রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
এই প্রথম, যুদ্ধবিমান ওড়ালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
বায়ুসেনার তৃণীরের অন্যতম অস্ত্র ‘সুখোই-৩০’ ফাইটার জেট ওড়ালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। পদাধিকার বলে ভারতের রাষ্ট্রপতি তিন সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক। তবে বর্তমান রাষ্ট্রপতি এই প্রথম যুদ্ধবিমান ওড়ালেন। তাও ভারত-চিন সীমান্তের আকাশে।রাষ্ট্রপতি এই মুহূর্তে আসামে রয়েছেন। শুক্রবার তিনি আসামে এসেছেন। রাষ্ট্রপতি হিসাবে পূর্বোত্তরের কোনও রাজ্যে এটাই দ্রৌপদী মুর্মুর প্রথম সফর। তার একাধিক কর্মসূচির মধ্যে ছিল যুদ্ধ বিমান সুখোই ওড়ানো। শনিবার তেজপুরে বিমান বাহিনীর বিমান বন্দর থেকে সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ রাষ্ট্রপতি সুখোইতে চড়েন। তার পরনে ছিল জলপাই রঙের ‘ফ্লাইট স্যুট’। মাথায় ব্যালিস্টিক
হেলমেট।
রাষ্ট্রপতি এদিন তেজপুরে ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানেই সুখোই-৩০ এমকেআই-এর দুই আসন বিশিষ্ট প্রশিক্ষণ বিমান ওড়ান তিনি। সহকারী পাইলটের আসনে ছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান চালক তথা এয়ার ফোর্সের ১০৬ স্কোয়াড্রনের গ্রুপ ক্যাপ্টেন নবীন কুমার। তেজপুর ঘাঁটির পরিদর্শক খাতায় রাষ্ট্রপতি লেখেন, ‘এমন উড়ানের ব্যবস্থা করার জন্য আমি তেজপুরের বিমান ঘাঁটির সমস্ত সেনাকে অভিনন্দন জানাই।’ভারতের রাষ্ট্রপতিদের মধ্যে দ্রৌপদী তৃতীয় যিনি যুদ্ধ বিমানে উড়লেন। প্রথম সুখোইতে চড়েন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম। কালামের পর রাষ্ট্রপতি হন প্রতিভা সিং পাতিল। ৭৪ বছর বয়সে প্রতিভা যুদ্ধ বিমানে উড়ে বিশ্ব রেকর্ড করেন। ওই বয়সি আর কোনও রাষ্ট্রপ্রধানের যুদ্ধ বিমান চড়ার অভিজ্ঞতা নেই।২০১৮-তে নির্মলা সীতারমন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী থাকাকালে যুদ্ধ বিমানে উড়েছিলেন। কালাম প্ৰতিভা সিং পাতিলের যুদ্ধ বিমানে চড়ার অভিজ্ঞতা হয়েছিল যথাক্রমে ২০০৬ ও ২০০৯-এ। প্রণব মুখোপাধ্যায়ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী থাকাকালে যুদ্ধ বিমানে
চড়েছিলেন।রাষ্ট্রপতি মুর্মুকে আজ নিয়ম মেনে যুদ্ধ বিমানে চড়ার জন্য বিমান বাহিনীর নির্ধারিত পোশাক পরতে হয় (ছবি)। তার আগে তেজপুর বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন তিনি। চিনের কারণে এই বিমান ঘাঁটির সামরিক গুরুত্ব বেশি। শত্রু শিবিরে বিমান হামলা চালানো তো আছেই, সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম আনা- নেওয়াতেও চিন সীমান্ত লাগোয়া ওই বিমান ঘাঁটির গুরুত্ব অপরিসীম।রাষ্ট্রপতি আধ ঘণ্টা বিমানে ওড়েন।সুখোই সফরের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মুর্মু টুইটারে লেখেন, ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তিশালী সুখোই-৩০-এমকেআই যুদ্ধবিমানে ওড়া আমার কাছে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।