বামফ্রন্টের ইশতেহার প্রকাশ

 বামফ্রন্টের ইশতেহার প্রকাশ
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি।। ত্রিপুরায় বি জে পি -আই পি এফ টি জোট সরকার দুঃশাসন চালাচ্ছে। একদলীয় স্বৈরশাসন কায়েমের লক্ষ্যে ফ্যাসিস্টসুলভ সন্ত্রাস চালাচ্ছে। গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। নাগরিক স্বাধীনতা হরণ করেছে। স্বাধীনভাবে ভোট দেবার অধিকার বলপূর্বক ছিনিয়ে নিচ্ছে। নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা পদদলিত করছে। ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ ধ্বংস করছে। স্বাধীনভাবে ধর্মাচরণ ও সামাজিক কার্যক্রমে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে। উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদকে শুকিয়ে মারছে। উপজাতি, তপশিলি, ও বি সি এবং সংখ্যালঘুদের অর্থনৈতিক অধিকার ও সুযোগ সুবিধা হরণ করছে। ত্রিপুরাকে নেশার সাগরে ডুবিয়ে রাখবার খেলায় মেতেছে। মা-বোনদের বিরুদ্ধে অপরাধ বাড়ছে ও বীভৎস চেহারা নিচ্ছে। আইনের শাসনকে সংহার করে জঙ্গলের শাসন কায়েম করেছে। দেশের সংবিধানকে অচল করে রেখেছে।
২০১৮-তে দেওয়া নিজেদের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতিকে বি জে পি প্রহসন ও মিথ্যায় প্রতিপন্ন করেছে। মানুষের কাঁধে প্রতিনিয়ত কর ও রাজস্বের বোঝা চাপিয়ে চলেছে। পণ্যমূল্য বৃদ্ধি নিত্যদিনের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। কুটির-ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পসহ ব্যবসা-বাণিজ্য মন্দায় আক্রান্ত। কৃষি ও কৃষক সংকটাপন্ন। মানুষের কাজ-উপার্জন-ক্রয়ক্ষমতা তলানিতে নেমে এসেছে। অর্ধাহার- অনাহার- অনাহার মৃত্যু – সন্তান বিক্রির ঘটনা ফিরে এসেছে। স্থানে স্থানে পরিস্রুত পানীয় জল, সেচের জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহের অনিশ্চয়তায় মানুষ ভুগছেন। সড়ক যোগাযোগ বিপর্যস্ত। বিদ্যালয়ে, কলেজে শিক্ষক-অধ্যাপকের অভাব। হাসপাতালে ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীর অভার। ঔষধ, রোগীর খাবার ও শয্যার অভাব ।

সরকারি নিয়োগ প্রায় বন্ধ। যা কিছু নিয়োগ হচ্ছে তা হচ্ছে চুক্তির ভিত্তিতে। শূন্যপদ পূরণ করছে না তার হাজার শূন্যপদ সৃষ্টি হচ্ছে। শ্রমজীবীসহ সরকারি কর্মচার। তার ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার এবং ন্যায্য আর্থিক পাওনা থেকে বঞ্চিত করছে। অনেক ক্ষেত্রে মজুরি কমিয়ে দিয়েছে। শাসকদলের আশ্রিতরা সর্বত্র বলপূর্বক অর্থ লুণ্ঠনের অবাধ রাজত্ব চালাচ্ছে। সরকার দুর্নীতিতে ডুরে আছে। সরকারি আর্থিক শৃঙ্খলা ও অর্থ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

বি জে পি-আই পি এফ টি জোট সরকার ত্রিপুরাকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে। ত্রিপুরার মানুষ এই দুর্বিষহ যন্ত্রণাকর অবস্থার ‘অবসান চান। মানুষ চান রাজ্যে গণতন্ত্র-শান্তি -সম্প্রীতি- ধর্মনিরপেক্ষতার বাতাবরণ এবং আইনের শাসন ফিরে আসুক। মানুষ চান কাজ-উপার্জনসহ মানুষের বেঁচে থাকবার মতো ব্যবস্থা নিশ্চিত হোক। মানুষ অবশ্যই চান দেশের সংবিধান ত্রিপুরায় কার্যকরীভাবে সচল হোক । এই লক্ষ্যে বি জে পি’কে পরাস্ত করতে এবং নিম্নের ন্যূনতম কর্মসূচি রূপায়ণ নিশ্চিত করতে ত্রিপুরার নির্বাচকমণ্ডলীকে বামফ্রন্ট প্রার্থীদের জয়যুক্ত করতে সনির্বন্ধভাবে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকার রক্ষায় :
১। নির্বিঘ্নে নির্ভয়ে স্বাধীনভাবে নিজের ভোট নিজে দেবার অধিকারসহ ভারতের সংবিধানে স্বীকৃত নাগরিকদের সকল মৌলিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে। আইনের শাসন ফিরিয়ে আনা হবে।

