জোট প্রক্রিয়া শুরু করার অনুমোদন দিল্লির
আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে অবশেষে শাসকদল বিজেপি জোট প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে। রবিবার দিল্লীতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার পৌরহিত্যে ম্যারাথন বৈঠকে জোট প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে দিল্লী সূত্রে খবর। জানা গেছে, তিপ্রা মথার সাথে জোট করার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে জোটের শর্ত কী হবে, কীভাবে হবে এ নিয়ে শীঘ্রই আলোচনার টেবিলে বসার জন্য সবুজসংকেত দেওয়া হয়েছে। দিল্লী সূত্রে জানা গেছে, এ ব্যাপারে মথা প্রধান সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোরের সাথে আলোচনায় বসার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নির্বাচন প্রভারী ডা. মহেশ শর্মাকে। এছাড়াও আলোচনায় থাকবেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মণ। তবে কবে নাগাদ এই আলোচনা শুরু হবে তা স্পষ্ট করে কিছু জানা না গেলেও আইপি খুব শীঘ্রই মথা নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে খবর। জানা গেছে, বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও চাইছে যত শীঘ্র সম্ভব তিপ্ৰা মথার সাথে জোট নিয়ে আলোচনা সেরে নিতে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, মথা সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর জোটের প্রধান শর্ত হিসাবে গ্রেটার তিপ্রা ল্যাণ্ডের দাবিকেই সামনেই রেখেছেন। এই শর্ত ও দাবি মেনে বিজেপির পক্ষে জোট করা সম্ভব হবে কি না?এটাও ঠিক, গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ডই যদি একমাত্র শর্ত হয়, তাহলে বিজেপির পক্ষেও জোট করা সম্ভব হবে না। যদি তাই হয়, তাহলে এককভাবে লড়াই করা ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই। শুধু তাই নয়, আইপিএফটি দলের সাথে বিজেপির এখনও জোট রয়েছে। দলের আট বিধায়কের মধ্যে তিন বিধায়ক আইপিএফটি দল ছেড়ে তিপ্ৰা মথায় যোগ দিলেও, এখনও পাঁচ বিধায়ক রয়েছেন আইপিএফটি দলের। স্বাভাবিকভাবেই পাহাড়ের নয়া শক্তি তিপ্রা মধার সাথে জোটের আলোচনা নিয়ে বসার সময় আইপিএফটির কথাও মাথায় রাখতে হবে বিজেপি নেতৃত্বকে। ফলে জোট যদি হয়, সেই জোটের সমীকরণ কী হবে তা এখনই স্পষ্টভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। এর জন্য আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে।