এক দশক পরে নাটু নাটু’র হাত ধরে গোল্ডেন গ্লোবস ফের এল দেশে
গোল্ডেন গ্লোবসের মঞ্চে প্রথম নমিনেশনেই বাজিমাত ‘আরআরআর’এর। সেরা অরিজিন্যাল গানের খেতাব জয় নাটু নাটুর।
গোল্ডেন গ্লোবস পুরস্কারের জন্য দুটি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিল এসএস রাজামৌলির ছবি ‘আরআরআর’। আর তার প্রথম নমিনেশনেই বাজিমাত আরআরআরের!
ক্যালিফোর্নিয়ার বেভারলি হিলসে ৮০ তম গোল্ডেন গ্লোবস অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত হল। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে আরআরআর ছবির তরফে
উপস্থিত ছিলেন পরিচালক এসএস রাজামৌলি, দুই অভিনেতা জুনিয়র
এনটিআর, রাম চরণ এবং নাটু নাটু গানের কম্পোজার এমএম কিরাবাণী। রাজামৌলি কোনও পশ্চিমী পোশাকে নয়, একটি কালো
শেরওয়ানি আর মেরুন ধুতি এবং একই রঙের ওড়নায় ধরা দিয়েছিলেন। তার মতোই ভারতীয় পোশাকে দেখা যায় তার স্ত্রীকেও। তিনি একটি কমলা এবং সবুজ রঙের শাড়ি পরেছিলেন। খেতাব জয়ের পর এই ছবির চার মূল স্তম্ভ, রাজামৌলি, জুনিয়র এনটিআর, রাম চরণ এবং এমএম কীরাবাণীকে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে হাসি মুখে ক্যামেরার সামনে পোজ দিতে দেখা যায়। কীরাবাণী একটি কালো শেরওয়ানি পরে এসেছিলেন। তার দুর্দান্ত কম্পোজিশন যে গোটা বিশ্বকে নাচিয়ে রেখে দিয়েছে সেটা আবার প্রমাণিত হল গোল্ডেন গ্লোবসের মঞ্চে। তার কম্পোজ করা এই গানটি গেয়েছিলেন রাহুল সিপ্লিগুঞ্জ এবং কাল ভৈরব। গোল্ডেন গ্লোবসের মঞ্চে যখন ঘোষণা করা হয় নাটু নাটু গানটি সেরা অরিজিন্যাল গানের পুরস্কার
পেয়েছে তখন এই টিমের সকলে প্রায় এক সঙ্গে লাফিয়ে ওঠেন! তারা এতটাই আনন্দিত হন যে তাদের হাততালি যেন আর থামতেই চায় না। সকলেরই মুখেই তখন জয়ের চওড়া
হাসি। এরপর এমএম কীরাবাণীকে মঞ্চের দিকে এগিয়ে যেতে দেখা যায়। সঙ্গীত পরিচালক এ আর রহমান গোটা আরআরআর টিমকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিশেষ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এমএম কীরাবাণী এবং এসএস রাজামৌলিকে।উল্লেখ্য, এর আগে রহমানের হাত ধরেই প্রায় এক দশক আগে গোল্ডেন গ্লোবস পুরস্কার
দেশে এসেছিল। তিনি ড্যানি বয়েলের ছবি স্লামডগ মিলিয়নিয়ার ছবির জন্য এই পুরস্কার পেয়েছিলেন। তারপর আবার
আরআরআর ছবির হাত ধরে এই পুরস্কার দেশে এল। এর আগে ১৯৫৭ সালে ভি শান্তারামের দো আঁখে বার হাত ছবি প্রথম এই পুরস্কার পেয়েছিল।