রূপ বদলে কোভিড এবার এইচথ্রিএনটু, চোখ রাঙাচ্ছে গোটা দেশে!!

 রূপ বদলে কোভিড এবার এইচথ্রিএনটু, চোখ রাঙাচ্ছে গোটা দেশে!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

কোভিড ১৯, অ্যাডিনোর পর এবার নতুন
এইচথ্রিএনটু ভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক ও হরিয়ানায় মোট ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারনাল মেডিসিন অ্যান্ড রেসপেরেটোরি অ্যান্ড স্লিপ মেডিসিন বিভাগ ও ডিরেক্টর অফ মেডিক্যাল এডুকেশনের
চেয়ারম্যান রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, ‘প্রতি বছর এই ভাইরাস নিজের রূপ পরিবর্তন
করে। এবারেও তা করেছে।’ সর্দি-কাশি ও
জ্বরের রোগী দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে। এ নিয়ে দেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারাও চিন্তিত। আইসিইউতে ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে এবং স্বাস্থ্য কর্তারা পরামর্শদিয়েছেন এইচথ্রিএনটু ভাইরাস নিয়ে এখুনি গবেষণা করা দরকার। পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণীতে কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের বিজ্ঞানী নিধান বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘করোনা ভাইরাস এবং ইনফ্লুয়ে ঞ্জা উভয়েরই একই রকম লক্ষণ রয়েছে এবং দুই থেকে তিন মাস বেঁচে থাকতে পারে। কমিউনিটি সংক্রমণের কারণেই এত রোগী একসঙ্গে জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন।’ ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ
জানিয়েছে, ইনফ্লুয়ে ঞ্জার ‘এ’ প্রজাতির এক উপপ্রজাতি এইচথ্রিএনটু ছড়িয়েছে দেশে। ইনফ্লুয়ে ঞ্জা ভাইরাসের অনেকগুলো ধরন আছে। যেমন, টাইপ এ, টাইপ বি, এইচ১এন১।এগুলি সবই নন-সোয়াইন ফ্লু। ২০১৭ সালে কলকাতা শহরে একবার এইচ১এন১ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছিল।
আইসিএমআর জানাচ্ছে, দেশের কয়েকটি রাজ্যে ইনফ্লুয়ে ঞ্জা ভাইরাসের এইচথ্রিএনটু উপপ্রজাতি ছড়িয়েছে। ইনফ্লুয়ে ঞ্জার এই উপপ্রজাতি সবচেয়ে বেশি ছোঁয়াচে ও বিপজ্জনক। পাখি ও অন্য স্তন্যপায়ী প্রাণিদের শরীরেও ছড়াতে পারে এই ভাইরাস। বহুবার জিনের বদল ঘটাতে পারে। নিধানের দাবি, এর আগে এই উপপ্রজাতি তার জিনের বিন্যাসের বদল ঘটিয়েছিল। তাই এত ছোঁয়াচে হয়ে উঠেছে। চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা যে খেল দেখিয়ে গেছে তার সুদূরপ্রসারী একটা প্রভাব আছে। অন্যান্য ভাইরাসও এখন জাঁদরেল হয়ে উঠেছে। সর্দি-কাশির নিরীহ অ্যাডিনো ভাইরাস এখন করোনার থেকেও বেশি ছোঁয়াচে হয়ে উঠছে এই কারণেই। এখন যে জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা ইত্যাদি হচ্ছে তার কারণ হল অ্যাডেনো ভাইরাস, রাইনো ভাইরাস ও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের পাশাপাশি এইচথ্রিএনটু উপপ্রজাতির ভাইরাস। আইসিএমআর জানাচ্ছে, দেশের সিংহভাগ রাজ্যে গরম বাড়তেই ইনফ্লুয়ে ঞ্জা ভাইরাসের এইচথ্রিএনটু উপপ্রজাতি ছড়িয়েছে। ভাইরোলজিস্টদের মত; ইনফ্লুয়ে ঞ্জার এই উপপ্রজাতি সবচেয়ে বেশি ছোঁয়াচে ও বিপজ্জনক। এই ভাইরাল স্ট্রেন একবার শরীরে ঢুকলে তাড়াতাড়ি সংখ্যায় বাড়তে পারে এবং আক্রান্তের থেকে দ্রুত ছড়াতেও পারে। সর্দি-কাশি, মুখ থেকে বেরনো থুতু-লালায় থাকা ভাইরাস ড্রপলেটের মাধ্যমে সুস্থ ব্যক্তিকে সহজেই সংক্রমিত করতে পারে। ইনফ্লুয়ে ঞ্জার এইচথ্রিএনটু প্রজাতির সংক্রমণে রোগীরা ফুসফুসের জটিল অসুখ ও প্রবল শ্বাসকষ্টে ভুগছেন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.