মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বাঁচাতে পুলিশ প্রশাসনের নির্লজ্জ দ্বিচারিতা!!
ফিল্মি কায়দায় খুন উঃপ্রদেশের ২ গ্যাংস্টার
গ্যাংস্টার রাজনীতিবিদ আতিক আহমেদ এবং তার ভাই আশরাফকে হত্যাকারী তিন লক্ষ অভিযুক্তকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেপাজতে পাঠালো প্রয়াগরাজের একটি আদালত। শনিবার রাতে শাহগঞ্জ এলাকার একটি হাসপাতালের বাইরে আতিক এবং তার ভাই অশরাফকে গুলী করে হত্যা করে বান্দার ২২ বর্ষীয় লুভলেশ তিওয়ারি, হরিমপুরের ২৩ বর্ষীয় মোহিত ওরফে সানি এবং কালগঞ্জের ১৮ বছর বয়সী অরুণ কুমার মৌর্য।
ঘটনাস্থলেই ধরা পড়ে আততায়ীরা। তাদের কাছ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে একটি দেশি এ-৩০ পিস্তল (৭.৬২), একটি তুর্কিতে তৈরি ৯এমএম গিরসান পিস্তল এবং আরেকটি তুর্কিরই তৈরি ৯এমএম জিগানা পিস্তল।
এই ঘটনায় শাহগঞ্জ পুলিশ স্টেশনে একটি এফআইআর নথিবদ্ধ করে তদন্ত শুরু হয়েছে। রবিবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে হামলাকারীরা সাংবাদিক সেজে এসে হামলা করে। তাদের কাছে ভিডিও ক্যামেরা, মাইক এবং সাংবাদিক পরিচয়ধারী কার্ড ছিল। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাত সাড়ে দশটা নাগাদ শাহগঞ্জ এলাকার মতিলাল নেহরু আঞ্চলিক হাসপাতালে আতিক এবং তার ভাই আশরাফকে নিয়ে আসে পুলিশ৷সেখানেই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা নিরাপত্তা বেষ্টনী অমান্য করে বার বার আতিক এবং আশরাফের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর পেতেই। এই সময়েই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে দুই ভাইকে লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলী চালায় আততায়ীরা।
ঘটনাস্থলেই আহত হয়ে লুটিয়ে পড়ে দুই অপরাধী ভাই। মান সিং নামক এক কনস্টেবলও এই ঘটনায় গুলীবিদ্ধ হয়েছেন। তাছাড়া কিছু সংবাদমাধ্যমে কর্মী গুলীচালনার পর দৌড়ে পালাতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে আহত হয়েছেন। তিন হামলাকারীও পেশাদার অপরাধী বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে মৌর্যের অপরাধমূলক ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ ৷ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি উমেশ পাল এবং তার দুই নিরাপত্তা রক্ষীকে হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গুজরাট এবং বরেইলি কারাগার থেকে প্রয়াগরাজ নিয়ে আসা হয়েছিল আতিক এবং আশরাফকে।