২। সকল ধর্ম বর্ণ সম্প্রদায়ের মানুষ স্বাধীনভাবে নিজেদের ধর্মীয় ও সামাজিক অধিকার নির্বিঘ্নে ভোগ করতে পারবেন।
৩। – জননির্বাচিত সংস্থায় আইন অনুযায়ী নিয়মিত্ব নির্বাচন করা হবে।
৪। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করা হবে।
৫। মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ দমনে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রাজনৈতিক সন্ত্রাসে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের কল্যাণেঃ •
১। রাজনৈতিক সন্ত্রাসে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারসমূহের পাশে সরকার সাহায্যের হাত নিয়ে দাঁড়াবে।

শ্রমিক কল্যাণেঃ

১। শ্রমিক ও শ্রমজীবী জনগণের অধিকার ও স্বার্থ হরনকারী আইন. প্রতিহত করতে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে সঙ্গতি রেখে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করা হবে।
৩। চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, বাসস্থান, পানীয়জল, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নির্মাণ শ্রমিক পরিবারের গৃহ নির্মাণ, চিকিৎসা ও ছেলে-মেয়েদের লেখা পড়ার জন্য সাহায্যের ব্যবস্থা করা হবে। পরিবহন শ্রমিকদের উপর জুলুম বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরিবহন শ্রমিকদের চিকিৎসা পরিষেবায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৪। অঙ্গনওয়াড়ি, আশা ও মিড-ডে মিল সহ স্কীম ওয়ার্কারদের মজুরি বৃদ্ধি করা হবে এবং কাজের নিশ্চয়তা দেওয়া হবে ।

কৃষি ও কৃষক কল্যাণেঃ

১। কৃষির জন্য বিনামূল্যে সেচের জল সরবরাহ করা হবে। সেচের এলাকা সম্প্রসারণ করা হবে এবং বর্তমানে অচল সেচ প্রকল্পগুলি সব ঋতুতে চালু রাখার ব্যবস্থা করা হবে। মৎস্য চাষ উন্নয়নে বিশেষভাবে উদ্যোগ নেয়া হবে।

২। সার, বীজ, কীটনাষক, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ কৃষির প্রয়োজনীয় উপকরণ ভর্তুকিতে কৃষি বীজাগার এবং সমবায়ের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে।
৩/ রাজ্যকে খাদ্যে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে কৃষি প্রযুক্তি, ভূমি সংরক্ষণ ও জল সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। খাদ্য উৎপাদন ২৫ শতাংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে ।
৪। আধুনিকভাবে উন্নত জুম চাষের জন্য প্রকৃত জুম চাষীদের সাহায্য করা হবে।
৫। সরকারিভাবে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হবে। কৃষকদের উৎপাদিত ধান ভারত সরকার কর্তৃক ঘোষিত সহায়ক মূল্যের উপর রাজ্য সরকার অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তা দেবে।
৬। রাবার, চা, আনারসসহ বিভিন্ন ফল ও ফুল উৎপাদক চাষীদের “অভাবী বিক্রয়” থেকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৭। কৃষি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করা হবে।
কর্মসংস্থানেঃ

১। সরকারি শূন্যপদ পূরণে এবং নতুন নিয়োগে ধারাবাহিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাঁচ বছরে সরকারি, আধা সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন স্তরের শিল্প বাণিজ্য ও ব্যবসায়ে ২.৫ লক্ষ/সর্বাধিক সংখ্যক লোকের কর্মসংস্থান করার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে ।

