রাজ্য সরকারের বিএড কলেজে এনসিটিইর নির্দেশিকা লঙ্ঘন।
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মানছে না রাজ্য সরকারের দুটি বিএড কলেজ ৷ ফলে রাজ্যের উচ্চশিক্ষিত ছাত্র ছাত্রীরা বিপাকে পড়েছে। কারণ প্রত্যেক বছর বিএড কোর্সে ভতির ক্ষেত্রে এনসিটিই-র নির্দেশিকা লঙ্ঘন হচ্ছে।আগরতলার ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্স স্টাডিজ ইন এডুকেশন এবং কুমারঘাটের কলেজ অব টিচার এডুকেশন নির্দেশিকা মানছে না । ছাত্র ছাত্রী ভর্তির প্রক্রিয়ায় ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশনের আদেশ এই দুটি সরকারী কলেজে মানা হচ্ছে না। শুধু তাই নয়,এক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশও মান্যতা পাচ্ছে না। ফলে
রাজ্য সরকারের এই দুটি কলেজে ভবিষ্যৎও প্রশ্নের মুখে। কারণ ছাত্র ছাত্রী ভর্তি প্রক্রিয়ায় নির্দেশিকা লঙ্ঘনের অপরাধে ইতিমধ্যে দেশব্যাপী একাংশ কলেজে ছাত্র ছাত্রী ভর্তির অনুমোদন বাতিল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এরপর রাজ্যে এই দুই কলেজ কর্তৃপক্ষ ও উচ্চশিক্ষা দপ্তরের হেলদোল নেই। দু’বছরের বিএড কোর্সে ছাত্র ছাত্রী ভর্তির ক্ষেত্রে এনসিটিই-র নির্দেশ স্নাতক কোর্সে ৫০ শতাংশ নিয়ে উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের বিএড কোর্সে পঠনপাঠনের সুযোগ পাবে। যদি কোন পড়ুয়া মাস্টার ডিগ্রি কোর্সে ৫০ শতাংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়চ তবে তারাও বিএড কোর্সে পঠন-পাঠনের সুযোগ পাবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই পড়ুয়াদের সংশ্লিষ্ট কলেজের আসন সংখ্যা মোতাবেক ভর্তি পরীক্ষা কিংবা মৌখিক সাক্ষাৎকারে শামিল হতে হবে। এরপর সফল পড়ুয়ারা পঠনপাঠনের সুযোগ পাবেন। তবে ৫০ শতাংশ নম্বর নিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কোর্সে উত্তীর্ণ পড়ুয়ারা বিএড কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সারেন্স, সোশ্যাল সারেন্স, হিউমিনিটিস, ইঞ্জিনিয়ারিং, লিটারেচার, সহ অন্যান্য বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের বিএড কোর্সে পঠনপাঠনের সুযোগ হবে। ভর্তির ক্ষেত্রে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশনের এই নির্দেশিকা রয়েছে।অবাক করার বিষয় হলো, রাজ্য সরকারের দুটি কলেজ যথাক্রমে আইএএসই এবং সিটিই নির্দেশিকা কার্যকর করছে। উল্টো বিএড কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কলা, বাণিজ্য, বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী ধারীদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তবে বহু চাপের পর এ বছর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ডিগ্রিধারীদেরও আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়। তবে ভর্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কলা, বাণিজ্য, বিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়াদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। এরপর যদি আসন খালি থাকে তবে অন্যদের বিএড কোর্সে পঠনপাঠনের সুযোগ হবে। ফলে বিবিএ, এমবিএ, জেএমসি, এমসিএ, বিবিএ, সোশ্যাল এডুকেশন, টুরিজম স্টাডিজ সহ অন্যান্য কোর্সে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের আবেদনের সুযোগ হচ্ছে না- বিএড কোর্সে পঠন পাঠন তো দূর অস্ত। যদিও এই দুই কলেজ কর্তৃপক্ষ কোন ক্ষমতাবলে এনসিটিই-র নির্দেশ মানছে না এ প্রশ্নের উত্তর নেই ৷জানা গিয়েছে বঞ্চিত পড়ুয়ারা সম্প্রতি ইউজিসি এবং এমএইচআরডিতে অভিযোগ করেছেন। অনেক পড়ুয়া, অভিভাবক আদালতে যাচ্ছেন। প্রসঙ্গত, এই দুটি কলেজে বর্তমানে বিএড কোর্সে ভর্তি প্রক্রিয়া চলেছে।