বিশ্বের ধনকুবের তালিকায় সেরা-১০ থেকে ছিটকে গেলেন আদানি

 বিশ্বের ধনকুবের তালিকায় সেরা-১০ থেকে ছিটকে গেলেন আদানি
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

বাজার বিশেষজ্ঞদের অনুমানই সত্যি হল। তিন থেকে সাতে নেমে এসেছিলেন গত ২৭ তারিখেই। নামতে নামতে জানুয়ারী মাসের শেষ দিনে আদানি গ্রুপের কর্ণধার গৌতম আদানি বিশ্বের ধনী-তালিকায় প্রথম দশের বাইরে ছিটকে গেলেন। বিশ্বের নানা দেশের
ধনকুবেরদের সম্পত্তি সূচক হল ব্লু
মবার্গবিলিওনেয়ার ইনডেক্স। মঙ্গলবার সেই সূচক জানায়, প্রথম দশ থেকে ছিটকে গৌতম
আদানি এখন নিট সম্পদের বিচারে বিশ্বের একাদশতম ধনী ব্যক্তি। দ্বাদশ স্থানে রয়েছেন
আর এক গুজরাটি ধনকুবের মুকেশ আম্বানি। নিউ ইয়র্কথেকে ব্লু মবার্গবিলিওনেয়ার সূচক প্রতিদিন বিশ্বের প্রথম ৫০০ জন ধনী ব্যক্তির তালিকায় প্রকাশ করে। মঙ্গলবার ধনী তালিকা তৃতীয় স্থানে
আছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। প্রথম স্থানে আছেন বিখ্যাত
ফ্যাশন ব্র্যান্ড লুই ভিত্তোঁর কর্ণধার বার্নার্ড আরনল্ট। দ্বিতীয় স্থানে আছেন টেসলা, স্পেস এক্স তথা টুইটারের কর্ণধার ইলন মাস্ক। চতুর্থ স্থানে আছেন মাইক্রোসফট
কর্তা বিল গেটস। গত সপ্তাহেও ধনীতমদের তালিকায় গৌতম ছিলেন ‘থার্ড বয়’। তারও আগে নিজের সব কোম্পানির শেয়ারের দরে আকস্মিক বৃদ্ধির জেরে দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তার সামনে তখন শুধু ছিলেন টেসলা, স্পেস এক্স তথা টুইটারের কর্ণধার ইলন মাস্ক। প্রথম স্থান দখলের দৌড়ে
এগোচ্ছিলেন গৌতম। ২৪ জানুয়ারী তিনি ভারত এবং এশিয়ার পয়লা নম্বর ধনকুবের গৌতম আদানি ছিলেন বিশ্বের ধনী তালিকায় তৃতীয় নাম। ২৫ জানুয়ারী আমেরিকার
অর্থলগ্নি সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গরিসার্চ তাদের বিস্ফোরক সমীক্ষা
আদানিদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনে দাবি করে আদানি সাম্রাজ্যের তাবৎ সম্পদ তথ্যের ভিত্তিতে নয়, দাঁড়িয়ে আছে স্রেফ তাদের শেয়ার দরের ভ্রান্ত মূল্যায়নের ভিত্তিতে। ওই রিপোর্ট জানায়, ছল ও কারচুপি পুঁজি করে গৌতম আদানির বিশাল সম্পদ আদতে জল ভরা ফাঁপা বেলুন মাত্র। এই রিপোর্ট সামনে আসতেই সেই যে হু হু করে আদানি গ্রুপের অধীনে থাকা সমস্ত কোম্পানির শেয়ার নামতে শুরু করেছে, মঙ্গলবারও তা অব্যাহত ছিল। ওই রিপোর্ট প্রকাশের পরদিনই তিন থেকে চার এবং শুক্রবার বিশ্বের ধনী-তালিকায় সাত নম্বরে নেমে এসেছিলেন আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম। বাজার বিশেষজ্ঞরা সেদিনই
বলেছিলেন, খুব তাড়াতাড়ি ধনী তালিকায় আরও নিচে নেমে যাবেন তিনি।
হিন্ডেনবার্গরিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ভারতের শেয়ার বাজারে ধস নেমেছে। এলআইসি, স্টেট ব্যাঙ্ক, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের মতো সংস্থা আদানিদের পাহাড় প্রমাণ টাকা ঋণ দিয়ে বসে আছে। ফলে শেয়ার বাজারের পরিস্থিতি নিয়ে সাধারণ মানুষও উদ্বেগে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.