চলতি বছরেই সূর্যঅভিযানে নামছে ভারত

 চলতি বছরেই সূর্যঅভিযানে নামছে ভারত
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

চাঁদ-মঙ্গলে অভিযান ঢের হল। এবার যাকে কেন্দ্র করে পৃথিবী আবর্তিত হচ্ছে, যার কৃপায় দিন-রাত হচ্ছে, সেই সূর্যকে জানার অভিযানে
নামছে ভারত। তা হবে চলতি বছরেই। সৌজন্যে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। এই মিশনের নাম ‘আদিত্য এল-ওয়ান’। আগামী জুন বা জুলাইয়ে আদিত্য এল-১ মিশনে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে ইসরো, সম্প্রতি ইসরোর চেয়ারম্যান এস
সোমনাথ এ কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি জানান, আদিত্য এল-১ হল প্রথম ভারতীয় মহাকাশ মিশন যা সূর্য এবং সৌর করোনা পর্যবেক্ষণ করবে। বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুতে ইসরোর সদর দপ্তরে ভিজিবল লাইন এমিশন
করোনাগ্রাফ (ভিইএলসি) পেলোড হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ইসরোর কর্তা বলেন, আদিত্য এল-১ মিশন জুন বা জুলাইয়ের মধ্যে চালু করা হবে কারণ মিশনের লঞ্চ উইন্ডো আগস্টের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা সকলে সৌরজগতের বাসিন্দা। আর সৌরজগতের কর্তা হল সূর্য। তাকে জানার এখনও অনেকটাই বাকি পৃথিবীর। কিন্তু
সূর্যকে জানতে যাবে কে! অমন গনগন আগুনের সাম্রাজ্যের কতটা দূরে গিয়ে গবেষণা চালালে তবে সূর্যকে জানা যাবে, এতদিন তাই নিয়ে গবেষণা করছিল ইসরো। আদিত্য এল-১ যান সূর্যের দেশের সীমান্তে
গিয়ে উঁকি দেবে। নিরাপদ দূরত্ব থিতু হয়ে সে সূর্যকে জানার চেষ্টা করবে। ইসরোর এই অভিযান নিয়ে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা নাসার অন্দরমহলেও চর্চা শুরু হয়ে গেছে।
এস সোমনাথ জানিয়েছেন, আদিত্য এল-১ হচ্ছে সর্বাধুনিক সৌরযান, যা সূর্যের নাকের ডগায় বসে তার যাবতীয় খোঁজখবর নিয়ে তা পৃথিবীর বুকে পাঠাবে। ইতিপূর্বে নাসা এবং
ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি (এসা) সূর্য নিয়ে গবেষণা করতে সৌরযান পাঠিয়েছিল। ভারত হল তৃতীয় দেশ যারা সৌর-মুলুকে মিশন চালানোর কাজে নামছে। এই অভিযান সফল
হলে, মহাকাশবিজ্ঞানের ইতিহাসে পাকাপাকি ভাবে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট বসবে ভারতের মাথায়। ইসরো জানিয়েছে, পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ
কিলোমিটার দূরে সূর্য ও পৃথিবীর মাঝের একটি কক্ষপথ আছে। তার নাম ‘ল্যাগ্রারাঞ্জিয়ান পয়েন্ট’। এটি হল সূর্য-পৃথিবী সিস্টেমের প্রথম ল্যাগ্রারাঞ্জিয়ান বিন্দু। সেখানেই অবতরণ ভারতের পাঠানো আদিত্য
এল-১ নামের কৃত্রিম উপগ্রহ। সূর্যের বাইরের সবচেয়ে উত্তপ্ত স্তর করোনার যাবতীয় তথ্য সে তুলে আনবে। আদিত্য এল-১ স্যাটেলাইটে সাতটি পেলোড রয়েছে, যার মধ্যে প্রাথমিক
পেলোড হল দৃশ্যমান নির্গমন লাইন করোনাগ্রাফ তথা ভিইএলসি। এটি তৈরি করা হয়েছে বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ
অ্যাস্ট্রোফিজিক্সে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.