কেন্দ্রীয় অর্থানুকূল্যের পর্যটন অষ্টলক্ষ্মীতে অপমানিত মন্ত্রী
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অষ্টলক্ষ্মী সন্ত বিচার সম্মেলন নাম দিয়ে সেশে একাডেমিক সেশন ডেকে বক্তা, মন্ত্রী ও অভ্যাগতদের চূড়ান্ত হেনস্তা করে ছেড়েছে আয়োজকেরা। মন্ত্রীর ভাষণ চলাকালে সভা ভণ্ডুল করে দেওয়া হয় দুই-দুইবার। আয়োজকদের এহেন স্পর্ধা আর ব্যবস্থাপনায় হতবাক উপস্থিত অভ্যাগতরা। রাজ্যে পর্যটনের বিকাশের দায় এ কোন্ বেনিয়াগোষ্ঠীর হাতে দেওয়া হলো যারা নিজেদের মুনাফার ভাবনায় খোদ পর্যটন মন্ত্রীকেও অপদস্থ করে—এ নিয়ে কথা শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, অষ্টলক্ষ্মী বিচার সম্মেলনের নামে ত্রিপুরায় পর্যটনের বিকাশ শীর্ষক একটি একাডেমিক সেশনের স্থান নির্ধারিত ছিল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে। সময় দুপুর আড়াইটা। কিন্তু যথাসময়ে অভ্যাগতরা রবীন্দ্র ভবনে গিয়ে জানতে পারেন সেখানে এদিন এমন কোনও অনুষ্ঠানই নেই।যদিও আয়োজক সংস্থা অমরবাণী ইভেন্ট ফাউণ্ডেশন, ত্রিপুরা পর্যটন নিগম ও ইণ্ডাস মুন মিডিয়া তাদের অনুষ্ঠানের জন্য যে চিঠি ছেপেছিল।তাতে সময় ও স্থান এমনই লেখা ছিল। ‘নর্থ ইস্টার্ণ ভারত : তীর্থযাত্রা এবং ট্যুরিজম পোটেনশিয়াল’ শীর্ষক সেশনে বক্তা থাকবেন পর্যটন মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, সম্বিত পাত্রা,গঙ্গাধর কৃষ্ণাণ, মর্ণিংস্টার খংথৌ এবংপ্রফেসর বেণু পন্ত ।বেলা আড়াইটায় রবীন্দ্র ভবন চত্বরে উপস্থিত অভ্যাগতরা ইতস্তত বিক্ষিপ্তভাবে অনেকটা সময় দাঁড়িয়ে থাকার পর একসময় মন্ত্রীর কনভয় দেখতে পান। কনভয় দেখে রক্ষীরা এগিয়ে এসে জানান, হলে কোনও অনুষ্ঠান নেই। খানিক কালক্ষেপের পর রক্ষীরা মন্ত্রীকে পার্শ্ববর্তী একটি হোটেলের ঠিকানা দেন। মন্ত্রীর পেছন হলে নর পেছন অন্য অভ্যাগতরাও হোটেলে যান। সেখানে গিয়েই আয়োজকদের দেখা পান। হোটেলের হলঘরে সভা শুরু হয় নির্দিষ্ট সময়ের ৪৫ মিনিট পর। বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলি ছাড়াও পর্যটনের আমলাবর্গ ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন। দুজন বক্তার বক্তব্য শেষ হতে হতে সাড়ে চারটা বেজে যায়। মন্ত্রী তখন ডায়াসে। কিন্তু হোটেল কর্তৃপক্ষ এগিয়ে এসে বক্তা, অভ্যাগতদের হোটেলের হল খালি বিকা ইল করে দেওয়ার অনুরোধ জানান ৷ কারণ এই হল একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য আগে থেকেই বায়না হয়ে আছে।এবার আগের সভাস্থল ছেড়ে সবাই মন্ত্রী লবিতে এসে সামনের রেস্তোরাঁয় বসেন। মন্ত্রীও ডায়াস ছেড়ে নেমে এবং আসেন।কিন্তু হায়, মিনিট দশেক সভা চলার পর ফের হোটেল কর্তৃপক্ষ এসে মন্ত্রীসহ সবাইকে বেরিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানায়। কারণ বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য আগাম বুকিং রয়েছে। উল্লেখ্য, রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে নিও এদিন অন্য কোনও অনুষ্ঠান ছিল না। হল খালিই পড়েছিল। কিন্তু মন্ত্রীর উপস্থিতিতে আলোচনা সভা শেষ করা হলো অপমানজনকভাবে। প্রসঙ্গত, পর্যটন মন্ত্রক ও রাজ্যের পর্যটন নিগমের অর্থানুকূল্যে উত্তর পূর্ব ভারতে পর্যটনের স্বপ্ন সম্ভাবনা ফেরি করার দায়িত্ব পেয়েছে বেসরকারী লাভজনক সংস্থা অমরবাণী ইভেন্ট ফাউণ্ডেশন।সরকারী দাক্ষিণ্যের এই আলোচনা সভায় রাজ্যের একজন মন্ত্রীকে কিন্তু যেভাবে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হলো, তাতে এই রাজ্যে পর্যটনের কতটা বিকাশ ঘটলো- এ নিয়ে গভীর স্বপ্ন দেখা দিয়েছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.