নীতি আদর্শহীন বাম-কংগ্রেস
ষোল ফেব্রুয়ারী ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে ততোই গোটা রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রচার তেজি হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে বলতে কোনও দ্বিধা নেই, প্রচারের দিক দিয়ে শাসক দল বিজেপি অন্য রাজনৈতিক দলগুলি থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। প্রতিদিনই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিজেপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা গোটা রাজ্য চষে বেড়াচ্ছেন।রবিবার কৈলাসহর, ছামনু এবং আগরতলা বনমালীপুরে সমাবেশে অংশ নেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। প্রতিটি সভাতেই শ্রীদেব কংগ্রেস-সিপিএমকে নিশানা করেন।এদিন তিনি বলেন,নীতি আদর্শচ্যুত কংগ্রেস ও কমিউনিস্টরা শুধুমাত্র ক্ষমতার স্বাদ পেতে বিগত দিনের রাজনৈতিক বিরোধিতার নাটকের যবনিকা টেনে, পুনরায় রাজ্যের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে মাঠে নেমেছে।এই নাটক মঞ্চস্থ করার আগে এদের মাথা মুণ্ডন করে প্রায়শ্চিত্ত করা দরকার
ছিলো। তারা এই রাজ্যের হাজার হাজার কর্মী-সমর্থকদের আবেগের সাথে খেলা করেছে। হাজার হাজার কর্মী-সমর্থকদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। মানুষের আবেগ নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে শুধু নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য।বিগত দিনগুলিতে এরা একে অপরের বিরুদ্ধে মেকি বিরোধিতায় শামিল ছিলো। এই রাজ্যে হাতে গোনা কয়েকজন কংগ্রেসি নেতা বছরের পর বছর ধরে, হাজার হাজার কংগ্রেস কর্মীর আবেগ নিয়ে নিজেরা রাজনীতির ব্যবসা চালিয়ে গেছে। ওই মেকি নেতারাই গত পঁচিশ বছর ধরে এই রাজ্যে সিপিএমকে ক্ষমতায় বসিয়ে রাখতে কংগ্রেস কর্মীদের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়েছে।এরা এখন প্রকাশ্যে একে অপরের প্রেমে মজেছে।আসন্ন বিধানসভা নির্ব ত্রিপুরার মানুষ এবার ওইসব স্বার্থান্বেষীদের সমুচিত জবাব দেবে। মানুষের সম্মিলিত জবাবের মাধ্যমেই এই রাজ্যে গত পঁয়ত্রিশ বছরে যত মানুষ খুন হয়েছে, তাদের আত্মার শান্তি লাভ হবে। ত্রিপুরার আপামর মানুষ ওইসব স্বার্থাঙ্গেরীদের ক্ষমা করবে না। যারা গত পঁয়ত্রিশ বছর ধরে শত শত মায়ের বুক খালি করেছে, স্ত্রীর সিঁথির সিঁদুর মুছে দিয়েছে, মা-বোনের ইজ্জত নষ্ট করেছে, হাজার হাজার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে, ভিটেমাটি ছাড়া করেছে, তারা আজ একে অপরের বন্ধু সেজেছে।পঁয়ত্রিশ বছরের কলঙ্কিত ইতিহাস,সেই কালো দিনগুলি আজ তারা ভুলে গেছে। সিপিএম ভুলে গেছে জোট আমলের কালো অধ্যায়,বীরচন্দ্র মনুর গণহত্যার কথা। পোস্ট অফিস চৌমুহনীর তথাকথিতরা ভুলে গেছে সিপিএমের অত্যাচারের দিনগুলি। এখন নাকি রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। রাজ্যের মানুষ এর বিচার করবে। রাজ্যে গণতন্ত্র আছে কি নেই সেটা আগামী ২রা মার্চ স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে দাবি করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।