রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
আইকোর-এর বিরুদ্ধে তদন্তে সিবিআই রাজ্যে
বিগত দশকে রাজ্যে বিভিন্ন চিটফাণ্ড কোম্পানির হতে প্রতারিত হয়ে কষ্টার্জিত কোটি কোটি টাকা খুইয়েছে রাজ্যের জনগণ । অল্প সময়ের ব্যবধানে জনগণের জমা পুঁজি দ্বিগুণ তিনগুণ করার আশ্বাস দিয়ে ফুলেফেঁপে ওঠা বিভিন্ন চিটফাণ্ড প্রতিষ্ঠানের মালিক সহ আধিকারিকদেরও আইনি বেড়াজালে আটক হওয়ার ঘটনাও প্রত্যক্ষ করেছেন তারা। এদিকে তৎকালীন সময়ের সক্রিয় আইকোর নামে এক চিটফাণ্ড কোম্পানির বিরুদ্ধে একটি মামলার তদন্তে নেমে রাজ্যে পৌঁছতেই মঙ্গলবার রাত রাজধানীর পশ্চিম থানা থেকে নয়টি কম্পিউটারের সিপিইউ নিজেদের দখলে নিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল সিবিআই। রাজ্যে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে জনগণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হলে বিগত নয়-দশ বছর পূর্বে রাজ্যের একাধিক চিটফাণ্ড কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে রাজ্য সরকার। প্রাথমিকভাবে রাজ্য পুলিশ তদন্তে নামলেও পরবর্তী সময়ে মামলাগুলির দায়িত্ব বর্তায় সিবিআইয়ের উপর। আর আইকোর নামক এই চিটফাণ্ড সংস্থার বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে রাজ্যে গ্রহণ করা এই মামলার তদন্তে নেমে ওই রাত সিবিআই আধিকারিক দেবেন্দ্র কুমার আরিয়া উপস্থিত হন রাজধানীর পশ্চিম থানায়। জানা গেছে, আইকোর মামলায় পুলিশ যে সমস্ত সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছিল তারমধ্যে থেকে নয়টি কম্পিউটারের সিপিইউ সিজ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলটি। মামলাটির পরবর্তী ধাপে এই সামগ্রীগুলির প্রয়োজনীতা রয়েছে বলেই সিবিআই আধিকারিক রাজ্য পুলিশ থেকে তাদের দখলে নেই সামগ্রীগুলো। ধারণা করা হচ্ছে, আইকোর ছাড়াও যে সকল চিটফাণ্ড কোম্পানির মামলা সিবিআইর হাতে রয়েছে সেই সব মামলায়ও একইভাবে সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে আগামীতে। এখানে উল্লেখ্য রাজ্যে মোট ৩৫টি চিটফাণ্ড মামলার দায়িত্ব রয়েছে সিবিআইর হাতে।