এমবিবি বিমান বন্দর, ১৫ মাসেও মেলেনি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

 এমবিবি বিমান বন্দর, ১৫ মাসেও মেলেনি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

এমবিবি বিমানবন্দরের নতুন অত্যাধুনিক টার্মিনাল ভবন উদ্বোধন করে গত বছর ৫ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে ঘোষণা দেন। তারপর প্রায় ১৫ মাস অতিক্রান্ত হওয়ার মুখে পড়লেও মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরকে কেন্দ্রীয় সরকার এখনও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে সরকারীভাবে ঘোষণা দিয়ে নোটিফিকেশন করেনি। যদিও রাজ্য সরকারের পরিবহণ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান, দিল্লীতে শীঘ্রই গিয়ে তিনি এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলবেন।আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নোটিফিকেশন করার জন্য। এদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন কেন্দ্রীয় অসামারিক বিমান পরিবহণ মন্ত্ৰক আজ পর্যন্ত মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে কোনও নোটিফিকেশন বা সার্কুলার পাঠায়নি এমবিবি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে। সেই কারণে মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরের নামও পরিবর্তন করে বিমানবন্দরের সাইনবোর্ডে আন্তর্জাতিক কথাটি লিখতে পারছেন না। ভারতের যেসব বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে রয়েছে সেই সব বিমানবন্দরের নামের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অর্থাৎ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট উল্লেখ থাকে সাইনবোর্ডে। শুধু ব্যতিক্রম মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দর। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
হিসাবে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়ে গেলেও প্রায় ১৫ মাসেও এমবিবি বিমানবন্দরটিকে কেন্দ্রীয় অসামারিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে নোটিফিকেশন করতে পারেনি। সেই কারণে বিমানবন্দরের আগের নাম মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দর আগরতলা। বিমানবন্দরের নামের সঙ্গে আন্তর্জাতিক কথাটি লেখা না থাকায় বিমানবন্দরে গিয়ে সকলেই অবাক ও বিস্মিত হয়ে পড়ছেন। শুক্রবার এই বিষয়ে বিমানবন্দরের কর্তৃপক্ষ তথা অধিকর্তা কে সি মিনাকে প্রশ্ন করা হলে তিনিও জানান, কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক থেকে এখনও পর্যন্ত মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে সরকারী নোটিফিকেশন করার কোনও রেকর্ড বা কাগজপত্র দেয়নি। নোটিফিকেশন করা হয়নি। সেই কারণে বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করে মহারাজা বীর বিক্রম আন্তর্জাতিক বিমানন্দর, আগরতলা লেখা যাচ্ছে না বলে বিমানবন্দর অধিকর্তা জানান। সরকারী নোটিফিকেশন হয়ে গেলেই বিমানবন্দরের নামের সঙ্গে আন্তর্জাতিক কথাটি জুড়ে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। তবে সরকারীভাবে নোটিফিকেশন না করা হলেও আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালুর জন্য প্রধান যে দু’টি পরিষেবা চালু রাখার প্রয়োজন সেই দু’টি পরিষেবা চালুর জন্য কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক সম্মতি অর্থাৎ অনুমতি দিয়েছে। তা হলো কাস্টমস্ ডিউটি ও এমিগ্রেশন। আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু করতে গেলে কাস্টমস ও এমিগ্রেশন থাকা জরুরি। এই দুটি ব্যবস্থা বিমানবন্দরে করা হয়েছে। এদিকে, বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে সরকারীভাবে নোটিফিকেশন না করা হলে বহিঃদেশের কোনও বিমান মহারাজা বীর বিক্রম বিমনবন্দরে অবতরণ করতে পারবে না। সরকারীভাবে নোটিফিকেশন করা হলে সেই নোটিফিকেশন দেশ-বিদেশের সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে যাবে। সব বিমান সংস্থা তখন জানতে পারবে মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দর, আগরতলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে সব ধরনের পরিকাঠামোগতভাবে তৈরি আছে। আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবায় ব্যবহার করা যাবে। তখন দেশ-বিদেশের যে কোনও বিমানই এসে অবতরণ করতে পারবে। কিন্তু সরকারীভাবে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নোটিফিকেশন না থাকলে অর্থাৎ এখন যে অবস্থায় রয়েছে সেই অবস্থায় শুধুমাত্র ভারতের মধ্যে যাতায়াত করে ভারতীয় যে কোনও বিমান আগরতলা থেকে বিদেশের যে কোনও রুটে যাতায়াত করতে পারবে। যেমন স্পাইস জেটের বিমানকে দরপত্রে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আগরতলা থেকে বাংলাদেশের চিটাগাঙ্গয়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেব চালু করার জন্য। যদিও এখনও আগরতলা চিটাগাঙ্গয়ের মধ্যে স্পাইস জেট বিমা পরিষেবা চালু করতে পারেনি। কবে এই রুটে বিমান পরিষেবা চালু হবে তা এখন বিশবাঁও জলের তলায়। কোনও দিন তারিখ ঠিক হয়নি। তবে রাজ্য সরকার চাইছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই আন্তর্জাতিক রুটে বিমান পরিষেবা চালু হোক।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.