মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, বন্ধ ইন্টারনেট,, কার্ফু জারি!!
রেশনে ভোজ্যতেল দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু
অবশেষে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে রাজ্য সরকার ন্যায্যমূল্যের দোকানে বাজার থেকে কম মূল্যে ভোক্তাদের সরিষার তেল দেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছে । সরিষার তেলের জন্য দরপত্র আহ্বান করার জন্য আইনের দিকটা খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকারের আইন বিভাগে পাঠিয়েছে খাদ্য দপ্তর । তার পাশাপাশি ন্যায্যমূল্যের দোকানে চার ধরনের রান্নার গুঁড়া মশলা দেওয়ার জন্যও দরপত্র আহ্বান করার আগে আইনের দিক খতিয়ে দেখতে খাদ্য দপ্তর ফাইল আইন বিভাগে পাঠিয়েছে । ন্যায্যমূলের দোকানে সয়াবিন দেওয়ার জন্য দরপত্র আহ্বানের পর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে সয়াবিন চালু করতে ফাইল পাঠিয়েছে খাদ্য দপ্তর । এদিকে, বাজারে রান্নার তেলের মূল্য আকাশছোঁয়া হওয়ায় মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে । বাজারে মূল্য বৃদ্ধির ছ্যাঁকায় আমজনতার জেরবার অবস্থা। গরিব ও সাধারণ উপার্জনশীল মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে । বাজারে রান্নার
তেলের অগ্নিমূল্যের জাঁতাকল থেকে মানুষকে কিছুটা রেহাই দিতে কম মূল্যে ন্যায্যমূল্যের দোকানে রান্নার তেল দেওয়ার বহুদিনের দাবি ভোক্তাদের । তাছাড়া বর্তমান বিজেপি জোট সরকার ক্ষমতায় এসে রাজধানীর টাউনহলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বন্ধ হয়ে যাওয়া ন্যায্যমূল্যের দোকানে পুনরায় চিনি দেওয়া চালু করতে মুখ্যমন্ত্ৰী বিপ্লব কুমার দেব ন্যায্যমূল্যের দোকানে ভোজ্য তেল ও সয়াবিন দেব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন । মুখ্যমন্ত্রী সেদিন জানিয়ে ছিলেন বাম আমলের পঁয়ষট্টি হাজাররেশন কার্ড ভুয়া ধরা পড়ায় ও তা বাতিল হওয়ায় সরকারের বিপুল টাকা সাশ্রয় হবে । তাই ন্যায্যমূল্যের দোকানে ভোজ্য তেল ও সয়াবিন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী । সেদিন টাউনহলের এই অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী মনোজ কান্তি দেবও উপস্থিত ছিলেন । প্রায় চার বছর হবে মুখ্যমন্ত্রী তা জানিয়েছিলেন । অবশেষে এখন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে খাদ্য দপ্তর উদ্যোগ নিয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী শ্রীদেব মঙ্গলবার জানান ন্যায্যমূল্যের দোকানে ভোক্তাদের সরিষার তেল দেওয়ার জন্য খাদ্য দপ্তর পুরো উদ্যোগ নিয়ে প্রক্রিয়া শুরু করেছে । সরিষার তেলে দরপত্র আহ্বান করার আগে রাজ্য সরকারের আইন বিভাগের অনুমতি নিতে হয় । সেই জায়গায় ফাইল পাঠানো হয়েছে । খাদ্যমন্ত্রীর আশা আগামী তিন চার দিনের মধ্যে আইন বিভাগ থেকে অনুমতি চলে আসবে । তারপরই সরিষার তেলের দরপত্র আহ্বান করা হবে । দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হবে । খাদ্যমন্ত্রী আরও জানান , বাজার থেকে অনেক কম মূল্যে প্রতি মাসে কার্ড পিছু এক লিটার করে সরিষার তেল ভোক্তাদের দেওয়া হবে । তবে তিনি আরও জানান , দরপত্র সহ সরকারী সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ন্যায্যমূল্যের দোকানে সরিষার তেল আগামী জুলাই মাসের আগে দেওয়া সম্ভব হবে না । এদিকে , খাদ্যমন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব আরও জানান , ন্যায্যমূল্যের দোকানে সস্তায় রান্নার চার জাতের গুঁড়া মশলা দেওয়া হবে। দরপত্রের অনুমতি চেয়ে আইন দপ্তরে সেই ফাইলও গেছে । এই ক্ষেত্রেও তিন চার দিনের মধ্যে গুঁড়া মশলার দরপত্র আহ্বান করার অনুমতি পাওয়া যাবে বলেও জানান । তারপর দরপত্র আহ্বান করা হবে । সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ন্যায্যমূল্যের দোকানে ভোক্তাদের সস্তার গুঁড়া মশলা দেওয়া হবে বলেও মন্ত্রী জানান । প্যাকেটে হলুদ , ধনিয়া জিরা ও মরিচ নির্দিষ্ট পরিমাণ দেওয়া হবে । দরপত্র প্রক্রিয়া পর্ব সম্পন্ন হয়ে যাওয়ায় শীঘ্রই ন্যায্যমূল্যের দোকানে সয়াবিন দেওয়া শুরু হবে বলেও তিনি জানান । সস্তায় কার্ড পিছু ২০০ গ্রাম করে সয়াবিন দেওয়া হবে । সয়াবিনের মূল্যও কবে থেকে দেওয়া শুরু হবে তা অল্প দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত হয়ে যাবে বলেও খাদ্যমন্ত্রী জানান ।