ক্লাব কর্তাদের হাতে নিগৃহীত রেফারি!!

 ক্লাব কর্তাদের হাতে নিগৃহীত রেফারি!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

একটি বা দুটি নয়, তিন তিনটি নাকি ন্যায্য পেনাল্টি থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, টাকা খেয়ে বীরেন্দ্র ক্লাবের পক্ষে ম্যাচ বাজিয়েছেন রেফারি পল্লব চক্রবর্তী। ম্যাচ শেষে রেফারিং নিয়ে এমনটাই অভিযোগ তুলে মাঠে গণ্ডগোল পাকালেন রামকৃষ্ণ ক্লাব দলের একাংশ অতি উৎসাহী কর্মকর্তা ও কিছু সমর্থক। খেলা শেষ হতেই মাঠে ঢুকে পুলিশের সামনেই রেফারি নিগ্রহ, ধাক্কা ও মারার চেষ্টা রামকৃষ্ণ ক্লাব দলের একাংশ কর্মকর্তা ও অতি উৎসাহী সমর্থকদের। ফলে রণক্ষেত্রের রূপ নেয় আজ বিকালে উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়াম। এই ঝামেলা সামাল দিতে পরে পুলিশকে কার্যত হিমশিম খেতে হলো এ দিন।ঘটনা বুধবার উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামে ঘরোয়া এ ডিভিশন ক্লাব লীগ ফুটবলের রামকৃষ্ণ ক্লাব বনাম বীরেন্দ্র ক্লাব দলের ম্যাচে। খেলা শেষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়াম। ঘটনার মূল কারণ দুর্বল রেফারিং ও পেনাল্টি না দেওয়া। ম্যাচের শুরু থেকেই দুর্বল রেফারিং হচ্ছে বলে অভিযোগ এনে মাঠের ভেতর ও বাইরে হৈচৈ করতে থাকে রামকৃষ্ণ ক্লাব দলের ফুটবলার সহ কোচ ও ম্যানেজার এবং তাদের সমর্থকরা। ম্যাচে তিনটি ন্যায্য পেনাল্টি নাকি দেয়নি রেফারি। ঘুষ খেয়ে নাকি রেফারি পল্লব চক্রবর্তী বীরেন্দ্র ক্লাবের হয়ে ম্যাচ পরিচালনা করেছেন এরকম অভিযোগ তোলা হয় বারবার রামকৃষ্ণ ক্লাব দলের তরফে। মাঠের বাইরে থেকে রামকৃষ্ণ ক্লাবের একাংশ সমর্থক ম্যাচ চলাকালীন সময়ে রেফারিকে উদ্দেশ করে বাজে মন্তব্য ও গালাগাল করতে থাকে। স্বাভাবিক কারণে মাঠে ধীরে ধীরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যার বহি:প্রকাশ ঘটে ম্যাচ শেষে। রামকৃষ্ণ ক্লাব দলের গোলরক্ষক রাজু বাসফোর ম্যাচ শেষ করে মাঠ ছাড়ার সময় রেফারি পল্লব চক্রবর্তী এবং চতুর্থ রেফারি তাপস দেবনাথকে ঘিরে ধরে ম্যাচে নিম্নমানের রেফারিং হয়েছে বলে মন্তব্য ও গালাগাল করতে থাকে। একটা সময় মেজাজ হারিয়ে রামকৃষ্ণ ক্লাব দলের গোলরক্ষক রাজু বাসফোর রেফারি পল্লব চক্রবর্তী ও চতুর্থ রেফারি তাপস দেবনাথের গায়ে হাত দেয় এবং ধাক্কা মারে। এতে রেফারি পল্লব চক্রবর্তী সঙ্গে সঙ্গেই রামকৃষ্ণ ক্লাব দলের গোলরক্ষক রাজু বাসফোরকে লালকার্ড দেখান। তারপরই শুরু হয় মাঠে ঝামেলা। রামকৃষ্ণ ক্লাব দলের একাংশ সমর্থক গেট খুলে মাঠে ঢুকে রেফারি এবং সহকারী রেফারিদের ঘিরে ধরে। পুলিশ মাঠে ঢুকে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে রামকৃষ্ণ ক্লাব দলের কিছু উচ্ছৃঙ্খল সমর্থক এবং একাংশ ক্লাব কর্মকর্তা রেফারিকে মারার জন্য চেষ্টা করতে থাকে। এর মধ্যে রামকৃষ্ণ ক্লাব দলের এক কর্মকর্তা যিনি আবার টিএফএর সহ সভাপতিও, তিনিও প্রকাশ্যে রেফারিকে মারার জন্য বারবার তাড়িয়ে যান এবং রেফারির উদ্দেশে গালিগালাজ করেন। টিএফএর একজন সহসভাপতির এ ধরনের আচরণে মাঠে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়ে টিএফএর কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে রেফারিদের তরফে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.