কৃষি উৎপাদনে রাজ্যের চার জেলার স্বয়ম্ভরতা অর্জন

 কৃষি উৎপাদনে রাজ্যের চার জেলার স্বয়ম্ভরতা অর্জন
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

রাজ্যের আট জেলার মধ্যে চার জেলা খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ম্ভরতা অর্জন করেছে।এই চারটি জেলা হলো সিপাহিজলা,গোমতী, দক্ষিণ এবং ধলাই জেলা।বাকি চারটি জেলা উত্তর, ঊনকোটি, খোয়াই এবং পশ্চিম জেলা এখনও সেই লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। এই জেলাগুলো এখনও প্রয়োজনের তুলনায় উৎপাদনে পিছিয়ে রয়েছে। রাজ্য কৃষি দপ্তর সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। তথ্য অনুযায়ী সিপাহিজলা জেলায় খাদ্য শষ্য প্রয়োজন ১ লক্ষ ২২ হাজার মেট্রিকটন।২০২১-২২ অর্থ বছরে উৎপাদন হয়েছে ১ লক্ষ ৭১ হাজার মেঃটন।ওই জেলায় ধান প্রয়োজন ১ লক্ষ ১২ হাজার মেঃ টন, উৎপাদন হয়েছে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার মেঃটন। তেমনি গোমতী জেলায় খাদ্য শষ্যের প্রয়োজন ১ লক্ষ ১২ হাজার মেঃটন। ২০২১-২২ অর্থবছরে উৎপাদন হয়েছে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার মেঃটন। ধান প্রয়োজন ১ লক্ষ ৩ হাজার মেঃটন, উৎপাদন হয়েছে ১ লক্ষ ২৪ হাজার মেঃটন। দক্ষিণ জেলায় খাদ্য শষ্য দরকার ১ লক্ষ ১২ হাজার মেঃটন, ২০২১-২২ অর্থবছরে উৎপাদন হয়েছে ১ লক্ষ ৪৬ হাজার মেঃটন। ধান দরকার ১ লক্ষ ৩ হাজার মেঃটন, উৎপাদন হয়েছে ১ লক্ষ ৩৮ হাজার মেঃটন। ধলাই জেলায় খাদ্য শষ্য দরকার ৯৪ হাজার মেঃটন, উৎপাদন হয়েছে ৯৯ হাজার মেঃটন। গত দু’দিন আগে রাজ্যের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষিমন্ত্রী রতন লাল নাথ নাগিছড়া কৃষি ফার্ম এবং গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শনে যান ৷ মন্ত্রী জানান, বর্তমানে রাজ্যের কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে একশ ধরনের ফসলের গবেষণা চলছে।
কীভাবে রাজ্যের মাত্র ২৪ শতাংশ কৃষি জমিকে কাজে লাগিয়ে এবং একই জমিতে একাধিক ফসলের উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্যে স্বয়ম্ভরতার লক্ষ্য অর্জন করা যায়। বর্তমানে পনেরো রকমের আম, পনেরো রকমের পেয়ারা, ঝিঙা, ড্রাগন ফ্রুট, নানা ধরনের মশলা চাষের গবেষণা চলছে। রাজ্যের মাটির সাথে কোন ফসল চাষের উপযোগী, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গেছে, রাজ্যের মাটিতে পেঁয়াজ চাষও করা যেতে পারে। ত্রিপুরার মাটিতে আদা, হলুদ, গোল মরিচ উৎপাদন হয়। মন্ত্রী জানান, রাজ্য থেকে আদা ও গোল মরিচ রপ্তানি করা হয়। গত পাঁচ বছরে রাজ্য থেকে ৬০২ মেঃটন আদা বহিঃরাজ্যে রপ্তানি করা হয়েছে। আনারস রপ্তানি করা হয়েছে ১০,০৮৭ মেঃটন। মন্ত্রী জানান, নাগিছড়ায় ভারত সরকারের মশলা বোর্ডের একটি কার্যালয় রয়েছে। বিশ্বের মধ্যে ভারতেই সব থেকে বেশি মশলা উৎপাদন হয়। ১০৯ ধরনের মশলা রয়েছে। এর মধ্যে ৫২ ধরনের মশলা বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এখন ত্রিপুরাতেও মশলা উৎপাদনে জোর দেওয়া হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী জানান, আগামী পাঁচ বছরের জন্য ইতিমধ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। রাজ্যে হর্টি ইকো ট্যুরিজম’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। জোর দেওয়া হচ্ছে পাম ওয়েল উৎপাদনে। রাজ্যে পিপিপি মডলেরে একটি পাম ওয়েল প্রসেসিং সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ন্যারামেক-কে পুনরায় শক্তিশালী করা হচ্ছে। এর জন্যও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও কৃষি উৎপাদনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.