অদৃশ্য হওয়ার কোট বানাল চিন, ধরা পড়বে না সিসি ক্যামেরায়
এমন এক পোশাক (ক্লোক) চিনা ছাত্ররা আবিষ্কার করেছেন, যা শরীরে পরা থাকলে ভিড়ের মধ্যেও অদৃশ্য হওয়া যাবে! এমনকী সিসি ক্যামেরার নজরদারিতেও ধরা পড়বে
না সেই পোশাক পরিহিত মানুষ। তাজ্জব ব্যাপারই বটে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমন পোশাক বানিয়ে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন উহান ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ কম্পিউটার সায়েন্সের পড়ুয়ারা। ড়
এমন আবিষ্কারের নেতৃত্বে ছিলেন সেখানকার প্রফেসর ওয়াং ঝেং। এই পোশাকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইনভিসডিফেন্স’। রাতের অন্ধকার তো বটেই, দিনের আলোতেও এই
পোশাক পরে থাকলে তা নজরদারি ক্যামেরায় ধরা পড়বে না। তবে প্রশ্ন হল, এই ধরনের অদৃশ্য হওয়ার পোশাক ব্যবহারে সরকার ছাড়পত্র দেবে কি না। সাউথ চায়না
মর্নিং পোস্ট-এর প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘এই কোট পরলে দিনের বেলাতেও অনায়াসে অদৃশ্য হওয়া যাবে। আবার রাতেও ইনফ্রারেড ক্যামেরাকে বিভ্রান্ত করা যাবে।’
এই পোশাকের দামও খুব একটা বেশি হবে না বলে দাবি করেছেন উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ছাত্রছাত্রীরা। ভারতে এমন তাজ্জব
পোশাকের দাম পড়বে প্রায় ৬ হাজার টাকা। গবেষকদের দাবি, এই ধরনের পোশাক যুদ্ধক্ষেত্রে অত্যন্ত উপযোগী ভূমিকা নিতে পারে। শত্রুপক্ষের নজর থেকে বাঁচতে এই পোশাক কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে বলে তারা দাবি করেছেন। তবে সে ক্ষেত্রে এই
পোশাকের প্রযুক্তির আরও উন্নতির
প্রয়োজন। এমন পোশাকের কাহিনি আমরা পড়েছিল হ্যারি পটারের গল্পে। সেই পোশাকের নাম ছিল, ‘ক্লোক অফ ইনভিজিবিলিটি’। চিনা সংবাদপত্র সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট-কে অধ্যাপক ওয়াংঝেং বলেন, ‘আসলে এটি একটি কোট। তবে আর পাঁচটা সাধারণ কোটের থেকে একে আলাদা ভাবে চিহ্নিত করা যাবে। এটাই এই কোটের বিশেষত্ব। এই কোট পরলেই হ্যারি পটারের
মতো অদৃশ্য হওয়া যাবে। এমনকী
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সযুক্ত সিকিউরিটি ক্যামেরাতেও ধরা পড়বে না ওই কোট পরিহিত ব্যক্তি।’ ঝেং জানান, ইনভিসডিফেন্সের পৃষ্ঠে একটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা ক্যামোফ্লেজ প্যাটার্ন রয়েছে যা
মেশিন ভিশনের স্বীকৃতি অ্যালগরিদমে
হস্তক্ষেপ করতে পারে। অর্থাৎ এই পোশাকই নজরদারি ক্যামেরাকে ‘অন্ধ’ করে দেয়। তখন কোনও মানুষকেই সেটি আর চিনতে পারে
না।