রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের জন্য বোন ম্যারো প্রতিস্থাপনে প্ৰয়াস
বিয়ের আগে কুষ্ঠি নয় রক্ত পরীক্ষা করে নিন। সচেতনতা শিবিরে বারবার এই কথাগুলোই বলা হয়। সারা ত্রিপুরায় প্রায় ৫২৪ জন নথিভুক্ত থ্যালাসেমিয়া পেসেন্ট রয়েছেন। বর্তমান সময়ে রক্তের এই রোগটি একটি শিশুকে পরিণত হওয়ার আগে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এমনকী প্রাণ সংশয়ও অনেক সময় দেখা দেয়। প্রত্যেক থ্যালাসেমিয়া পেসেন্টকে প্রতি মাসে রক্ত দিতে হয় যা অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর পরিবারের কাছে সমস্যার কারণ হয়ে উঠে। তবে থ্যালাসেমিয়া সোসাইটি দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যে সচেতনতা শিবির করছেন এবং রোগীকে সরাসরি হাসপাতালে আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
৮ মে থ্যালাসেমিয়া দিবস।এর প্রাক্কালে আজ আগরতলা আইজিএম হাসপাতাল এবং থ্যালাসেমিয়া সোসাইটির উদ্যোগে প্রায় ৪০টি থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে সচেতনতা শিবির আয়োজন করা হয়। এই শিবিরে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের বোন ম্যারো প্রতিস্থাপনের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থার জন্য সচেতনতা এবং চিহ্নিতকরণের বিষয়ের শিবির হয়। বাবা-মা দুজনেই যদি থ্যালাসেমিয়ার বাহক হন সে ক্ষেত্রে সন্তানটির ৫০ শতাংশ থ্যালাসেমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদি দুজনের একজন হন তাহলে সেখানে সম্ভাবনা থাকে ২৫ শতাংশ। তাই এই শিবিরে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রক্ত পরীক্ষার বিষয়ে। স্কুল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে যদি থ্যালাসেমিয়া শনাক্তকরণ করা যায় তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপগুলো নেওয়া সম্ভব হয়।এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএম হসপিটালের রবি কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ডাক্তার দিলীপ দাস, স্বাগত ভাষণ দেন শিশু চিকিৎসক ডাক্তার মৃণাল দাস, অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন ডাক্তার রমেন্দ্র নাথ দাস (রক্ত সঞ্চালন), ডেপুটি মেডিকেল সুপার ডাক্তার দেবশ্রী দেববর্মা, শিশু বিভাগের প্রধান ডাক্তার রজত দেববর্মা লা এবং থ্যালাসেমিয়া সোসাইটির সম্পাদক সিতেশ ভট্টাচার্য। এছাড়াও শিশু বিভাগের অন্যান্য চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন। দিল্লীর স হসপিটাল থেকে থ্যালাসেমিয়া বিশেষজ্ঞ এবং হেমাটোলজিস্ট ডাক্তার পল্লবী মেহেতা প্রথমে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন।পরে উপস্থিত ৩৫ জন আক্রান্ত রোগীকে বিশেষভাবে পরীক্ষা করে ব্যবস্থাটি লিখে দেন। পাশাপাশি বোন ম্যারো প্রতিস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষ পরীক্ষার ক্ষেত্রে রোগীদের লালারস সংগ্রহ করেন। ডাক্তার মেহেতা বলেন যে, আগামী এক মাসের মধ্যে তিনি আবার এসে অন্যান্য রোগীদের পরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেবেন রোগীদের নিকট আত্মীয়দের বোন ম্যারো পরীক্ষায় মিলে গেলে রোগীদেরকে রাজ্যের বাইরে নিয়ে গিয়ে বোন ম্যারোও প্রতিস্থাপন করার উদ্যোগ নেবেন। ত্রিপুরার থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হবে। বোন ম্যারো প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া – রোগীরা আগামী দিনে সুস্থ হয়ে জীবন গঠনের সুযোগ পাবেন। উল্লেখ করা যেতে পারে রাজ্যে এর আগে পাঁচজন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগী আছেন যারা বোনের ও প্রতিস্থাপন করে সুস্থ হয়েছেন। তাদের ক্ষেত্রে সিএমসি ভেলোর বা অন্যান্য হসপিটালে এই পরিষেবা রোগীরা পেয়েছেন। ১২ বছরের নিচে যারা তাদের যদি বোন ম্যারো প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে ম্যাচিং হয় তবে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থমূল্য দিয়ে কোল ইন্ডিয়া দায়িত্ব নিয়েছেন। সারা ভারতবর্ষে আটটি হাসপাতালের সাথে কোল ইন্ডিয়ার টাইআপ রয়েছে বোন ম্যারো প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে।