রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
মুম্বাই, হায়দ্রাবাদের মধ্যে সরাসরি বিমান নেই, দুর্ভোগ
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || আগরতলার সঙ্গে এখনও মুম্বাই ও হায়দ্রাবাদের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হয়নি। সেই কারণে আগরতলা থেকে মুম্বাই ও হায়দ্রাবাদে সরাসরি বিমানে যাতায়াত করতে পারছেন না রাজ্যের যাত্রীরা, সেই কারণে আগরতলা থেকে কলকাতা বা গুয়াহাটিতে গিয়ে তারপর সেখান থেকে মুম্বাই ও হায়দ্রাবাদগামী বিমান ধরতে হয়।
আগরতলা থেকে দেশের দুই মেট্রোপলিটন সিটি তথা মহানগরী মুম্বাই ও হায়দ্রাবাদের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু না থাকলেও দেশের অপর তিন মেট্রোপলিটন সিটির সঙ্গে আগরতলার সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু রয়েছে।কলকাতা, দিল্লী ও বেঙ্গালুরুর মধ্যে যাতায়াতে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু রয়েছে। মেট্রোপলিটন সিটি চেন্নাইয়ের সঙ্গে সরাসরি বিমান চালু না থাকলেও একই বিমানে আগরতলা থেকে কলকাতা হয়ে চেন্নাইয়ে যাতায়াত করার সুবিধা চালু রয়েছে। কিন্তু রাজ্যের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি আগরতলা থেকে মুম্বাই ও হায়দ্রাবাদের মধ্যে যাতায়াতে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু করার জন্য। রাজ্যের প্রচুর মানুষ প্রতিদিন নানা প্রয়োজনীয় কাজে মুম্বাই ও হায়দ্রাবাদে যান। রাজ্যের ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা পরিষেবা নিতে মুম্বাইয়ে যান।ক্যান্সার রোগের জন্য দেশের প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র হলো মুম্বাই।সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হলে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের মুম্বাইয়ে যাতায়াতে ভালো সুবিধা হবে। শুধু ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরাই নয়, দেশের প্রধান বাণিজ্য নগরী হলো মুম্বাই। ব্যবসার কাজেও যান। উচ্চশিক্ষা লাভের জন্যও মুম্বাই যান। রাজ্যের ভ্রমণপিপাসু মানুষ ভ্রমণ করার জন্যও মুম্বাই যান।মুম্বাই থেকে গোয়ার অপূর্ব সমুদ্রসৈকতেও ভ্রমণে যান রাজ্যের মানুষ।তাই রাজ্যবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি মুম্বাইয়ের সঙ্গে আগরতলার মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু করার জন্য।শুধু মুম্বাই নয়, হায়দ্রাবাদের সঙ্গেও আগরতলার বিমান পরিষেবা চালুর দাবি দীর্ঘদিনের।গ্যাস সহ পেটের জটিল রোগের চিকিৎসার জন্য রাজ্যের মানুষ হায়দ্রাবাদে ছুটে যান। উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য ছাত্র ছাত্রীরা হায়দ্রাবাদে যান। তাছাড়াও নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে রাজ্যের প্রচুর মানুষ প্রতিদিনই হায়দ্রাবাদে যান। সরাসরি বিমান পরিষেবা থাকলে রাজ্যের মানুষের হায়দ্রাবাদে যাতায়াতে ভালো সুবিধা হতো। মুম্বাই ও হায়দ্রাবাদের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু করার জন্য রাজ্য সরকারকে এগিয়ে এসে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।
রাজ্য সরকার ও পরিবহণ দপ্তর বিমান সংস্থাগুলির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বা বৈঠক করে মুম্বাই ও হায়দ্রাবাদের মধ্যে সরাসরি বিমান চালানোর জন্য দাবি জানাতে হবে।তারপরই এই দুই রুটে সরাসরি বিমান চালু হতে পারে বলে বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে। কিন্তু রাজ্য সরকার ও তার পরিবহণ দপ্তর এই দুই রুটে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু করার জন্য কোন উদ্যোগ নিয়েছে বলে বিমানবন্দরে খবর নেই।এদিকে, আগরতলার সঙ্গে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু রয়েছে দিল্লী, কলকাতা, গুয়াহাটি, বেঙ্গালুরু, শিলং, আইজল, ডিব্ৰুগড়, ইম্ফলের মধ্যে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রতিদিন গড়ে আগরতলা এমবিবি বিমানবন্দরে ১৮ থেকে ১৯টি বিমান এসে অবতরণ করে ও পুনরায় গন্তব্যস্থলে ফিরে যায় ৷ ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়া, আকাশা ও ফ্লাইবিগের বিমান পরিষেবা চালু রয়েছে। এর মধ্যে প্রতিদিন ইন্ডিগোর এগরোটি বিমান আসছে। সপ্তাহে তিনদিন ইন্ডিগোর তেরোটি বিমান আসছে।
এদিকে, আগরতলা-গুয়াহাটি রুটে যেসব বিমান যাতায়াত করছে সেগুলি দুপুরের পর। কিন্তু আগরতলা থেকে সকালে গুয়াহাটির কোন বিমান না থাকায় সকালের দিকে রাজ্যের যাত্রীরা গুয়াহাটিতে যেতে পারছেন না।আবার গুয়াহাটি থেকেও সকালের দিকে আগরতলায় ফেরার জন্য কোন বিমান নেই ৷তাতে রাজ্যের বিমানযাত্রীরা সমস্যায় পড়ছেন। তাই সকালের দিকে এই রুটে যাতায়াতে একটি বিমান চালু করার দাবি উঠেছে।রাজ্য সরকার ও পরিবহণ দপ্তর এ বিষয়ে এগিয়ে এসে বিমান সংস্থাগুলির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ বা বৈঠক করে দাবি জানালে সকালে এই রুটে বিমান চালু হতে পারে বলে বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।