মার্চেই পর্ষদের পরীক্ষা শুরুর সম্ভাবনা
ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্যদের পরীক্ষাসূচি মোটের উপর তৈরি হয়ে আছে। পর্যদের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসের মাঝামাঝি শুরু হওয়ার কথা। এরজন্য পর্যদের তরফে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া আছে। তবে পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী না মার্চ মাসে শুরু হবে তা এখনই বলা শক্ত।এই বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করছে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণের উপর। আর এই কারণেই পর্ষদের তরফে পরীক্ষার সূচি এখনও ঘোষণা করা হয়নি। প্রাপ্ত খবর অনুসারে পর্ষদের তরফে বিকল্প পরীক্ষাসূচি তৈরি করে রাখা হয়েছে। ফেব্রুয়ারী ও মার্চ মাসে পরীক্ষা শুরুর কথা মাথায় রেখে আলাদা আলাদা সূচি তৈরি করে রাখা হয়েছে। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর পর্ষদের তরফে এর যে কোনও একটি পরীক্ষাসূচি হিসাবে ঘোষণা করে দেবে।চলতি ২০২৩ সালে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের বছর। অন্যান্য বিধানসভা নির্বাচনের বছরের মতো এবারও পর্যৎ কর্তৃপক্ষ রীতিমতো চিন্তায় রয়েছে। কারণ নির্বাচনের নির্ঘণ্টের উপর নির্ভর করে সূচি স্থির করতে হয় নির্বাচনের বছরগুলিতে। এবারও তার ব্যতিক্রম হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। ফলে পরীক্ষাসূচি তৈরি ও ঘোষণার ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করা হয় পর্ষদের তরফে। প্রাথমিকভাবে স্থির হয় যে এবারের পরীক্ষা প্রায় পক্ষকাল এগিয়ে আনা হবে। ফেব্রুয়ারী মাসের মাঝামাঝি সময়ে গ্রহণ করা হবে পর্ষদের পরীক্ষা। এর ভিত্তিতে পরীক্ষা সূচিও তৈরি করেও রাখা হয় পর্ষদের তরফে।পরে পরিস্থিতি বিবেচনা করে ফেব্রুয়ারী মাসে পরীক্ষা শুরু করা যাবে না বলে বুঝতে পারে পর্ষৎ কর্তৃপক্ষ। এই অবস্থায় মার্চ মাসের প্রথম অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহে পরীক্ষা শুরুর কথা মাথায় রেখে পর্ষদের উদ্যোগে বিকল্প আরও একটি পরীক্ষাসূচি তৈরি করা হয়েছে। এখন পর্ষদের অপেক্ষা কবে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয় তার দিকে। অনেকটা চৈত্রের চাতক পাখির মতো পর্ষৎ কর্তৃপক্ষ আপাতত সে দিকেই তাকিয়ে আছে।গত কয়েক বছর ধরে মার্চ মাসের প্রথম কাজের দিনে পর্ষদের পরীক্ষা শুরু হয়ে আসছে।প্রথম কাজের দিনে উচ্চমাধ্যমিক এবং দ্বিতীয় কাজের দিনে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়ে আসছে। এবার পর্ষদের তরফে পরীক্ষা এগিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় যথেষ্ট আগে। রীতিমতো প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। স্থির হয় পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে ফেব্রুয়ারী মাসের মাঝামাঝি সময়ে। কেননা তখন অনুমান করা হয় যে রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে যাবে গত ডিসেম্বর মাসে। তা না হলে চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন।অবশেষে পরিস্থিতি পাল্টে যায় । কাজে লাগেনি পূর্বানুমান। জানুয়ারী মাসের তৃতীয় সপ্তাহ শুরু হয়ে গেছে। অথচ এখন পর্যন্ত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার খবর নেই। এই অবস্থায় পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পর্ষদের তরফেও বিকল্প উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মার্চ মাসের দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় সপ্তাহের কথা মাথায় রেখে বিকল্প পরীক্ষাসূচি তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কারণ এখনও নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়নি। সে দিক থেকে ফেব্রুয়ারী মাসের তৃতীয় সপ্তাহের আগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা কম ৷ তারপর নির্বাচনি দামামা, ভোটগণনা, নয়া মন্ত্রিসভা গঠন হতে হতে মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পার হতে পারে। আর নয়া মন্ত্রিসভা গঠনের পরই গ্রহণ করা হবে পর্ষদের পরীক্ষা।এই খবর দিয়ে পর্ষদের একাধিক সূত্র রীতিমতো দুশ্চিন্তা প্রকাশ করে।সেই ক্ষেত্রে উত্তরপত্র মূল্যায়ন সহ যথা সময়ে ফল প্রকাশ করা কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়াবে পর্ষদের পক্ষে। কেননা সেই ক্ষেত্রে সময় পাওয়া যাবে অনেক কম। ফলে পরীক্ষা গ্রহণের আগেই সময়মতো উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিয়ে নতুন করে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে পর্ষদের অভ্যন্তরে। এ নিয়ে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হয় পর্ষদের সভাপতি ড. ভবতোষ সাহার সঙ্গে। তিনি দাবি করেন পরিবর্তিত যাবতীয় পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে পর্ষৎ।