রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
পত্রিকা বিলিতে বাধা, উদ্বেগ!
ভোট গণনা শেষ হওয়ার তিনদিন পর রাজ্যের নানা জায়গা থেকে হিংসার খবর আসছে। শুধু তাই নয়, একাংশ দুর্বৃত্ত রাজ্যের নানা জায়গায় পত্রিকা বিলিতেও বাধা দিচ্ছে। গত শুক্রবার থেকে রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে পত্রিকা বিলিতে বাধা ও হুমকির খবর আসছে। পত্রিকা হকারদের উপর হুলিয়া জারি করা হয়েছে। কয়েকজনকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় গত তিনদিন ধরে রাজ্যের কিছু কিছু জায়গায় পত্রিকা বিলি বন্ধ। পাঠকরা পত্রিকা পাচ্ছে না। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। অভিযোগ, কিছু অতি উৎসাহী দুষ্কৃতী এইসব করছে। এতে সরকার ও প্রশাসনের বদনাম হচ্ছে। এখনই এইসবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে। শান্তিরবাজারেও চলছে উপর্যুপরি সন্ত্রাস। দিন দিন সন্ত্রাসের নতুন রূপ দেখতে পাচ্ছে শান্তিরবাজারবাসী। দুষ্কৃতীদের আক্রমণে ধ্বংস হচ্ছে মানুষের বাড়িঘর, রাবার বাগান, যানবাহন সহ অজস্র সম্পত্তি। সেই সঙ্গে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়িঘর। এমনকি শারীরিক নিগ্রহ ও মেরে গুরুতর আহত করা হচ্ছে। সন্ত্রাস বন্ধে স্থানীয় শাসক দলীয় নেতৃত্ব কড়া মনোভাব নিয়েছেন। যেকোনও মূল্যে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে যেমন আহ্বান জানাচ্ছেন তেমনি পুলিশকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে আবেদন
জানিয়েছেন।নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন দুপুরবেলা থেকে এই সন্ত্রাসের সূচনা হয় অতি উৎসাহী তিপ্রামথার উগ্র সমর্থকদের হাত ধরে। চতুর্থ রাউণ্ডের গণনা শেষে তিপ্ৰা মথা পিছিয়ে পড়ার পর শান্তিরবাজার মহকুমাশাসকের অফিস সংলগ্ন স্থানে তারা সাধারণ জনগণের উপর অত্যাচার শুরু করে। যেখানে তিপ্ৰা মথা, সিপিআই(এম), কংগ্রেস, তৃণমূল পার্টির কর্মী- সমর্থকদের জড়ো হওয়ার জন্য জায়গা দেওয়া হয়েছে রিটার্নিং আধিকারিকের আদেশে, সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা অধিকাংশ বাঙালি। দুপুরের পরে সে সব বাসিন্দাদের বাড়িঘর, রাবার বাগান, সতেরোটি বাইক, ছয়টি গাড়ি তারা ভাঙচুর করে।আহত হয় কমপক্ষে ছাব্বিশজন লোক। তার মধ্যে একজন সাব ইনস্পেক্টর, একজন জওয়ান । গুরুতর দুইজনকে জিবি হাসপাতালে রেফার করা হয়। আহতদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান বিজয়ী প্রমোদ রিয়াং শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া এবং সুমন দেবনাথ সহ অন্য প্রতিনিধিরা। যুবমোর্চার জেলা সভাপতি সমুন দেবনাথ সাংবাদিক সম্মেলন করে শান্তিরবাজার মহকুমার সকল পার্টির সদস্যদের শাস্তি সম্প্রীতি বজায় রাখার অনুরোধ করেন। জাতি-উপজাতিদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিকারী গুজবে কান না দিতে বলেন। মহকুমাবাসীর পক্ষ থেকে প্রশাসনকে অনুরোধ করেন দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার।মহকুমা আধিকারিকও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে আদেশ জারি করেন। সে মোতাবেক শনিবার সন্ধ্যায় শান্তিরবাজার মহকুমায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সবাইকে শান্তি বজায় রাখতে অনুরোধ করা হয় এবং সন্ত্রাস বন্ধে কড়া পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করা হয়।