মন্ত্রিসভা গঠনের রূপরেখা দিলেন হিমন্ত!
তারকাদের সমাবেশ ঘটিয়ে শপথ নেবে দ্বিতীয় বিজেপি সরকার। আগামী ৮ মার্চ আস্তাবলে শপথগ্রহণের রাজকীয় আয়োজন করা হচ্ছে। শনিবার তারই প্রস্তুতিতে ঝটিকা সফর করে গেলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। উত্তরপূর্বের রাজনীতির চাণক্য এদিন পরিষদীয় নেতা নির্বাচনের বৈঠক, পরবর্তী মন্ত্রিসভা গঠন সহ আনুষঙ্গিক যাবতীয় বিষয় নিয়ে শলাপরামর্শ করে গেছেন। মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা, প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক সহ শাসক দলের শীর্ষনেতৃত্বের সাথেও তার কথাবার্তা হয়েছে। যতদূর জানা গেছে, দিন দুয়েকের মধ্যেই পরবর্তী মন্ত্রিসভা, পরিষদীয় দলনেতা নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। নেডা চেয়ারম্যান শ্রীবিশ্বশর্মা এদিন প্রদেশ শীর্ষ নেতাদের হাইকমাণ্ডের বার্তাও দিয়ে গেছেন। বিজেপি জোট সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমিত শাহ,বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা বিজেপি সহ আরও অনেকে আসছেন। প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য জানান, মোদি, শাহ, নাড্ডা সহ আরও বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও আসতে পারেন । যার লক্ষ্যে প্রশাসনের সাথে দলীয় তরফেও ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হবে। হিমন্ত বিশ্বশর্মা মূলত তার লক্ষ্যেই শনিবার রাজ্যে আসেন। পরিষদীয় দলনেতা নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি জানান, আগামী দুই দিনের মধ্যেই সব স্থির হয়ে যাবে সংশ্লিষ্ট সবার সাথে আলোচনাক্রমে ৷ এদিন চার্টার্ড বিমানে এমবিবি বিমানবন্দরে পা রেখে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আসার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, রাজ্যে এবার বিজেপির অসাধারণ জয় এসেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদিই এই সরকারের অন্যতম কারিগর। প্রদেশ বিজেপির তৃণমূলস্তরের কর্মীরাও এবার জয়ের জন্য সিরিয়াস ছিল। তাতেই প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত হয়েছে। তিপ্পা মথা দলের বিষয়ে শ্রীবিশ্বশর্মা বলেন, ওই দলের বেশ কিছু ইস্যু রয়েছে। জনজাতিদের কল্যাণের লক্ষ্যে তাদের সাথে বসে বৈঠক করতে পদ্মশিবিরের অসুবিধা নেই। জনজাতিদের কল্যাণে তাদের সাথে কাজ করতে চার বিজেপি। তবে রাজ্যভাগের ইস্যুতে তাদের সায় নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন। নির্বাচনোত্তর হিংসার বিষয়ে শ্রীবিশ্বশর্মা বলেন, ভোট পরবর্তী হিংসা মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়। কোনও অবস্থাতেই এমনটা হওয়া উচিত নয়। নির্বাচনের পর গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত হয়। এই প্রেক্ষিতে হিংসার কোনও স্থান নেই। তিনি বলেন, বিজেপি সরকার এই পরিস্থিতিতে যথাযথ ভূমিকা নেবে। এদিকে, এদিন হিংসাশ্রয়ী কার্যকলাপের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা, প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য উত্তর ও সিপাহিজলা জেলা সফর করে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার সহ প্রশাসনিক আধিকারিকদের সাথে বৈঠক করেছেন। শ্রীভট্টাচার্য বলেন, হাঙ্গামাকারীদের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।কোনও অবস্থাতেই হিংসা বরদাস্ত করা হবে না।