বাম-কংগ্রেস কি জোটের পথে?
দৈনিক সংবাদ অনলাইনঃ পশ্চিমবঙ্গের মতো ত্রিপুরাতেও কি সিপিএম কংগ্রেস জোট হতে যাচ্ছে? মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজ্য রাজনীতিতে এই নিয়ে আচমকাই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও এই জল্পনার অন্যতম কারন ও সূত্রপাত হয়েছে একটি বিবৃতিকে ঘিরে। ত্রিপুরার শান্তিপ্রিয় গনতান্ত্রিক নাগরিকদের প্রতি আবেদন জানিয়ে মঙ্গলবার সকালে পাঁচটি বামপন্থী দল ও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা, সিপিআই রাজ্য সম্পাদক যুধিষ্ঠির দাস,আর এস পি রাজ্য সম্পাদক দীপক দেব,ফরাওয়ার্ড ব্লক চেয়ারম্যান পরেশ সরকার এবং সিপিআই (এম এল)রাজ্য সম্পাদক পার্থ কর্মকার।
যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে,বিজেপি নেতৃত্তাধীন জোট সরকার গঠনের পর থেকে ত্রিপুরার বুকে এক অভাবনীয় অস্বাভাবিক ও অরাজক পরিস্থিতি চলছে। গনতন্ত্র অপহরণ করা হয়েছে। নাগরিক স্বাধীনতা আক্রান্ত। সংবাদ মাধ্যমের স্বাতন্ত্র স্বাধীন সত্তা বিপর্যস্ত। বিরোধী দল সমূহের কন্ঠরোধ করে তাদের স্বাধীন ভাবে ভোট দেবার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কে প্রহসনে পরিনত করা হয়েছে। প্রশাসন এবং বিশেষভাবে পুলিশের একাংশের সচেতন নিস্ক্রিয়তা শাসকদলকে তাদের সংবিধান বিরোধী অগনতান্ত্রিক কার্যক্রমকে সহায়তা করছে এবং শাসকদলের প্রশ্রয়পুষ্ট দুর্বৃত্তদের উৎসাহিত করছে।
আইনের স্থান দখল করেছে জঙ্গলের শাসন। প্রকৃতঅর্থে ত্রিপুরায় দেশের সংবিধান আজ অচল। এছাড়াও আরও বেশ কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। এই পরিস্থিতিকে ত্রিপুরার মানুষ মেনে নিতে পারেন না বলে, বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা মনে প্রানে বিশ্বাস করেন। তাই তারা নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানাচ্ছে, সুস্থ গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে কার্যকরী ভুমিকা যাতে গ্রহন করে। এই বিবৃতি প্রকাশের পরই জল্পনা দানা বাঁধতে থাকে বাম কংগ্রেস জোট নিয়ে। তবে শাসকদল অবশ্য তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছে, ত্রিপুরার মানুষ এই অনৈতিক জোট কোন অবস্থাতেই মেনে নেবে না। এটা ভোটের আগেই পরাজয় স্বীকার করে নেওয়ার কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়।