ব্যাটারি চালিত প্রথম বিমান উড়ল আকাশে
পরিবেশের দূষণ আর প্রাকৃতিক শক্তির সম্পদ সংরক্ষণ করতেই সারা বিশ্বজুড়েই বিকল্প শক্তির ব্যবহারের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে মানুষের মধ্যে।একদিকে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন পরিবেশের দূষণ রুখতে আর সচেতনতা বাড়াতে।অন্যদিকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রকৌশলী বিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে দূষণবিহীন যাত্রীবাহী যান আবিষ্কারে নিজেদের সচেষ্ট রেখেছেন।এরমধ্যেই বিজ্ঞানীরা তৈরি করে ফেলেছেন বিশ্বের প্রথম বৈদ্যুতিক যাত্রীবাহী বিমান ।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটেলের আর্লিংটন মিউনিসিপ্যাল বিমানবন্দরে ইজরায়েলি কোম্পানি ‘এভিয়েশন’এর তৈরি এই বিমানটির ইঞ্জিন পরীক্ষা শেষ হয়েছে।সম্প্রতি, এভিয়েশনের সিইও ওমের বার- ইয়োহায় জানিয়েছেন,খুব শিগগিরিই প্রথম বৈদ্যুতিক যাত্রীবাহী বিমান পূর্ণ সংখ্যক যাত্রী নিয়ে ‘অ্যালিস’ আকাশে উড়বে। বৈদ্যুতিক গাড়ি বা সেল ফোনের মতো ব্যাটারি প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে এই বিমান। মাত্র ৩০ মিনিটের চার্জেই ৯ জন যাত্রী নিয়ে ১ ঘণ্টায় প্রায় ৪৪০ নটিক্যাল মাইল উড়তে সক্ষম হয়েছে অ্যালিস। এই বিমানের সর্বোচ্চ গতি ২৮৭ মাইল প্রতি ঘণ্টা।২০১৯সালেই বিমাটির প্রোটোটাইপ তৈরি করে এভিয়েশন। পরে এই বিমানের শক্তি ও সক্ষমতা সম্পর্কে জানতে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার পর ২০২২ সালের আগেই বৈদ্যুতিক বিমান অ্যালিসের প্রথম উড়ানের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বছরের শেষের দিকে উত্তর- পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের খারাপ আবহাওয়া পরিস্থিতি এসব পরীক্ষায় বাধা দেওয়ায় প্রথম ফ্লাইটের প্রস্তুতি পিছিয়ে যায়। এভিয়েশন কোম্পানি এই বিমানের ৩টি প্রোটোটাইপ সংস্করণ তৈরি করেছে।এরমধ্যে প্রথমটি ‘কমিউটার’ বা যাত্রীবাহী বিমান, দ্বিতীয়টি ‘এক্সিকিউটিভ ভার্সন’ বা নির্বাহী সংস্করণ আর তৃতীয়টি পণ্য পরিবহণের জন্য ‘কার্গো ভার্সন’। যাত্রীবাহী বিমানে ২ জন পাইলটসহ ৯ জন যাত্রীর আসন আরও ৮৫০পাউন্ড পর্যন্ত মাল রাখার জায়গা রয়েছে। সর্বোচ্চ ২৮৭ মাইল প্রতি ঘণ্টা গতিতে ১ ঘণ্টায় প্রায় ৪৪০ নটিক্যাল মাইল উড়েছে অ্যালিস।বিশেষজ্ঞদের ধারণা অদূর ভবিষ্যতে অ্যালিসের মতো সব বৈদ্যুতিক বিমান আকাশপথে অন্যতম যান হিসাবে পরিগণিত হবে।