ফের করোনার ত্রাসকে ‘ভাঁওতা’ বললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা

 ফের করোনার ত্রাসকে ‘ভাঁওতা’ বললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

সম্পূর্ণ ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা বা হু। তাদের বিশেষ মেডিক্যাল অ্যানালিসিস টিমের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনা নিয়ে অযথা ভয় ছাড়ানো হচ্ছে। কোভিড ভাইরাস শীতের অতি সাধারণ ফ্লু বা জ্বর,সর্দি,কাশির থেকে বেশি কিছু নয়,বরং এরই সমগোত্রীয়। কেউ এতে আক্রান্ত হলে
আইসোলেশন, কোয়ারেন্টাইন বা এই
ধরনের সতর্কতার প্রয়োজন নেই। বিখ্যাত মলিকিউলার বায়োলজিস্ট এবং ইমিউনোলজিস্ট ডা: দলরেস কোহেল ডাক্তারদের বিশ্ব সম্মেলনে বিশ্বের প্রতিটি
মানুষের উদ্দেশে পরিষ্কার বলেছেন, ‘কোনও ভয় করবেন না। রাজনৈতিক নেতাদের, রাষ্ট্রের, মেডিসিন কোম্পানির প্ররোচনায় পা দেবেন না। চিনের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে
ভয় দেখানোর খেলা শুরু হয়েছে। আমরা দায়িত্ব নিয়ে বলছি, গবেষণা করে দেখেছি, ওমিক্রন ভাইরাসের নতুন ভ্যারাইটি আমাদের অতি পরিচিত সিজনাল ফ্লুছাড়া আর কিছুই
নয়। কাউকে অযথা প্যানিক হতে দেবেন না। অযথা ভয় দেখিয়ে একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে মাত্র।’ প্রসঙ্গত, ডা: কোহেল ডাবলিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক। একই সঙ্গে তিনি ওয়ার্ল্ড ডক্টর অ্যালায়েন্সের
সভাপতি এবং ইমিউনোলজি নিয়ে তার গবেষণার ফল হল কোভিড ভ্যাকসিন। তিনি পরিষ্কার জানাচ্ছেন, প্রতি বছর যেমন ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত সর্দি, কাশি বা জ্বরের প্রকোপ হয়, এটা একই ভাইরাস।
এটি ছোঁয়াচে নয় মোটেও। কোনও ভাবেই একজন আক্রান্তের থেকে অন্যজনকে সংক্রমিত করতে পারে না। তাই আক্রান্তকে আইসলেশনে রাখার কোনও প্রায়োজন নেই। একই সঙ্গে মাস্ক পরে থাকার কোনও অর্থই
নেই। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিধি মূল্যহীন। বিশ্বসেরা একজন ভাইরোলজিস্ট
ডা: কোহেলের এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বের ১২৩ জন গবেষক ও ডাক্তার যারা আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন।
রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে
মানুষের মধ্যে মৃত্যুর ভয় ঢোকানোর কাজ করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবেই। গত এক দুই সপ্তাহ ধরে সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে করোনা, মৃত্যু সেই অক্সিজেনের আকাল এবং
লকডাউনের হওয়া ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কতগুলো ধাপে এগুলো করা হচ্ছে সমাজমাধ্যমকে সঙ্গে নিয়েই। প্রথমত, শুরুতেই চিনে নাকি লক্ষ লক্ষ মানুষ কোভিডে আক্রান্ত রটিয়ে দেওয়া হল। তারপরেই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হল, চিনে মৃতদেহ সৎকারের নাকি ধুম পড়েছে। মানুষের মনে কোভিডের সময় উত্তর প্রদেশের সেই লাইন দিয়ে মৃতদেহ পড়ানো,
আর গঙ্গায় লাশ ভাসিয়ে দেওয়ার স্মৃতি জেগে উঠল। এরই কয়েকদিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় সাস্থ্য দফতর তড়িঘড়ি মক্ট্রিল করতে নেমে পড়ল দেশের সমস্ত হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। রাজ্যসভায় স্পিকার থেকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী মাস্ক পরে
প্রকাশ্যে এলেন। ব্যাস মানুষের আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি শুরু হয়ে গেল। তারপরেই মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক, রাজ্যগুলির সাস্থ্য দফতরের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স, হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশিকা, মাস্ক ব্যবহার করা নিয়ে হালকা হালকা কথা বার্তা।
ডাক্তারদের প্যানেল প্রস্তুত। খুব গম্ভীর মুখে মাঝারি মানের ডাক্তাররা নেমে পড়লেন মতামত দিতে, আসন্ন কল্পনার এক কোভিড সুনামি নিয়ে জ্ঞান দিতে। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক লকডাউন কবে থেকে হতে পারে সে
নিয়েও নিজদের মনের মত তারিখ, দিনক্ষণ ঘোষণা শুরু করে দিল। চায়ের দোকান থেকে অফিস- কাছারি সর্বত্র আলোচনা, নাইট কারফিউ নাকি এলাকা ভিত্তিক লকডাউন,কি
হতে পারে? ওষুধ কোম্পানিগুলিও ঠোঁটের কোনে মুচকি হাসতে শুরু করে দিয়েছে, প্রচুর ভ্যাকসিন, মাস্ক, ন্যাজাল ড্রপ, স্যানিটাইজার যা জমা হয়েছিল সেগুলিকে ফের বাজারজাত করার তৎপরতা শুরু হয়ে গেল।
এশিয়ান ইকোনমিক স্টাডির রিপোর্ট
অনুসারে, অন্তত পনের হাজার কোটি ডলার ওষুধ, মাস্ক, স্যানিটাইজার জমে রয়েছে আর সেগুলিকে দ্রুত বাজারে বিক্রি করতে হবে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.