২। ব্লক ও নগরে বিভিন্ন পেশায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। প্রশিক্ষণ শেষে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেয়া হবে। বিপণনে সাহায্য করা হবে।
৩/ স্বাবলম্বন কর্মসূচীতে আর্থিক সহায়তার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হবে।

8/ রেগাসহ কৃষি, উদ্যান, গ্রামোন্নয়ন, পূত, বন, মৎস্য এবং অন্যান্য উন্নয়ন দপ্তর মিলে বছরে ২০০ দিনের কাজের ব্যবস্থা করা হবে। শহরাঞ্চলে টুয়েপ প্রকল্পে শ্রমদিবস বৃদ্ধি করা হবে।

শিক্ষা সম্প্রসারণেঃ

১। রাজ্যে কোন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেসরকারিকরণ করা হবে না।

২। বিদ্যালয় এবং মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষক এবং অধ্যাপক স্বল্পতা দূর করা হবে।

৩। সকলের জন্য উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ করতে করবুক, জম্পুইজলা, আমবাসা মহকুমা এবং অন্যত্র চাহিদা অনুযায়ী নতুন কলেজ স্থাপন করা হবে। প্রয়োজনে মহিলা কলেজ স্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হবে।

৪। বর্তমান পলিটেকনিক কলেজসমূহ থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী কোথাও কোথাও পলিটেকনিক কলেজকে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে উন্নীত করা হবে। নতুনভাবে ব্লক এলাকায় আই টি আই এবং মহকুমায় পলিটেকনিক কলেজ স্থাপন করা
হবে।
৫। বিজ্ঞান চেতনা ও যুক্তিবাদী মানসিকতা নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের গড়ে উঠতে সাহায্যকল্পে কার্য্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ক্রীড়া উন্নয়নঃ

খেলাধুলার সার্বিক মানোন্নয়নে পরিকাঠামো সংস্কার ও সম্প্রসারণ, আধুনিকীকরণ এবং উন্নত প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে যে সকল ক্রীড়ায় ত্রিপুরায় সম্ভাবনা রয়েছে সে সব ক্ষেত্রে পরিকাঠামো ও আধুনিক প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেঃ

স্বাধীন সংস্কৃতি চর্চার বিকাশে সর্বতো উদ্যোগ ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সাংস্কৃতিক কর্মসূচী সংগঠিত করার জন্য স্বল্প ব্যয়ে সরকারি মিলনায়তন/ প্রেক্ষাগৃহ পেতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সামাজিক সুরক্ষায়ঃ

১। সামাজিক ভাতা প্রাপকদের সংখ্যাও ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করা
হবে। অন্যায়ভাবে যাদের ভাতা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে তাদের ভাতা পুনরায় ফিরিয়ে দেয়া হবে।
২। কায়িক শ্রমে যুক্ত সমস্ত পেশায় কর্মরত ৬০ বছর উর্দ্ধের ব্যক্তিদের সামাজিক ভাতার আওতায় আনা হবে।
৩/ ৬০ বছর উর্দ্ধের জুমিয়া-গরীব কৃষক-ক্ষেতমজুরদের যাদের – বাৎসরিক আয় সর্বোচ্চ এক লক্ষ টাকার কম তাদের জন্য নতুন ভাতা প্রকল্প চালু করা হবে।
81 সকল শারিরীক প্রতিবন্ধীদের ভাতার আওতাভুক্ত করা হবে শিক্ষিতদের চাকরিতে সংরক্ষণ বজায় থাকবে। কৃত্রিম অঙ্গ প্রত্যঙ্গ পেতে সরকারিভাবে সাহায্য করা হবে।
শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য :

