প্রতি ১২০ ঘন্টাঅন্তর নববর্ষ, মিললএমন গ্রহের খোঁজ

 প্রতি ১২০ ঘন্টাঅন্তর নববর্ষ, মিললএমন গ্রহের খোঁজ

This image of Jupiter and Europa, taken by the NASA/ESA Hubble Space Telescope on 25 August 2020, was captured when the planet was 653 million kilometres from Earth. The full view of this Hubble image can be viewed here.

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

সদ্য ইংরেজি নববর্ষ পার করেছি আমরা। এখনও বর্ষবরণের আনন্দের রেশ কাটেনি। ভাবুন তো, যদি এমন একটি গ্রহের বাসিন্দা হতেন আপনারা যেখানে প্রতি পাঁচ দিন অন্তর ঘুরে আসত বর্ষবরণের বর্ণময় রাত, কেমন হতো? বিজ্ঞানীরা এমনই এক গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন যে গ্রহটি মাত্র ছয় দিনে নক্ষত্রকে আবর্তন করে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা গবেষণাপত্রে বলেছেন, এই গ্রহটি (ছবি প্রতীকী) পৃথিবী থেকে প্রায় ৫৩০ আলোকবর্ষ
দূরে রয়েছে। একটি দ্রুত ঘূর্ণায়মান বামন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করতে এই গ্রহের সময় লাগে মাত্র পাঁচ দিন! সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবীর সময় লাগে ৩৬৫ দিন। প্রদক্ষিণ সম্পূর্ণ হলে তবে আসে নববর্ষ। সেখানে এই গ্রহটিতে প্রতি ৫ দিন অন্তর নববর্ষ পালিত হতে পারে! হ্যাঁ, মাত্র পাঁচ দিন পেরোলেই নতুন
বছর! কারণ, নতুন খোঁজ পাওয়া এই গ্রহটি আকারে সৌরমণ্ডলের অধুনা বৃহত্তম বৃহস্পতির চেয়ে আয়তনে তিন গুণ বড়। অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ সাদার্ন কুইন্সল্যান্ডের গবেষকরা এই গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন। তারা বলেছেন, এটি হল ‘হট প্ল্যানেট’। তারা দাবি করেছেন, সেই গ্রহটি
নক্ষত্রের এত কাছে রয়েছে যে এটি মাত্র পাঁচ দিনে তার চারপাশে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। ‘গ্যাস জায়ান্ট’ বৃহস্পতির চেয়ে প্রায় তিনগুণ বড় এই গ্রহটির অবস্থান পৃথিবী থেকে প্রায় ৫৩০ আলোকবর্ষদূরে। এই গ্রহের বামন নক্ষত্রটি প্রায় ৭১ শতাংশ বড় এবং সেটি আমাদের নিকটতম নক্ষত্র সূর্যের চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি ভরের অধিকারী। নক্ষত্রের এত কাছাকাছি কোনও গ্রহের সন্ধান ইতিপূর্বে বিজ্ঞানীরা পাননি। বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, এই গ্রহটির বয়স আমাদের সৌরজগতের অর্ধেক। বামন নক্ষত্রটির বয়স প্রায় ১৯৫ কোটি বছর। যার ভূপৃষ্ঠের আনুমানিক তাপমাত্রা ৬,৭০০-৬,৮০০ কেলভিন। বিজ্ঞানীদের গবেষণার বিশদ বিবরণ ‘রিপজিটরি আরজিব’-এ প্রকাশিত
হয়েছে। গবেষণাপত্রের নাম দেওয়া হয়েছে ‘টিওআই-৭৭৮বি’। এই নক্ষত্রটিকে খুঁজে বের করতে সাদার্ন কুইন্সল্যান্ডের গবেষকরা নাসার ট্রানজিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে
স্যাটেলাইট (টিইএসএস) থেকে ডেটা ব্যবহার করেছেন। দলটি দ্রুত ঘূর্ণায়মান গ্রহটি সনাক্ত করতে ট্রানজিট পদ্ধতি ব্যবহার করেছিল। ইউনিভার্সিটি অফ সাদার্ন কুইন্সল্যান্ডের বিজ্ঞানী জ্যাক টি ক্লার্ক এই গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন। গবেষণাপত্রে তিনি বলেছেন, আলোচ্য গ্রহটি একটি বিশৃঙ্খল প্রক্রিয়ার
মাধ্যমে বিন্দুতে পৌঁছানোর পরিবর্তে তার নক্ষত্র ‘টিওআই-৭৭৮’-র ডিস্কের মধ্য দিয়ে স্থানান্তরিত হয়ে এই অবস্থানে এসেছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.