প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উন্নত স্বাস্থ্য সেবার প্রয়াস জারিঃ মুখ্যমন্ত্রী

 প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উন্নত স্বাস্থ্য সেবার প্রয়াস জারিঃ মুখ্যমন্ত্রী
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || ডাক্তারি যেমন একটি পেশার নাম, তেমনি এটি একটি কল্যাণকর কাজও বটে। সমাজের প্রত্যেকটি নাগরিককে তাই সমান দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই চিকিৎসা করতে হবে। আর এটিই হচ্ছে ডাক্তারি পেশার স্বার্থকতা। মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা আজ আইএমএ’র রাজ্য শাখার সম্মেলনের উদ্বোধন করে এ কথা বলেন।

May be an image of 4 people and dais



ডা. মানিক সাহা এদিন আরও বললেন, সমাজের সব অংশের জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদেরও গুরুদায়িত্ব রয়েছে।আইএমএ হাউসে এদিন ইণ্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, ত্রিপুরা রাজ্য শাখার উদ্যোগে ৫৩তম অল ত্রিপুরা মেডিকেল কনফারেন্সের (ট্রিমাকন-২০২৩) আয়োজন করা হয়। এরই সায়েন্টিফিক স্টেশনেরউদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা এ কথা বলেন।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতিতে বর্তমান সরকার দ্রুতগতিতে কাজ করে চলছে। সুপার স্পেশালিটি ওপিডি পর্যন্ত চালু করেছে। কার্ডিও থেকে শুরু করে নিউরো, সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা। তিনি বলেন, রাজ্যের তিনটি ক্ষেত্রে নতুন করে ট্রমা সেন্টার চালু করা হয়েছে। প্রাইমারি হেলথ সেন্টারগুলিকেও ওয়েলনেস সেন্টারে উন্নীত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে রাজ্যে একটি সরকারী ডেন্টাল কলেজও স্থাপন করা হয়েছে। আরও বলেন, উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে বৃহত্তম অক্সিজেন প্ল্যান্টটিও চালু করা হয়েছে এ রাজ্যে। এক কথায় রাজ্যের সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আধুনিক এবং গণমুখী করে তোলার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। কারণ প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও যাতে রাজ্যের এই উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ নিতে পারে। সায়েন্টিফিক সেশনের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকরা হলেন সমাজের প্রকৃত বন্ধু। কাজেই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রতি সব অংশের জনগণকেই আস্থাশীল এবং সহনশীল হতে হবে।

May be an image of 2 people and text that says "ATES"



মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার চিকিৎসকদের কল্যাণে আস্তরিক। যে কারণে সরকার ২০২২ সালে ত্রিপুরা হেলথ সার্ভিস রুলসের সংশোধন করে। এই রুলস অনুযায়ী মেডিকেল অফিসারদের স্পেশালিস্ট ক্যাডার এবং জেনারেল ডিউটি মেডিকেল অফিসার ক্যাডারে বিভক্ত করা হয় বলেও তিনি জানান। এদিন রাজ্যের চিকিৎসকরা চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাপক সফলতা পাচ্ছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। সম্মেলনে ইণ্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, ত্রিপুরা রাজ্য শাখার ৫৩তম সম্মেলন উপলক্ষে একটি স্মরণিকা ও প্রকাশ করা হয় ।সন্ধ্যায় মুক্তধারা প্রেক্ষাগৃহে এদিন অনুষ্ঠিত হয় সম্মেলনের মূল পর্বের অনুষ্ঠানটি। এই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। তিনি বলেন, সমাজের অন্যান্য অংশের পরিষেবা থেকে চিকিৎসকদের পরিষেবার ধরন অনেকটাই আলাদা। আর এই পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রেই রাজ্যের চিকিৎসকরা একের পর এক সুনাম অর্জন করে চলেছেন। ফলস্বরূপ মানুষ অসুস্থ হলে আগে যেভাবে বহি:রাজ্যে পাড়ি দেবার প্রবণতা দেখা যেতো, এখন আর তা দেখা যায় না। বিনা চিকিৎসায়ও এখন আর মানুষের প্রাণ যেতে দেখা যায় না। কোভিডকালীন সময়ে চিকিৎসক থেকে শুরু করে অন্যান্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী, আশাকর্মী, কিংবা নার্সদের পরিষেবাকে এদিন এক কথায় বাহবা জানালেন মেয়র। অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে আইএমএ ত্রিপুরা রাজ্য শাখার সভাপতি ডা. দামোদর চ্যাটার্জী, স্বাস্থ্য সচিব ডা. দেবাশিস বসু, আইএমএ ত্রিপুরা রাজ্য শাখার সম্পাদক ডা. এ কে চাকমা, ট্রিমাকন পরিচালন কমিটির সম্পাদক ডা. রাজীব দেবনাথ, মেডিকেল এডুকেশনের অধিকর্তা ডা. এইচ পি শর্মা, ডা. সুপ্রিয় মল্লিক, ডা. অভিজিৎ দত্ত সহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। এদিন চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানস্বরূপ বরিষ্ঠ চিকিৎসকদের মধ্য থেকে ডা. ইন্দ্রজিৎ পাল, ডা. চন্দন রায় বর্মণ, ডা. তপন সাহা এবং ডা. অমিত কুমার দত্তকে পুরস্কৃত করে আইএমএ ত্রিপুরা রাজ্য শাখা। এছাড়াও ডা. অরিজিৎ দাস (অবিভক্ত উত্তর ত্রিপুরা জেলা), ডা. স্বপন কুমার দাস (অবিভক্ত দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা) এবং ডা. কনক নারায়ণ ভট্টাচার্যকে (অবিভক্ত পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা) আইএমএ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.