১। ছাঁটাই করে দেওয়া ১০৩২৩ শিক্ষকদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ করা হবে। প্রয়াত ছাঁটাইকৃত শিক্ষক পরিবারকে সাহায্য করা হবে।
২। অন্যায়ভাবে ছাঁটাই করে দেওয়া সরকারি কর্মচারীদের চাকরিতে পুনর্বহাল করা হবে।
৩। পুরানো পেনশন প্রথা পুনরায় বহাল করা হবে এবং বছরে দু’বার মহার্ঘভাতা প্রদান করা হবে।
৪। মহার্ঘভাতা বৃদ্ধির সাথে সাযুজ্য রেখে এস-এস-এ শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধি করা হবে। অবসরকালীন সময়ে আর্থিক নিরাপত্তা প্রদানে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
৫। অনিয়মিত ও চুক্তিবদ্ধ কর্মচারীদের নিয়ম মেনে নিয়মিত করা হবে।
৬। বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মচারীদের নিয়ম-পদ্ধতি মেনে নিয়মিতভাবে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা হবে।
৭। বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলি করার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হবে।
৮। রহিঃরাজ্যে কর্মরত টি এস আর-দের অবিলম্বে ফিরিয়ে আনা হবে।
৯। পুলিশ, টি এস আর, হোমগার্ড এবং এস পি ও-দের রেশনমানি ও পোষাক ভাতা বৃদ্ধি করা হবে।
১০। বিভিন্ন সরকারি কর্ম প্রকল্পে কর্মরতদের ছাঁটাই করা হবে না।
স্বাস্থ্য পরিষেবাঃ
১। সরকারি হাসপাতালগুলিতে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। যথাসম্ভব প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে।
২/ আগরতলা মেডিকেল কলেজে বিভিন্ন বিশেষ রোগের চিকিৎসার্থে সুপার স্পেশালিটি ব্লক গড়ে তোলা হবে। জটিল রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসায় সাহায্য করার জন্য বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

৩। ত্রিপুরাতে এইমসের মত একটি হাসপাতাল স্থাপনের জন্য সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

উপজাতি কল্যাণেঃ

১। সংবিধান সংশোধন করে ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা-স্ব-শাসিত জেলা পরিষদের স্বয়ং শাসনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

২/ ৬ষ্ঠ তফসিল মোতাবেক গঠিত ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা সর্বতো- ভাবে বৃদ্ধি করা হবে।

৩/এ ডি সি’র হাতে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর এবং দপ্তরের ব্যয় নির্বাহে প্রয়োজনীয় অর্থ হস্তান্তর করা হবে।

8) উপজাতিদের শিক্ষা, চাকরি ও পদোন্নতিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।

৫। সকল উপজাতি ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয় ও সাধারণ কলেজ স্তরে বিনা বেতনে পড়ার ব্যবস্থা থাকবে এবং সকলকে কোন না কোন স্টাইপেন্ডের সুযোগ পেতে সাহায্য করা হবে।
৬/ ককবরককে সংবিধানের ৮ম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করতে সর্বাত্মক উদ্যোগ নেয়া হবে। বিভিন্ন উপজাতি জনগণের মাতৃ ভাষার উন্নয়নে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৭। বনাধিকার আইন অনুযায়ী পাট্টা প্রাপকদের বনভূমির উপর অধিকার সুনিশ্চিত করা হবে এবং বনভূমির উপর ভিত্তি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর হতে সাহায্য করা হবে।

৮। ভূমি ও গৃহহীন জুমিয়াদের গৃহসহ স্থায়ী বসতি স্থাপনের ব্যবস্থা করা হবে।

তপঃ জাতি, ও বি সি, সংখ্যালঘুদের কল্যাণেঃ

১। তপঃ জাতি অংশের শিক্ষা, চাকরি ও পদোন্নতিতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।

২। তপশিলী জাতিভুক্ত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আবাসিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে এবং সাধারণ কলেজ স্তর পর্যন্ত বিনা বেতনে পড়ার ব্যবস্থা থাকবে।

৩। সংবিধান সংশোধন করে ও বি সি-দের শিক্ষা, চাকরি ও পদোন্নতিতে সংরক্ষণের সুযোগ প্রদানে সর্বাত্মক উদ্যোগ নেয়া হবে।
৪। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের শিক্ষা ও চাকরিতে সুযোগ বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
৫। তপশিলী, ও বি সি, সংখ্যালঘু ছাত্র-ছাত্রীদের স্টাইপেন্ড বৃদ্ধি করা হবে।
৬। তপশিলী, ও বি সি এবং সংখ্যালঘুভুক্ত ভূমিহীনদের ভূমি এবং গৃহের ব্যবস্থা করা হবে।
৭। তপঃ উপজাতি, তপঃ জাতি, ও বি সি এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের জন্য গঠিত কর্পোরেশনগুলিকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী করা হবে। ঋণ প্রাপকদের অধিক অর্থ পেতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মহিলাদের জন্যঃ ১ । আইন সভায় মহিলাদের জন্য এক তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণের জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ নেয়া হবে।

