ভোটের মরসুমে বাগদেবীর আরাধনা!!
কথায় আছে বাঙ্গালীর বারো মাসে তেরো পার্বন। সেই পার্বণের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মাঘমাসের শুক্লাপঞ্চমী তিথিতে বিদ্যা ও জ্ঞানের দেবী সরস্বতী পুজো। এই উৎসবের তিথিটি শ্রীপঞ্চমী বা বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত। অনেকে আবার এই দিনটিকে বাঙালির ভেলেন্টাইন ডে” ও বলে থাকেন। এই দিনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ছাত্রছাত্রীদের গৃহ, বিভিন্ন ক্লাব,অফিস, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থায় বাগদেবীর আরাধনা করা হয়। এই বিশেষ দিনটিতে শিশুদের হাতেখড়িও দেওয়া হয়। বলাবাহুল্য এই বাগদেবীর আরাধনা ছাত্রছাত্রীদের সবচাইতে একটি প্রিয় উৎসব।
গত দুবছর বাদ দিলে এর আগের বছর গুলীতে বাগদেবীর আরাধনা কে কেন্দ্র করে যথেষ্ট উদ্দীপনা ছিলো ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। কিন্তু গত দুবছর ধরে বাদ সাধে করোনা মহামারী। গত বছর ৫ ই ফ্রেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হয়েছিল সরস্বতী পূজা।পুজো হবে কিনা তা নিয়েই প্রশ্নচিহ ছিল। কারণ বছরের শুরুটা ছিলো জনতা কার্ফুর আওতায়। সরস্বতী পুজোর ঠিক একদিন আগে সেই কার্ফুর মেয়াদ শেষ হয়। ফলে সব কিছুই ছিলো অনিশ্চয়তার মধ্যে। একই পরিস্থিতি ছিলো মূর্তি পাড়াতেও। এবছর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও, রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনের ডামাডোলে পুজো হচ্ছে। তার প্রভাব পড়েছে মূর্তি পাড়াতেও।
সেই কারণে এই বছর ছোট ও মাঝারি আকারের মুর্তি তৈরী করেছেন অনেকে। একই দিনে ২৬ জানুয়ারি অর্থাৎ প্রজাতন্ত্র দিবস এবং সরস্বতী পুজো। হাতে আর মাত্র একদিন৷ তাই প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। তার মধ্যেও মূর্তি পাড়ায় মূর্তি শিল্পীদের চোখে মুখে দেখা গেল চিন্তার রেখা। বাজারে কাচামালের দাম দিগুন। সেই অনুযায়ী মুর্তির চাহিদা বা মুল্য নেই। বাড়িঘরের মুর্তির অর্ডার এবছর নেই বলেই জানালেন শিল্পী উত্তম চক্রবর্তী।তবে গতবছরের পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। এতে খুশি অনেকেই।তাই, রাজধানীর মুর্তিপাড়ার শিল্পীরা এখন নাওয়া খাওয়া ভুলে শেষ তুলির টানে দারুণ ভাবপ ব্যস্ত। অনেকেই জানালেন, শেষ সময়ে বাজার জমবে। সেই আশাতেই আছেন।