রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
তীব্র দহন-যন্ত্রণা, জেলা শাসকদের জরুরি নির্দেশ
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || গত ক’দিন ধরে একটানা তীব্র তাপপ্রবাহে জ্বলছে গোটা রাজ্য। তীব্র দহন যন্ত্রণায় হাঁসফাঁস অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে সোমবারই স্কুল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের রাজস্ব দপ্তরের অধীন বিপর্যয় মোকাবিলা ইউনিট থেকে রাজ্যের আট জেলার জেলাশাসকদের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। অত্যধিক তাপপ্রবাহে সান স্ট্রোক এবং প্রখর রোদের তাপে শরীরের চামড়ার ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জরুরি পরিষেবার সাথে যুক্ত বিভাগ ও সেন্টারগুলি, কুইক রেসপন্স টিম এবং এজেন্সিগুলিকে সক্রিয় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সাথে বিদ্যুৎ পরিষেবাও নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষ নিরাপদে থাকতে পারে।এদিকে, মঙ্গলবার আগরতলা আইএমএইচ সেন্টারের সহকারী অধিকর্তা ড. পার্থ রায় জানিয়েছেন, আগামী এক দুইদিনের মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
এরপর থেকে রাজ্যের কিছু কিছু এলাকায় বজ্ৰ বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকবে। ফলে এখনই স্বস্তি পাওয়ার কোনও লক্ষণ আপাতত দেখা যাচ্ছে না।এই পরিস্থিতিতে যতটা সম্ভব রোদ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ প্রয়োজন না থাকলে ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সেই সাথে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার কথা বলা হচ্ছে।অন্যদিকে, তীব্র, দহন-যন্ত্রণায় আচমকাই ডাবের দাম এক লাফে একশ টাকা হয়ে গেছে। ডাব বিক্রেতাদের বক্তব্য, এখন কোথাও ডাব পাওয়া যাচ্ছে না। ডাব পেলেও বেশি দামে ক্রয় করে আনতে হচ্ছে।গরমে ডাবের চাহিদা এখন আকাশছোঁয়া। কিন্তু সেই তুলনায় জোগান খুবই কম।গত কদিন ধরে শহরের ফুটপাথে ডাবের দোকানগুলিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
চাহিদা বেড়েছে ঠান্ডা পানিয় এবং আইসক্রিমেরও।অন্য একটি মহলের দাবি,গরমের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে যে ভাবে এসির ব্যবহার বাড়ছে- তাতে পরিবেশের উপর আরও বেশি প্রভাব পড়ছে।গরম আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।