২। শিক্ষা ও চাকরিতে সুযোগ বৃদ্ধি করা হবে ।

৩। স্ব-সহায়ক দলের সংখ্যা দ্বিগুণ করা হবে। ৭৫ শতাংশ পরিবারকে এর আওতাভুক্ত করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। স্ব-সহায়ক দলসমূহকে আর্থিকভাবে আরো শক্তিশালী করা হবে।

বাস্তুহীন ও গৃহহীনদের জন্যঃ

১। সকল বাস্তুহীনদের বাস্তু ভিটা প্রদান করা হবে।
2। সকল গৃহহীনদের জন্য বাসযোগ্য গৃহ ও শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হবে।
৩। বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন দেয়া হবে।
খাদ্য নিরাপত্তা ও মূল্যবৃদ্ধি রোধে :
সার্বজনীন গণবন্টন ব্যবস্থার বর্তমান পরিকাঠামোকে সম্প্রসারিত ও শক্তিশালী করা হবে। সকলের জন্য ১৪টি নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য ভর্তুকিতে প্রদান করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। কালোবাজারি, বে-আইনি মজুতদারি বন্ধ করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পানীয় জলঃ
বিনামূল্যে সর্বত্র পানীয় জল সরবরাহ করা হবে।
ভূমি ক্রয়-বিক্রয়ঃ
ভূমি ক্রয়-বিক্রয় ও দানপত্রের জন্য রেজিষ্ট্রেশন ফিস কমানো হবে। রেজিষ্ট্রেশন করতে গিয়ে হয়রান যাতে হতে না হয় তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সহায়তাঃ

মাসে পঞ্চাশ ইউনিটের কম যে সকল পরিবার বিদ্যুৎ ভোগ করেন সরকার সেই সকল পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যয় বহন করবে।
ড্রাগ এর বিপদঃ .
ড্রাগ এর বিপদ মোকাবিলায় কঠোর কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হরে।
পরিকাঠামো উন্নয়ন ও শিল্প স্থাপনেঃ

১। গ্রাম শহরে চলাচলের অযোগ্য সড়কসমূহকে অগ্রাধিকারের
ভিত্তিতে দ্রুত সংস্কার করা হবে। সমস্ত মহকুমা ও ব্লক কেন্দ্রে ডাবল লেন এর সুবিধাযুক্ত সড়ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হবে।
২। বর্তমানে চালু জাতীয় সড়কের মানোন্নয়ন এবং চার লেন যুক্ত করতে সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
৩। কৈলাসহর ও কমলপুরে বিমান বন্দর চালু করার জন্য সক্রিয় প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
৪।: ধর্মনগর থেকে কৈলাসহর, কমলপুর, খোয়াই, আগরতলা, সোনামুড়া, বিলোনীয়া হয়ে সাব্রুম পর্যন্ত নূতন বিকল্প রেলপথ . নির্মাণ করার জন্য সক্রিয় প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
ত্রিপুরাতে রেল ডিভিশন ও নিয়োগ কেন্দ্র স্থাপন করতে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
৫। সাব্রুম থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত নূতন রেলপথ স্থাপনের মাধ্যমে ত্রিপুরা যাতে আমদানি-রপ্তানির করিডোর হিসাবে গড়ে উঠার

সুযোগ নিতে পারে তার জন্য সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

৬/রেলপথে আগরতলা-ঢাকা-কলকাতা যাওয়ার ব্যবস্থা করতে রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ দ্রুততর করার জন্য সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

৭/ রাজ্যে উৎপাদিত বাঁশ, চা, রাবার ও প্রাকৃতিক গ্যাসকে ভিত্তি করে উপযুক্ত শিল্প গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হবে ।

৮। রাজ্যে একটি সার কারখানা গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

৯/ রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলির আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রশাসনঃ

দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ জনমুখী প্রশাসন নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.