ভায়া চাঁদ হয়ে মঙ্গলে, ৪৫ দিনের ট্রিপেআপনাকে নিয়ে যাবে ইলনের রকেট
একটা ইউরোপের ট্যুরিস্ট ট্রিপ মানে ১৫-২০ দিনের প্যাকেজ। সেখানে এই প্যাকেজ ৪৫
দিনের। এক স্বপ্নের ভ্রমণ। পৃথিবীর সীমানা পেরিয়ে মহাকাশের বুক চিরে! প্রথমে চাঁদের কক্ষপথ ছুঁয়ে রকেট আপনাকে নিয়ে যাবে মঙ্গলের কক্ষপথে। না, কোনও কল্পবিজ্ঞান নয়। টুইটার তথা টেসলা তথা স্পেস এক্সের কর্ণধার ইলন মাস্ক এমনই নৈসর্গিক ট্যু রের কথা সম্প্রতি ঘোষণা করে তাবৎ ভ্রমণপিপাসুদের চমকে দিয়েছেন। গন্তব্য মঙ্গল, তবে ভায়া চাঁদ। মহাকাশ অভিযানে বর্তমান বিশ্বের অগ্রণী সংস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা
নাসা। তবে তার পরেই একমাত্র বেসরকারি সংস্থা হিসাবে সাধারণ পর্যটকদের মহাকাশ ভ্রমণের আনন্দ দিয়ে চলেছে ইলনের স্পেস এক্স। স্পেস এক্স মানেই প্রতি পরতে চমক।
বিশ্বের প্রথম সারির ধনী ইলনের নিজের কথায়, ‘স্পেস এক্স আমার স্বপ্নের কোম্পানি।’ মহাকাশ নিয়ে ইলনের এই সংস্থাও নাসার সঙ্গে হাত-হাত মিলিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। ফ্যালকন রকেট ক্যাপসুলে করে মহাকাশে মানুষ নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই স্পেস-এক্সের গুরুত্ব
অনেক বেড়ে গেছে। অতি সম্প্রতি ইলন মাস্ক বিশ্বকে নতুন চমক দিয়ে জানিয়েছেন, স্পেস এক্স এমন এক মহাকাশযান তৈরি করছে যা মাত্র ৪৫ দিনে চাঁদ হয়ে মানুষকে মঙ্গলে ঘুরিয়ে আনতে পারে। ইলন বলেছেন, এমনতে চাঁদ এবং মঙ্গলের কক্ষপথে
ঘুরিয়ে আনাই যায়। কিন্তু তিনি
সবচেয়ে জোর দিয়েছেন সময়ে।
এখন মহাকাশযানে চেপে লাল গ্রহ
মঙ্গলে যেতে সময় লাগে অন্তত
সাত মাস। কিন্তু তার প্রস্তাবিত রকেট
তৈরি হলে তা মাত্র ৪৫ দিনে পৃথিবী থেকে মঙ্গলে পৌঁছে যাবে। মাত্র দেড়
মাসে মঙ্গলে পৌঁছে যাওয়া, এ কি
কোনও কল্পবিজ্ঞান? স্পেস এক্স যা
বলেছে তা হল, যে রকেট তারা তৈরি
করছে সেটি এক ধরনের নিউক্লিয়ার
ইলেকট্রিক প্রোপালসন। পারমাণবিক
ক্ষমতা নিয়ে তীব্রতম এক শক্তি তৈরি
হবে এই রকেটের ইঞ্জিনে। এই শক্তির
সাহায্যে পৃথিবীর বাধা পেরিয়ে গুলীর
মতো মহাকাশের দিকে ছিটকে যাবে
রকেট। পৃথিবীর কক্ষপথ পেরিয়ে
তারপর টর্পেডোর গতিতে সেটি
হাওয়ার মহাকাশের বুক চিরে উড়ে
যাবে। তবে কবে এই রকেট বাস্তবের
জমিতে পা রাখবে, খুলে বলেননি
ইলন মাস্ক।