নির্বাচনী কাজে আধিকারিকরা, পিছিয়ে যেতে পারে পরীক্ষা

 নির্বাচনী কাজে আধিকারিকরা, পিছিয়ে যেতে পারে পরীক্ষা
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা নিয়ে আবারও জটিলতা দেখা দিয়েছে। সমস্যার নিরসন না হলে পিছিয়ে যেতে পারে পরীক্ষা। কারণ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। পর্ষদের সচিব সহ পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই বিশেষ আধিকারিককে নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে। এ মর্মে তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। শনিবার তাদের নির্বাচনি মহড়ায় অংশ নিতে হবে। এমতাবস্থায় পর্ষদের পক্ষে পূর্ব ঘোষিত সময়ে পরীক্ষা গ্রহণ কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে। এ নিয়ে আবারও দুশ্চিন্তায় পড়েছে পর্যৎ কর্তৃপক্ষ। এর আগে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে পর্ষৎ কর্তৃপক্ষকে। পর্ষদের পক্ষে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে পরীক্ষা এগিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর পনেরো মার্চ থেকে পর্ষদের পরীক্ষা সূচি ঘোষণা করা হয়। পনেরো মার্চ বুধবার শুরু হবে পর্ষদের উচ্চমাধ্যমিক ও সমতুল মাদ্রাসা ফাজিল কলা এবং ফাজিল থিওলজি পরীক্ষা। ষোল মার্চ থেকে শুরু হবে মাধ্যমিক ও সমতুল মাদ্রাসা আলিম পরীক্ষা। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলবে সতেরো এপ্রিল পর্যন্ত, আর মাধ্যমিক পরীক্ষা চলবে উনিশ এপ্রিল পর্যন্ত। পর্ষদের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ মর্মে পরীক্ষা সূচি ঘোষণা করা হয়। এর চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে অনেকটা আকাশ ভেঙে পড়ার উপক্রম হয় পর্যৎ কর্তৃপক্ষের পরিস্থিতি সামাল দিতে পর্যদের তরফে রাজ্য মাধ্যমিক শিক্ষা অধিকর্তার কার্যালয়ের সঙ্গে কথা বলা হয়। জানা গেছে সমস্যা নিরসনে রাজ্য নির্বাচন দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আসলে রাজ্য পর্যদের পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ের প্রাণ ভোমরা হিসাবে পরিচিত সচিব ও মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই বিশেষ আধিকারিক। আর পর্ষদের সচিব ড. দুলাল দে, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক অভিজিৎ ভট্টাচার্য ও দীপ্তাংশু প্রকাশ দত্তকে নিয়োজিত করা হয়েছে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের কাজে। ফলে পষদের পক্ষে পূব ঘোষিত সময়ে পরীক্ষা গ্রহণ মুশকিল হয়ে পড়েছে। কেননা পরীক্ষা ঘিরে প্রশ্নপত্র তৈরি করা থেকে শুরু করে আনুষঙ্গিক বহু কাজ রয়েছে। সময় এবং অবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ-এর প্রধান ভিত্তি। সেই সঙ্গে পরিস্থিতি বিবেচনা করে অনেক ক্ষেত্রেই তাৎক্ষণিক ভাবে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়। নিরন্তর এই কর্মপরিধিতে ব্যাঘাত ঘটলেই বিপদ । পর্ষদের পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই আধিকারিক সহ খোদ পর্ষদের সচিবকে নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত করায় আখেরে বিপদই ঘটেছে। ফলে পরিস্থিতির বদল না ঘটলে শেষ পর্যন্ত সূচি পিছিয়ে দেওয়া ছাড়া অন্য কোনও বিকল্প থাকবে না। সোমবার পর্যন্ত অপেক্ষা করে পর্ষদের তরফে সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলে খবর। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হয় পর্ষদের সভাপতি ড. ভবতোষ সাহার সঙ্গে। তিনি খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন। বলেছেন এ নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনে পরীক্ষা সূচি পিছিয়ে দেওয়ারও ইঙ্গিত দেন পর্ষদের সভাপতি।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.